মাজলুম ইমাম, হযরত আবু হানীফা (রহ.)-এর সুমহান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ইমাম যাহাবী’র রচনা থেকে,
ইমাম আবু হানীফা (রহ.) যখনি কারো আলোচনা করতেন উত্তম ও প্রীতির সাথে করতেন। রাবী হযরত রাশীদ বলেন, এটাই প্রকৃত ধার্মিকদের নীতি। প্রখ্যাত হাদীস বিশারদ ও ফকীহ ইমাম সুফিয়ান আস-সওরী (রহ.) বলেন, আবু হানীফা (রহ.) ছিলেন সেই সময়কার সব চেয়ে বেশি সালাত আদায়কারী ব্যক্তি, সততায় সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বীরত্বে সর্বোত্তম। রাবী শারিকের সূত্রে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু হানীফা (রহ.) সুদীর্ঘ নীরবতা পালনকারী ছিলেন, সর্বদা চিন্তাশীল, দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী ছিলেন এবং মানুষের সাথে খুব কম কথা বলতেন।[১]
[১] لا يذكر احدا الا بخير. فقال الرشيد : هذه أخلاق الصالحين. فقال سفيان : مه! كان أبو حنيفة اكثر الناس صلاة و اعظمهم امانة و احسنهم مروءة. و روى عن شريك قال : كان ابو حنيفة طويل الصمت ، دائم الفكر ، كبير العقل ، قليل محادثة للناس. كذا فى المناقب للذهبى
রেফারেন্স : مناقب الامام ابى حنيفة و صحابيه (মানাকিবুল ইমাম আবী হানীফা ওয়া সাহাবাইহি), পৃষ্ঠা ১৭; তাহকীক, শায়খ মুহাম্মদ যাহেদ আল কাউসারী (রহ.)।
আমার মন্তব্য, বর্তমান স্যোসাল মিডিয়ায় আবু হানীফা (রহ.)-এর ফিকহের কতিপয় অনুসারী ও মুকাল্লিদ দাবীদারদের উচিত, ভিন্নমতের পেছনে উগ্রতার সাথে লেগে না থেকে বরং ইমামে আজমের সুমহান গুণে গুণান্বিত হয়ে ভিন্নমতকে সুন্দর পদ্ধতিতে ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে রদ করে আদিম ও সহজ সরল পথে ফিরে আনা।
সংযুক্ত স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য :-
লিখক ও গবেষক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ