মসীহের আবির্ভাব এর সময় উল্লেখ করে মির্যা কাদিয়ানী যেভাবে ফেঁসে গেলেন!

0
মসীহের আবির্ভাব এর সময় উল্লেখ করে মির্যা কাদিয়ানী যেভাবে ফেঁসে গেলেন!

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেবের একটি বিচার-বিশ্লেষণ ও আমার মূল্যায়ন –

মির্যা কাদিয়ানী সাহেব মসীহ দাবী করে কতটা দিশাহারা অবস্থায় পড়েছিল তা তার লিখনী পড়লেই বুঝা যায়। এক দিকে দাবী করলেন পবিত্র কুরআন দ্বারা প্রমাণিত বনী ইসরাইলি ঈসা (আ.) মৃত্যুবরণ করেছেন। আবার নিজেই লিখলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ দ্বারা প্রমাণিত আছে যে, মসীহ (আ.)-এর আবির্ভাবের সময়কাল ১৪০০ বছরই নির্ধারিত। (রূহানী খাযায়েন ৩/৪৬৪)। তিনি পবিত্র কুরআন শরীফের (সূূূূরা মুমিনুন)-এর একটি ১৮ নং আয়াতের খণ্ডিত অংশের বর্ণগুলোর আবজাদের নিয়মে সংখ্যা মান হিসেবে উল্লেখ করলেন ১২৭৪। অর্থাৎ মসীহ (আ.)-এর আবির্ভাবের সময়টি এই আয়াতের ইংগিতে ১২৭৪ বছরকে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নিজেকে মসীহ হবার দাবী করেছেন ১৮৯২ সালের পর অর্থাৎ হিজরী ১৩০৯ সালের পর। এই সম্পর্কিত একটি লিখা পড়তে ক্লিক করুন।

স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য

এবার তাহলে কেমনে কী?

সমীকরণ তো মিলেনা!!

মজার ব্যাপার হল, মির্যা কাদিয়ানীর উক্ত বিচার-বিশ্লেষণ অনুসারে বাহায়ী জামাতের মির্যা হুসাইন আলী নূরী (১৮১৭-১৮৯২) ওরফে বাহাউল্লাহ-ই কথিত রূপক মসীহ সাব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে৷ কেননা সে মসীহ দাবী করেছিল ১৮৬৩ সালে। যা কিনা মির্যায়ী কথিত গবেষণার ফসল ১২৭৪ হিসেবে খ্রিস্টীয় ১৮৫৭ সাল হয়। তার মানে কথিত নির্ধারিত সময়ের মাত্র ৬ বা ৭ বছরের মাথায় বাহাউল্লাহ সাহেব নিজেকে রূপক মসীহ দাবীতে আত্মপ্রকাশ করেন। বর্তমানে তার জামাত পৃথিবীর ২১৮টি দেশের প্রায় ১২০০ টি জাতি ও বর্ণের ৮০০ ভাষাভাষী মানুষের মাঝে সমাদৃত। (সূত্র, উইকিপিডিয়া [আরবী])। এবার কোথায়কার জল কোথায় ঢালা হল!!!

আল্লাহতালা আমাদেরকে সঠিকভাবে বুঝার ও চিন্তা করার তাওফিক দিন। আমীন।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here