শেষ যুগে আত্মপ্রকাশকারী ‘দাব্বাতুল আরদ’ সম্পর্কে
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
(মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন), ‘দাব্বাতুল আরদ (دابة الارض) হচ্ছে, ধর্মতত্ত্ব আর ফিলোসোফি তথা দর্শনশাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি অর্জনকারী উলামায়ে কেরাম যারা ইসলামের সাহায্যে সমস্ত বাতিল মতবাদের উপর হামলা করতে দাঁড়িয়ে যাবে।’ (রূহানী খাযায়েন: ৩/৩৭০; রচনাকাল ১৮৯১ইং)। স্ববিরোধী কথা : ‘দাব্বাতুল আরদ (دابة الارض) হল বিভিন্ন আকৃতির সেসব জন্তু জানোয়ার যারা কাশফে আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে এবং অন্তরে উদয় হয়েছে যে, এরা প্লেগের পোকামাকড়।’ (রূহানী খাযায়েন: ১৮/৪১৬; রচনাকাল ১৮৯২ইং)। দুঃখজনক হলেও সত্য, কুরআন হাদীস মির্যা কাদিয়ানীর নিকট একদমই সস্তা জিনিস, বরং তার চেয়েও অতি সাধারণ বস্তু ছিল। নইলে কিভাবে সম্ভব যে, এমন হটকারিতামূলক অপব্যাখ্যার তুফান ঘটানো!
স্ক্যান সংযুক্তি –
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী