একবার বললেন, পবিত্র কুরআন দ্বারা ঈসার মৃত্যু সাব্যস্ত; আবার বললেন, কুরআনে ‘ইবনে মরিয়ম’ বলে যে মসীহ’র আগমনী সংবাদ রয়েছে তা হতে মির্যা কাদিয়ানীই উদ্দেশ্য!
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
(মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন), ‘এখন একথা সাব্যস্ত হয়ে গেল যে, পবিত্র কুরআনে যেই মসীহ মওউদের আসার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে সে এই অধমই।’ (ইযালায়ে আওহাম, রূহানী খাযায়েন ৩/৪৬৮)। স্ববিরোধ কথা : ‘যদি কুরআন দ্বারা ইবনে মরিয়মের মৃত্যু সাব্যস্ত না হয় তাহলে আমি মিথ্যুক সাব্যস্ত হব।’ (রূহানী খাযায়েন ১৯/৯৭, রচনাকাল ১৯০২ ইং)।
মির্যা কাদিয়ানীর নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এবার আমার জিজ্ঞাসা, পবিত্র কুরআনে ঈসা ইবনে মরিয়ম নামটি দ্বারা কয়জন ব্যক্তি উদ্দেশ্য? যদি শুধুই এক ব্যক্তি উদ্দেশ্য হন আর তিনি মরিয়ম পুত্র ঈসা (আ.)-ই হন (অবশ্য মরিয়ম পুত্র ঈসাই উদ্দেশ্য-লিখক) তাহলে সেই মরিয়ম পুত্র ঈসা-ই আবার কুরআন দ্বারা মৃত সাব্যস্ত কিভাবে হন? অধিকন্তু রাসূল (সা.) শপথ বাক্য সহকারেই (والذى نفسى بيده ليوشكن ان ينزل فيكم ابن مريم الخ) ইবনে মরিয়মের আগমনী ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া)। ফলে এইরূপ ভবিষ্যৎবাণী দ্বারা কোনোভাবেই রূপক অর্থ উদ্দেশ্য হবেনা, বরং প্রকৃত অর্থই উদ্দেশ্য নিতে হবে। মির্যা কাদিয়ানী নিজেও এমন কথা তার ‘হামামাতুল বুশরা’ বইতে লিখে গেছেন। (হামামাতুল বুশরা হতে স্ক্রিনশট)।
মোটকথা, মির্যা কাদিয়ানী সাহেব জঘন্য স্ববিরোধী কথার নজির স্থাপন করে গেছেন।
স্ক্যানকপি সংযুক্তি –
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী