ঈসা (আ.) আবার আসলে তখন শেষনবী কে হচ্ছেন? অনলাইনে অধিকাংশ কাদিয়ানী এই প্রশ্নের আড়ালে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর নবুওয়ত দাবীর বৈধতা খোঁজার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করারও খুব চেষ্টা করে। অথচ প্রশ্নটির উত্তর খুবই সহজ, একটু মগজটা খাটালেই হয়! মূল প্রশ্নোত্তরে যাওয়ার আগে কাদিয়ানীদের বিক্ষিপ্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই।
প্রশ্ন – নবীউল্লাহ হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমনের বিষয়ে যারা বিশ্বাস রাখে, তারা একই সাথে খাতামান্নাবীঈন (সা.)-কে কিভাবে ‘শেষনবী’ মনে করে? এভাবে আপনাদের বিশ্বাস পরস্পর বিরোধী নয় কি? উত্তর হচ্ছে, তাহলে তো মির্যা কাদিয়ানীও নবুওয়তের দাবী করতে পারেনা। অথচ তার অনুসারীরা ঈসা (আ.)-এর আগমনী বিশ্বাসের ভিত্তিতেই মির্যা কাদিয়ানীর ‘নবী’ দাবী মেনে নেয়! যদিও বা তাদের কেউই নবী দাবীদার মির্যা কাদিয়ানীর উম্মত হতে চায় না।আহা! এ কি অদ্ভুত ধরণের নবী আর কি অদ্ভুত অনুসারী! এবার সরল উত্তরে আসি, ঈসা (আ.) এমন একজন নবী যিনি পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসার অনেক আগেই নবুওয়ত লাভ করেছেন। ফলে তার আবার আসাতে নবুওয়তের দরজায় কোনো রকম ধাক্কা লাগবেনা। হ্যাঁ, তিনি আবার আসার পর যদি তার পূর্বের নবুওয়ত রিনিউ(!) করার দরকার হত, শুধুমাত্র তখনি খতমে নবুওয়তের সীল ভেঙ্গে অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজন হত! মূলত এইজন্যই ঈসা (আ.)-এর দ্বিতীয়বারের আগমন দ্বারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাণী ‘আমিই শেষনবী’ (انا خاتم النبيين)-এর উপর কোনো প্রশ্ন উঠবেনা। শায়খ ইবনুল আরাবী (রহ.)-ও একই কথা লিখে গেছেন স্বীয় ‘ফতুহাতে মাক্কিয়া’ (খ-২/পৃ-৩) কিতাবে। যেমন তিনি লিখেন, ونبوة عيسى عليه السلام ثابتة له محققة فهذا نبي ورسول قد ظهر بعده صلى الله عليه وسلم وهو الصادق في قوله إنه لا نبي بعده অর্থাৎ “পক্ষান্তরে নবুওয়তে ঈসা আপনা মর্যাদায় বহাল থাকবে {কিন্তু পুনরায় প্রতিষ্ঠা লাভ করবেনা}। যেহেতু তিনি-ও একজন নবী ও রাসূল ছিলেন, তাঁর পরেই হযরত (সা.)-এর আবির্ভাব হয়েছিল। যিনি স্বীয় বাণী : إنه لا نبي بعده (অর্থাৎ নিশ্চয়ই তাঁর পরে আর কোনো নবী নেই)-তে একজন সত্যবাদী।” একদম পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে যে, শায়খ ইবনে আরাবীও কথিত ‘রূপক ঈসা’র আগমনী কনসেপ্টে বিশ্বাসী ছিলেন না, বরং সেই ঈসা ইবনে মরিয়মের-ই পুনঃ আগমনে বিশ্বাসী ছিলেন যিনি ইতিপূর্বে নবী ও রাসূল ছিলেন আর তাঁর পরেই আবির্ভূত হন হযরত মুহাম্মদ (সা.)। আহা! এরপরেও কাদিয়ানীরা এই সহজ বিষয়টা ঘোলাটে করে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেই করবে! যাইহোক, এরপর তারা প্রশ্ন করে, সত্যি সত্যিই যদি বনী ইসরাইলের নবী ঈসা (আ.) শেষে আসেন তবে জন্মের দিক দিয়ে শেষনবী না হলেও মৃত্যুর দিক দিয়ে ঈসা (আ.)-ই শেষনবী হন, তাই নয় কি? উত্তর– মৃত্যুর দিক দিয়েও ঈসা (আ.) শেষনবী হন না। কেননা ঈসা (আ.) মৃত্যুর আগে নিজের প্রাপ্ত নবুওয়তকে রি-নিউ বা নবায়ন করবেন না। যদি করতেন তখনি এই দাবী সঠিক ছিল। সত্য বলতে, তাদের প্রশ্নগুলোই বলে দেয় যে, তারা ধর্মজ্ঞানে কতটা অজ্ঞ। তারা আবার প্রশ্ন করে যে, তার মানে তিনি পুনরায় এসে নবী হিসেবে মরবেন না? উত্তর – ঈসা (আ.) পুনরায় এসে পূর্ববর্তী একজন নবী হিসেবে মরবেন, তবে পুনরায় আগমনের পর তিনি যেহেতু নবুওয়তের দায়িত্বে থাকবেন না, স্রেফ উম্মত হিসেবে থাকবেন সেহেতু তাঁর মৃত্যুটা একই সাথে ‘উম্মতি’ হিসেবেও হবে। বলে রাখা জরুরি যে, আমরা মুসলিম উম্মাহা বরং ‘খতমে নবুওয়ত’-এর সে অর্থই নিয়ে থাকি যে অর্থ নিয়েছেন বিশিষ্ট যুগ ইমাম আবুল কাশেম মাহমুদ ইবনে উমর আল যামাখশারী (রহ.) [মৃত. ১১৪৩ হিজরী]। তিনি “শেষনবী” এর সংজ্ঞায় লিখে গেছেন, “যাকে সবার শেষে নবী বানানো হয় তিনিই শেষনবী। পক্ষান্তরে ঈসা (আ.) হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগ থেকেই নবী ছিলেন।” তারা আর কোনো প্রশ্ন খোঁজে না পেয়ে শেষে একদম ফালতু একটা প্রশ্ন করে যে, তাহলে কি ঈসা (আ.)-এর নবুওয়ত তখন বাতিল হয়ে যাবে বলতে চান? উত্তরে বলতে চাই, ঈসা (আ.)-এর পুনঃ আগমনে তাঁর নবুওয়ত “বাতিল” হয়ে যাবে, এটা তো মুসলমানদের বিশ্বাস নয়। মুসলমানদের বিশ্বাস তো হল, নবুওয়তে মুহাম্মদীর যুগে যদি আগেকার কোনো নবীও ইহজগতে থাকত তাহলে তিনিও নবুওয়তের দায়িত্বমুক্ত হয়ে স্রেফ উম্মতে মুহাম্মদী বলে গণ্য হয়ে যেতেন। নিচের সহীহ হাদীস সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। যেমন, আল্লাহর রাসূল (সা.) একটা হাদীসে বলেছেন, لو كان أخى موسى حيا ما وسعه إلا اتباعي . أخرجه أحمد অর্থাৎ যদি আমার ভ্রাতা মূসাও জীবিত থাকত তাহলে তার জন্য আমার আনুগত্য ছাড়া কোনো উপায় ছিলনা। (মুসনাদে আহমদ ৩/৩৮৭, হাদীসের মান, হাসান)। এখন আপনি কি রাসূল (সা.)-এর উপরেও একই প্রশ্ন উঠাবেন যে, তাহলে কি মূসা (আ.)-এর নবুওয়ত সে সময় বাতিল হয়ে যাবে? নাউযুবিল্লাহ। আপনাদের উচিত, মির্যার নবুওয়ত দাবীর বৈধতা খোঁজার আগে নিজেদের ঈমানের পরিণতি নিয়ে চিন্তা করা। এবার প্রশ্নোত্তরে আসা যাক,
প্রশ্ন-১, আল্লাহ্ তা’লা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কুরআন শরীফে খাতামান্নাবীন (خاتم النبيين) বলেছেন আর জামাতে আহমদীয়ার প্রত্যেক সদস্যও মুহাম্মদ (সা.)-কে খাতামান্নাবীন বলে বিশ্বাস করে। কোনো ব্যক্তি ততক্ষন পর্যন্ত আহমদীয়া জামাতে প্রবেশ করতে পারে না যতক্ষন সে বয়াত করার সময় একথা স্বীকার না করে যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) খাতামান্নাবীঈন। তা সত্ত্বেও বিদ্বেষবশত আহমদীদের (কাদিয়ানীদের) উপর এই অপবাদ আরোপ করা যে, তারা খাতামান্নাবীঈন মানে না, একটি স্পষ্ট জুলুম এবং অন্যায়।
উত্তর-১, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের উত্তরে যাওয়ার আগে তাকে জিজ্ঞেস করতে চাই যে, তিনি তার প্রশ্নে সব কথা বাংলায় লিখা সত্ত্বেও ‘খাতামান্নাবীঈন’ শব্দটিকে আরবীরূপেই রেখে দিলেন, বাংলায় খোলাসা করলেন না! মতলবটা কী? সে যাইহোক, প্রশ্নে বর্ণিত দাবীটি মোটেও সত্য নয়। কেননা কাদিয়ানীদের মূলধারার রচনাবলীতে বরং মির্যা গোলাম আহমদই ‘শেষনবী‘ বলে উল্লেখ রয়েছে। কাজেই, বিষয়টি অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। যে কারণেই তাদের ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহার অভিযোগ বাস্তব সত্য, কোনো অপবাদ নয়! (স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)।
প্রশ্ন-২, যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস রাখে যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর হযরত ঈসা (আ.) আল্লাহ্র নবী হিসেবে আগমন করবেন, তিনি আঁ-হযরত (সা.) এর খতমে নবুওয়তের মান্যকারী কিভাবে হবেন? যদি বনী ইসরাঈলী নবী হযরত ঈসা (আ.) আঁ-হযরত (সা.)-এর পর আসতে পারে তাহলে খতমে নবুওয়ত কিভাবে হল? এটি তো স্পষ্টত ধোঁকাবাজিমূলক কথা। যে ব্যক্তি পৃথিবীর মানুষকে একদিকে এটি বলে যে, নবুওয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, সাথে সাথে এটিও বলে যে, ঈসা (আ.) আসবেন; সে কি মুসলমানদেরকে একই সাথে দুটি নৌকার ওপর রেখে ধ্বংসের দিকে নিক্ষেপ করছে না?
উত্তর-২, উল্লিখিত প্রশ্নের প্রতিপাদ্য অংশগুলো কয়েকভাগে রেখে প্রশ্নের উত্তরে আসা যাক। (ক) তার প্রশ্নে একটি কথা এসেছে ‘নবী হিসেবে আগমন করা’। (খ) বনী ইসরাইলী নবী ঈসা (আ.) আবার আসলে ‘খতমে নবুওয়ত’ কিভাবে হল? (গ) নবুওয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে, বললে তখন ঈসা (আ.) আসবেন, একথা বলা যাবেনা….। এবার উত্তরে আসছি। ঈসা (আ.) নবী হিসেবে আগমন করার বিশ্বাস মুসলমানদের নয়, বরং এই বিশ্বাস কাদিয়ানীদের। আমি এর প্রমাণ হিসেবে বলি, কাদিয়ানীদের রচনাবলীতে পরিষ্কার শর্তসাপেক্ষে উল্লেখ আছে হযরত মুহাম্মদ (সা.) মুক্ত ও স্বাধীন অর্থে শেষনবী নন, বরং তিনি শুধুমাত্র একজন শরীয়তবাহক শেষনবী। তার অর্থ, শরীয়তবিহীন নবী আগমনীধারা অব্যাহত। নাউযুবিল্লাহ। (খ) ঈসা (আ.)-এর পুনরায় আগমন দ্বারা খতমে নবুওয়তের দরজায় কোনো রকম ধাক্কা লাগবেনা। কারণ ঈসা (আ.)-এর আগমন সংক্রান্ত যতগুলো সহীহ বর্ণনা এসেছে কোথাও ‘তিনি নবী হিসেবে আসবেন’—বলা নেই, বড়জোর এটুকু বলা আছে যে, তিনি اماما هاديا و حكما عادلا (একজন সুপথপ্রাপ্ত ইমাম এবং ন্যায়পরায়ণ শাসক) হিসেবে আকাশ থেকে (من السماء) নাযিল হবেন। (গ) নবুওয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে বলে ঈসা (আ.)ও আর আসবেন না—এমন কথা কোনো সুস্থ-বিবেকবান মানুষ বলতে পারেনা। কারণ ঈসা (আ.) এমন একজন নবী যিনি পৃথিবীতে দ্বিতীয়বার আসার অনেক আগেই নবুওয়ত লাভ করেছেন। ফলে তার আবার আসাতে নবুওয়তের দরজায় কোনো রকম ধাক্কা লাগবেনা। হ্যাঁ, তিনি আবার আসার পর যদি তার পূর্বের নবুওয়ত রিনিউ(!) করার দরকার হত, শুধুমাত্র তখনি খতমে নবুওয়তের সীল ভেঙ্গে অভ্যন্তরে প্রবেশের প্রয়োজন পড়ত! মূলত এইজন্যই ঈসা (আ.)-এর দ্বিতীয়বারের আগমন দ্বারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর বাণী ‘আমিই শেষনবী’ (انا خاتم النبيين)-এর উপর কোনো প্রশ্ন উঠবেনা। (যথাক্রমে- স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)।
প্রশ্ন-৩, নন-আহমদীরা বলে যে, নতুন কোনো নবী আসতে পারবে না, পুরোনো নবী আসতে পারে। এটি একটি প্রতারণা মূলক কথা। যদি খতমে নবুওয়তের অর্থ এটি হয় যে, নবুওয়তের দরজা সার্বিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে নতুন পুরোনোতে কি পার্থক্য রয়েছে? অতএব, বন্ধুদের বিবেকের কাছে এ প্রশ্ন থাকল, নবীউল্লাহ হযরত ঈসা (আ.)-এর আগমনের বিষয়ে যারা বিশ্বাস রাখে, তারা একই সাথে খাতামান্নাবীঈন (সা.)-কে কিভাবে ‘শেষনবী’ মনে করে? এভাবে আপনাদের বিশ্বাস পরস্পর বিরোধী নয় কি?
উত্তর-৩, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নে উল্লেখ আছে যে, যদি খতমে নবুওয়তের অর্থ
এটি হয় যে, নবুওয়তের দরজা সার্বিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। তাহলে নতুন পুরোনোতে কি পার্থক্য রয়েছে? আমি বলি, প্রকৃত অবস্থা কিন্তু সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা আমরা মুসলিম উম্মাহা বরং ‘খতমে নবুওয়ত’-এর সে অর্থই নিয়ে থাকি যে অর্থ নিয়েছেন বিশিষ্ট যুগ ইমাম আবুল কাশেম মাহমুদ ইবনে উমর আল যামাখশারী (রহ.) [মৃত. ১১৪৩ হিজরী]। তিনি “শেষনবী” এর সংজ্ঞায় লিখে গেছেন, “যাকে সবার শেষে নবী বানানো হয় তিনিই শেষনবী”। পক্ষান্তরে ঈসা (আ.) হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগ থেকেই নবী ছিলেন। (قلت: معنى كونه آخر الأنبياء أنه لا ينبأ أحد بعده، وعيسى مما نبئ قبله، وحين ينزل، ينزل عاملاً على شريعة محمد مصلياً إلى قبلته كأنه بعض أمته)। (তাফসীরে কাশশাফ ৩/৫৪৫, সূরা আহযাব আয়াত নং ৪০ দ্রষ্টব্য)। প্রশকর্তার আরেকটি হাস্যকর অভিযোগের প্রতিউত্তরে বলছি, মুসলিম উম্মাহা’র প্রকৃত বিশ্বাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে ভ্রান্তি ছড়িয়ে কোনো লাভ হবেনা। আহা! মানুষ কতটা পাপিষ্ঠ আর জালেম হলে, নিজেদের অধর্ম-বিশ্বাসকে অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে পারে! অথচ গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, প্রকৃতপক্ষে কাদিয়ানীরাই ঈসা (আ.) বিষয়ে স্ববিরোধ আকীদা পোষণকারী। তার প্রমাণ হল, এরা আগত ঈসা (আ.) নবী হবেন, এমন আকীদা রাখা সত্ত্বেও সেই ‘ঈসা’ দাবীদার মির্যা কাদিয়ানীকে ‘নবী’ বিশ্বাস করে সত্য, কিন্তু নিজেদের তাঁর “উম্মত” স্বীকার করেনা! এ কেমন দ্বিচারিতা! শেষে আরেকটি কথা না বললেই নয়, ঈসা (আ.)-এর দ্বিতীয়বারের আগমন স্রেফ একজন “উম্মতি” রূপে ও মুহাম্মদ (সা.)-এর রেসালতের সত্যায়নকারী হিসেবে হবে (ثم ينزل عيسى ابن مريم مصدقاً بمحمد على ملته، إماماً مهدياً، وحكماً عدلاً، فيقتل الدجال)। ইমাম আল হাইছামী রচিত ‘আল-মাজমাউয যাওয়ায়েদ’ [المجمع الزوائد] (কিতাবুল ফিতান অধ্যায়, হাদীস নং ১২৫০১)। এই হাদীসটিও পরিষ্কার ইংগিত দেয় তিনি (আ.) নবুওয়তের দায়িত্বে থাকবেন না। কেননা মুহাম্মদ (সা.)-এর মৃত্যুর পর নবুওয়তের ওহী বন্ধ হয়ে গেছে—বলিয়া মির্যা কাদিয়ানী নিজেও তার ‘হামামাতুল বুশরা‘ (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৪৮-এর মধ্যে দ্ব্যর্থহীনভাবে লিখে গেছেন। কিন্তু আফসোস! হতভাগা মির্যা কাদিয়ানী যদিও পরবর্তীতে আগের সমস্ত কথা ভুলে গেছেন এবং নিজেকে ‘নবী‘ দাবী করে বসেছেন! (যথাক্রমে – স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)।
ঈসা (আ:) উম্মতে মুহাম্মদীয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে প্রার্থনা করেছিলেন কি?
আশাকরি সবাই বুঝতে পেরেছেন যে, কাদিয়ানীরা সহজ একটা বিষয়কে কত সূক্ষ্মভাবে ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য পেশ করে থাকে! আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বুঝার এবং মানার তাওফিক দিন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
শিক্ষাবিদ ও গবেষক