আমরা কিজন্য কোনো আহমদী নামের কাদিয়ানীবন্ধুকে সালাম দিই না কিংবা তাদের দেয়া “সালাম” এর উত্তর নিই না? এর জবাব স্বয়ং মির্যা কাদিয়ানী থেকেই দেয়া হল। তিনি নিজেই স্বীকার করে লিখে গেছেন যে, কাফেরদের জন্য আসসালামু আলাইকুম – শব্দচয়নে লিখা (এবং বলা) অনুচিত।
উর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ নিম্নরূপ –
মির্যা সাহেব লিখেছেন :-
- “তিনি (অর্থাৎ মৌলভি মুহাম্মদ হুসাইন বাটালভী রহঃ) স্বীয় প্রেরিত পত্রে [মির্যার উদ্দেশ্যে] ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’ও লিখতেন। অথচ কাফেরদের জন্য এইরূপ শব্দচয়নে লিখা অনুচিত।” (মির্যা কাদিয়ানী রচিত মাকতুবাত, নং ৫৭; খ-৫, অধ্যায় নং ২)। স্ক্রিনশট
- উল্লেখ্য, শায়খ হোসাইন বাটালভী রহঃ তদানীন্তন সময়কার একজন সুনামধন্য আহলে হাদীস মাসলাকের বিশিষ্ট স্কলার ছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম আবু সাঈদ মুহাম্মদ হোসাইন বাটালভী। তিনি আর মির্যা কাদিয়ানী দুইজনই সমবয়সী ও বাল্যবন্ধু ছিলেন। দুইজনই ‘গুল আলী শাহ’ নামক একজন শিক্ষকের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। কিন্তু মির্যা কাদিয়ানী ব্রিটিশ সরকারের প্ররোচনায় খতমে নবুওয়তের অস্বীকার করে যখনি নবী দাবী করলেন তখনি দুইজনের পুরনো বন্ধুত্বে ফাটল ধরা শুরু করে। শায়খ বাটালভী রহঃ মির্যাকে বারবার বুঝাতে চেষ্টা করেন এবং ভন্ডনবী মুসাইলামা কাজ্জাবের পথ থেকে ফিরে আসতে তাকিদ দেন। নানা সময় এই নিয়ে তার নিকট পত্রও প্রেরণ করেন। কিন্তু পার্থিব সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের পূজারি ও দুনিয়া লোভি মির্যা কাদিয়ানী ঈমানের বিনিময়ে দুনিয়াকেই প্রাধান্য দেন এবং ব্রিটিশ বিরোধী আযাদী আন্দোলনকে বানচাল করতে ‘নবী’ সেজে ওহীর মিথ্যা দোহাই দিয়ে জিহাদের বিরুদ্ধে ফতুয়াবাজি শুরু করে দেন। ফলে তার জন্য ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হওয়া এবং কাফের জাতির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আর বেশি বাকি থাকেনি। তাই শায়খ হোসাইন বাটালভী রহঃ সহ সকলের সম্মিলিত ফতুয়া অনুসারে মির্যা কাদিয়ানী নিঃসন্দেহে একজন মুরতাদ ও কাফের আখ্যায়িত হন। স্ক্রিনশট
⤵️এবার,
- কাদিয়ানিরা কাফের কেন? ডকুমেন্ট সহ জানতে পড়ুন ক্লিক