যেকোনো একটা মাযহাবের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার যৌক্তিকতা

0
যেকোনো একটা মাযহাবের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার যৌক্তিকতা

যেকোনো একটা মাযহাবের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে :

পাকিস্তানের প্রখ্যাত আলিম মুফতি তারিক মাসউদ একটি চমৎকার ঘটনা বলেছেন। তিনি তাঁর লম্বা বয়ানের এক স্থানে বলেছেন :

তারেক মাসউদ হাফিঃ

“এক লোক স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে আমার কাছে এসে জানতে চাইল, -‘মুফতি সাহেব, স্ত্রীকে একত্রে তিন তালাক দিলে কি তিন তালাক হয়?’

আমি বললাম, ‘জ্বি, হয়ে যায়।’

-‘কিন্তু, সৌদি আরবের বড় আলেম বিন বায রহ. তো বলেছেন, ‘হয় না’। তিনি তো কুরআন-সুন্নাহর আলোকেই বলেছেন।’

-‘আপনি সাহাবীদের আমল, আইম্মায়ে আরবা’আর সর্বসম্মত মত ও ইজমার সাথে শাইখ বিন বায রহ.-এর মতের তুলনা করছেন! তিনি অবশ্যই বড় আলেম ছিলেন; তবে এক্ষেত্রে তিনি বিচ্ছিন্ন অভিমত দিয়েছেন। এমন বিচ্ছিন্ন অভিমত অনুসরণীয় নয়।’

-‘না. না… না… তিনি তো কুরআন-সুন্নাহর আলোকেই ফাতওয়া দিয়েছেন। আমি শুধু কুরআন-সুন্নাহ মানি।’

-‘ঠিক আছে। আপনি যদি বিন বায রহ. এর এই বিচ্ছিন্ন ফতোয়া মানেন তাহলে শায়খের আরেকটা ফাতওয়া আছে। ওটাও মানুন। শাখ বিন বায রহ. বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় এক ওয়াক্ত নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে সে কাফির-মুরতাদ হয়ে যায়। স্ত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যায়।’ এটাও মানবেন আশা করি।’

‘না, না। এটা ঠিক না…।’

তখন আমি বললাম, ‘আপনি মাঝে মাঝে নামায ছেড়ে দেন। শায়খ বিন বায রহ. এর ওই ফতোয়া মানলে তো পৃথিবীর কোনো নারীর সাথেই আপনার বিয়ে টিকবে না। কাজেই কারো কথা এক মাসআলায় মানবেন, অন্য মাসআলায় মানবেন না। এর নাম ইসলাম নয়।”

সংগ্রহীত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here