দয়া করে কোনো কাদিয়ানী সম্পূর্ণ লিখাটি না পড়ে কোনোরূপ মন্তব্য করবেন না!
‘তাওয়াফ্ফা’ শব্দের বিশ্লেষণ ও আমার তিনটি প্রশ্ন :
- প্রশ্ন : ‘তাওয়াফফা’ শব্দের আভিধানিক আর ব্যবহারিক (পারিভাষিক) অর্থ নিয়ে কাদিয়ানীদের খুব বেশি ধূম্রজাল সৃষ্টি করতে দেখেছি। তাই এই সম্পর্কে জানাবেন!
উত্তর : আপনার প্রশ্নমতে উত্তরে আসার আগে দুটি বিষয়ে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সে সাথে উত্তরের শেষাংশে ৩টি পাল্টা প্রশ্ন থাকবে।
দুটি বিষয় এই যে, ‘তাওয়াফফা’ (توفي) শব্দযোগে গঠিত কোনো আয়াত বা হাদীসের অনুবাদ কিংবা ব্যাখ্যা নেয়ার ক্ষেত্রে নিচের দুটি বিষয়ে খেয়াল রাখা অপরিহার্য।
(১) আয়াতটির তাওয়াফফা শব্দটি হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ:) প্রসঙ্গে ব্যবহার হল কিনা?
(২) হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ:) ছাড়া ভিন্ন আর কোনো প্রসঙ্গে ব্যবহার হল কিনা? এই দুই অবস্থায় ক্বারীনার বিচারে তাওয়াফফা’র প্রকৃত মর্মার্থ কী তা নির্ণয় হবে।
‘তাওয়াফফা’ শব্দের ব্যবহার বিধি : প্রথমেই বলে রাখতে চাই যে, এখানে “তাওয়াফফা” এর ব্যবহার বিধি নিয়ে যা লিখব তার সিকিভাগও আমি আমার নিজ থেকে লিখব না, বরং সম্পূর্ণ লিখাটিই এমন দুইজন বিশিষ্ট তাফসীরকারক ও যুগ ইমামের (ইবনে তাইমিয়াহ, আল্লামা শাওক্বানী) উদ্ধৃতি দিয়ে লিখব যাঁরা খোদ মির্যা কাদিয়ানীর নিকটও বরেণ্য ও যুগ ইমাম হিসেবে স্বীকৃত। যুগ ইমাম সম্পর্কে একটু পরেই মির্যা কাদিয়ানীর উদ্ধৃতি সহ লিখা হবে, ইনশাআল্লাহ। চলুন! আগের বিষয়টিতে আবার ফিরে যাই। তাওয়াফফা শব্দটি যদি ঈসা (আ:) প্রসঙ্গে ব্যবহার হয় তখন অসংখ্য ক্বারীনা (নিদর্শন) এর কারণে সেটির ব্যবহারিক অর্থ ‘সশরীরে নিয়ে নেয়া’-ই উদ্দেশ্য হবে। আর যদি হযরত ঈসা (আ:) ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে ব্যবহার হয় তখন শব্দটির মর্মগত উদ্দেশ্য ক্বারীনা’র বিভিন্নতার কারণে বিভিন্ন হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ‘তাওয়াফফা’ অর্থ কোথাও ঘুম বা অচেতন উদ্দেশ্য হবে। আবার কোথাও মৃত্যু উদ্দেশ্য হবে। মনে রাখতে হবে যে, ক্বারীনা’র কারণে ‘তাওয়াফফা’ এর যতগুলো ব্যবহারিক অর্থ উদ্দেশ্য নেয়া হবে তার সবগুলোই মাজাজ তথা রূপক। অধিকন্তু ‘তাওয়াফফা’ শব্দটির মূল ধাতু হল ‘ওয়াফ্ইউ’ (وفي) যেটি বাবে তাফা’উল এর মধ্যে থেকেتوفي রূপে আশ্রিত হয়ে অর্থ দেবে ‘নিয়ে নেয়া’ অথবা ‘পূর্ণকরা’ (‘লিসানুল আরব’ দ্রষ্টব্য)। এবার একথাগুলোই উক্ত বিশিষ্ট দুই যুগ ইমামের উদ্ধৃতিতে দেখা যাক।
প্রথমত, শায়খ ইবনে তাইমিয়াহ (রহ:) রচিত ‘আল জাওয়াবুস সহীহ লি-মান বাদ্দালা দীনাল মসীহ’ (৪/৩৮) নামক গ্রন্থে উল্লেখ আছে, তাওয়াফফা শব্দটি পবিত্র কুরআনে ব্যবহারিক দিক থেকে তিনটি অর্থে উল্লেখ পাওয়া যায়। যথা, ঘুম বা অচেতন, মৃত্যু বা প্রাণ হরণকরা এবং শরীর আর রূহ দুটো একত্রে নিয়ে নেয়া।
দ্বিতীয়ত, ইমাম শাওক্বানী (রহ:) রচিত ‘ফাতহুল ক্বাদীর’ (৭/৪০৬; সূরা মায়েদা ১১৭) এর মধ্যেও উল্লেখ আছে যে, তাওয়াফফা শব্দটি পবিত্র কুরআনের মধ্যে ব্যবহারিক দিক থেকে তিনটি অর্থেই উল্লেখ হয়েছে। যথাক্রমে ঘুম, মৃত্যু বা প্রাণ হরণকরা এবং সশরীরে নিয়ে নেয়া। স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য। এবার ‘তাওয়াফফা’ শব্দের আভিধানিক (আক্ষরিক) অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থের উদাহরণ দেখুন!
‘তাওয়াফফা’ শব্দযুক্ত কতিপয় উদাহরণ : ‘তাওয়াফফা’ এর আভিধানিক অর্থ উদ্দেশ্য নেয়ার উদাহরণ :
(১) সূরা নিসা আয়াত নং ১৫ দ্রষ্টব্য। যেমন আল্লাহতালা ইরশাদ করেন: فإن شهدوا فامسكوهن فى البيوت حتى يتوفهن الموت (উচ্চারণ) ফা ইন শাহিদূ ফা আমছিকূহুন্না ফিল বুয়ূতি হাত্তা ইতাওয়াফফাহুন্নাল মওতু। অর্থাৎ যদি তাহারা (ব্যভিচারিণী মহিলা) সাক্ষ্য দেয় তবে তাহাদেরকে গৃহে অবরুদ্ধ করিবে, যে পর্যন্ত না মৃত্যু তাহাদের নিয়ে নেয়। এখানে মৃত্যু অর্থের জন্য আরবী শব্দ الموت (আল-মওত) এর পাশাপাশি توفى (তাওয়াফফা) শব্দও রয়েছে। ফলে বুঝাই যাচ্ছে দুটির ভিন্ন ভিন্ন অর্থই ধর্তব্য হবে। মনে রাখতে হবে, এখানে ‘মওত’ শব্দ উল্লেখ থাকায় ‘তাওয়াফফা’ তার আক্ষরিক অর্থেই ব্যবহার হয়েছে।
(২) সূরা আলে ইমরান আয়াত নং ১৬১। আল্লাহ’র বাণী ‘ছুম্মা তুওয়াফ্ফা কুল্লু নাফসিম বিমা-কাছাবা…’ অর্থাৎ অতপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে পুরোপুরি দেয়া হবে যা সে উপার্জন করেছে। বলে রাখা দরকার, এখানে ‘তা’ বর্ণে পেশ পড়া হয়েছে শুধুমাত্র এটি কর্মবাচ্যমূলক ক্রিয়াপদ বলে। উপরন্তু এটি বাবে তাফা’উল থেকেই নির্গত।
(৩) পবিত্র হাদীস শরীফ। হযরত ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত আছে রাসূল (সা:) বলেছেন: و إذا رمى الجمار لا يدرى احد ماله حتى يتوفاه الله يوم القيامة (উচ্চারণ) ‘ওয়া ইযা রামাল জামা-রা লা-ইয়াদরী আহাদুন মা-লাহূ হাত্তা ইয়াতাওয়াফফা-হুল্লাহু ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ।’ অর্থাৎ যদি কেউ (হাজ্জের মধ্যে) শয়তানকে পাথর মারে তাহলে সে তার প্রাপ্ত সাওয়াব সম্পর্কে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ধারণাই রাখবেনা যতক্ষণ না আল্লাহ তাকে কেয়ামত দিবসে তা পূর্ণ করে দেবেন! দেখুন, মুসনাদে বাজ্জার, সুনানু তাবারানী, সহীহ ইবনে হাব্বান। (আরো দেখুন, আত-তারগিব ওয়াত-তারহীব খন্ড নং ২ পৃষ্ঠা নং ২০৫)। এবার ‘ফাতহুল ক্বাদীর’ গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে পারিভাষিক দিক থেকে ঐ তিনখানা অর্থ উদ্দেশ্য নেয়ার উদাহরণ নিচে দেখানো হল :
প্রথমত, ঘুম বা অচেতন অর্থে : যেমন আল কুরআনের ভাষ্য و هو الذى يتوفاكم بالليل و يعلم ما جرحتم بالنهار “(উচ্চারণ) ওয়া হুয়াল্লাজি ইয়াতাওয়াফ্ফাকুম বিল্লাইল ওয়া ইয়া’লামু মা জারাহ্তুম বিন্নাহারি। অর্থ: তিনিই রাত্রিকালে তোমাদের (নিদ্রারূপ) মৃত্যু ঘটান এবং দিবসে তোমরা যাহা কর তাহা তিনি জানেন।” (০৬:৬০ ইফা)।
দ্বিতীয়ত, মৃত্যু বা প্রাণ হরণকরা অর্থে : আল কুরআনের ভাষ্য (ক) আল কুরআনের ভাষ্যالله يتوفى الأنفس حين موتها و التى لم تمت فى منامها “(উচ্চারণ) আল্লাহু ইয়াতাওয়াফফাল আনফুসা হীনা মওতিহা ওয়াল্লাতি লাম তামুত ফী মানামিহা। অর্থ: আল্লাহই প্রাণহরণ করেন জীবনসমূহের তাহাদের মৃত্যুর সময় এবং যাহাদের মৃত্যু আসে নাই তাহাদের প্রাণও নিদ্রার সময়।” (৩৯:৪২ ইফা)। (খ) আল কুরআনের ভাষ্য و توفنا مع الأبرار “(উচ্চারণ) ওয়া তাওয়াফফানা মা’আল আবরার। অর্থ: আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করিয়া মৃত্যু দিও।” (০৩:১৯৩ ইফা)। এখানেও ‘তাওয়াফফা’ এর ব্যবহারিক অর্থ মৃত্যু নেয়ার ক্ষেত্রে ক্বারীনা (নিদর্শন) হল, আয়াতটিতে ঈসা (আ:) কিংবা রাত্রির উল্লেখ না থাকা। ফলে সেটি ‘মৃত্যু’ ভিন্ন আর কোনো রূপক অর্থকে নির্দেশ করেনা। যে কারণে সেটির তাওয়াফফা-কে ঈসা (আ:) বা রাত্রি সম্পর্কিত আয়াতের ‘তাওয়াফফা’র সাথে তুলনা করা চলবেনা।
তৃতীয়ত, শরীর আর রূহ দুইটি একত্রে নিয়ে নেয়া অর্থে : আল কুরআনের ভাষ্য إنى متوفيك ؛ لما توفيتنى ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাকে তুলিয়া নেব’ (অনুবাদ, আল্লামা শাওক্বানী); যখন আপনি আমাকে তুলিয়া নিলেন (অনুবাদ, আল্লামা শাওক্বানী)। (০৩:৫৫;০৫:১১৭)। মজারব্যাপার হল, কাদিয়ানীদের প্রথম খলীফা হেকিম নূরউদ্দীন বিরচিত পুস্তকেও ‘মুতাওয়াফফীকা’ এর ‘তাওয়াফফা’ অর্থ ‘মুত্যু’ নেয়া হয়নি। যেমন يا عيسى إنى متوفيك يعنى اے عیسی میں لینے والا ہوں تجہکو ‘হে ঈসা! নিশ্চয়ই আমি তোমাকে নিয়ে নিচ্ছি।’ (কাদিয়ানীদের প্রথম খলিফা হেকিম নূরউদ্দিন কর্তৃক রচিত ‘তাসদীকে বারাহীনে আহমদীয়া’ পৃষ্ঠা নং ৮ দ্রষ্টব্য)। স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।
এবার কাদিয়ানীদের একটি মনগড়া উসূল ও তার জবাব দেয়া হবে। তার আগে মির্যা কাদিয়ানীর উদ্ধৃতিতে মুজাদ্দিদের মর্যাদা ও স্বার্থকতা সম্পর্কে একটু আলোচনা :
মির্যা কাদিয়ানীর বইতে মুজাদ্দিদগণের মর্যাদা : মির্যা কাদিয়ানী নিজের রূপক মসীহ দাবীর পরেও সেই ১৮৯৯ সালে নিজ পুস্তকে বরেণ্য যুগ ইমাম সম্পর্কে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখেছেন (উর্দু): دوسرے ایسے ائمہ اور اکابر کے ذریعہ سے جن کو ہریک صدی میں فہم قرآن عطا ہوا ہے جنہوں نے قرآن شریف کے اجمالی مقامات کی احادیث نبویہ کی مدد سے تفسیر کرکے خدا کی پاک کلام اور پاک تعلیم کو ہریک زمانہ میں تحریف معنوی سے محفوظ رکھا. ایام الصلح “(আল্লাহতালা কর্তৃক পবিত্র কুরআনের সঠিক শিক্ষাকে প্রত্যেক যুগে সর্বসাকুল্য অবিকৃত রাখার চারটি পদ্ধতির মধ্য হতে) দ্বিতীয়টি হচ্ছে, এমন ইমাম এবং আকাবের (তথা মুজাদ্দিদ)গণ দ্বারাও যাঁদেরকে প্রত্যেক শতাব্দীর মাথায় কুরআনের বিশুদ্ধ বুঝ প্রদান করা হয়ে থাকে। তারা কুরআন শরীফের অস্পষ্ট বিষয়াদী নবীর হাদীস সমূহের সাহায্যে তাফসীর করে খোদার পবিত্র বাণী ও পবিত্র শিক্ষাকে প্রত্যেক যুগেই অর্থগত বিকৃতি থেকে রক্ষা করেছিলেন।” (আইয়্যামুছ ছুলহি ৫৫, সংকলনের তাং ১৮৯৯ ইং; রূহানী খাযায়েন ১৪/২৮৮)। স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।
মির্যা কাদিয়ানীর বক্তব্য থেকেও সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, নবী করীম (সা:)-এর হাদীস সমূহের সাহায্যে যুগ ইমামগণ খোদার পবিত্র বাণীকে প্রত্যেক যুগেই অর্থগত বিকৃতি থেকে রক্ষা করেছেন। কাজেই মির্যা কাদিয়ানীর অনুসারীদের জন্য একথা বলার আর সুযোগ থাকেনি যে, যুগ ইমামগণ ‘তাওয়াফফা’ এর ব্যবহারিক অর্থ সম্পর্কে কী লিখলেন আমাদের নিকট তার কোনোই মূল্য নেই! (নাউযুবিল্লাহ)। কেননা তখন প্রকারান্তরে যুগ-ইমাম সম্পর্কে মির্যা কাদিয়ানীর উক্ত বক্তব্যকেই অগ্রাহ্য করা হবে!
কাদিয়ানীদের উসূল ও তার খন্ডন : কাদিয়ানীদের উসূল (নীতিমালা) হল, যেসব জায়গায় ‘তাওয়াফফা’ এর কর্তা (ফায়েল) আল্লাহ এবং কর্ম (মাফ’উল) যীরূহ তথা প্রাণী হবে আর ক্বারীনা হিসেবে রাত্রি’র উল্লেখ থাকবেনা সেখানে ‘তাওয়াফফা’ শব্দটি শুধুই মৃত্যু অর্থের জন্য। তাই ঈসা (আ:) সম্পর্কিত তাওয়াফফা মানে ‘মৃত্যু’ই! এবার আমার পক্ষ থেকে তাদেরই উল্লিখিত উসূলের খন্ডন ও তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র তিনটি প্রশ্ন নিম্নরূপ :
১. তাহলে আপনারা ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত : و إذا رمى الجمار لا يدرى احد ماله حتى يتوفاه الله يوم القيامة হাদীসটির ‘তাওয়াফফা’ অর্থও কি মৃত্যু নিবেন? সেখানেও কিন্তু কর্তা আল্লাহ আর কর্ম যীরূহ!
২. মির্যা কাদিয়ানীর বইতে ‘ইন্নী মুতাওয়াফফীকা’র ভিন্ন ভিন্ন ৬ ধরণের অর্থ রয়েছে। সেগুলো হল, পরিপূর্ণ নেয়ামত (১/৬২০); পরিপূর্ণ পুরষ্কার (১/৬৬৪-৬৫); অপমানকর ও অভিশপ্ত মৃত্যু হতে রক্ষা (১২/২৩) জন্মগ্রহণকরা (১৯/৪৯) ইত্যাদী। তার কৃত অনুবাদের ৬ স্থানের মাত্র একটিতেই ‘তাওয়াফফা’ অর্থ মৃত্যু উল্লেখ আছে। অথচ সবগুলোতেই কর্তা আল্লাহ আর কর্ম যীরূহ বা প্রাণী! কী জবাব? স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।
৩. তার বইতে আরো লিখা আছে, যেখানে রাত্রিবেলার উল্লেখ আছে শুধুমাত্র সেখানেই উক্ত ক্বারীনার কারণে তাওয়াফফা’ অর্থ মৃত্যু নেয়া হবেনা। তো একই ভাবে আমিও কি বলতে পারিনা যে, যেখানে ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ:)-এর প্রসঙ্গ রয়েছে সেখানেও অন্যান্য বহু ক্বারীনার কারণে ‘তাওয়াফফা’ মৃত্যু অর্থে হবেনা! বরং বিশিষ্ট যুগ ইমাম, ইবনে তাইমিয়াহ (রহ:)-এর বিশ্লেষণ অনুসারে সেই ‘তাওয়াফফা’ অর্থ- توفى الروح و البدن جميعا অর্থাৎ রূহ এবং শরীর দুটো একত্রে নিয়ে নেয়া। (আল-জওয়াবুস সহীহ ৪/৩৮ দ্রষ্টব্য)। স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য।
আশাকরি এইটুকুতেই জ্ঞানীদের সত্যটা বুঝতে আর কোনো কষ্ট হবেনা।
- লিখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক