মির্যার স্ববিরোধীতা-১০

0
মির্যার স্ববিরোধীতা-১০

কোথাও লিখা আছে, শুধু নবী করীম (সা.)-এর আনুগত্যেই নবুওয়তের মোকাম পাওয়া যায়, কোথাও লিখা আছে, ঈসা (আ.)ও মূসা নবীর আনুগত্যে খোদার নৈকট্য অর্জন ও নবী’র মোকাম পেয়েছেন!

এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?

এই পর্বে মির্যা কাদিয়ানী আর তার ছেলে বশীর আহমদ (এম.এ) এবং অনুসারীদের মধ্যকার স্ববিরোধী কথাবার্তার আরেকটি প্রমাণ দেখানো হবে। যেমন মির্যার ছেলে বশীর আহমদ (এম.এ) লিখেছেন, ‘এমন একজন কামেল মানুষের পূর্ণ আনুগত্য দ্বারা মির্যা সাহেবের নবুওয়ত অর্জিত হয়েছে যাঁর পূর্ণ অনুসরণ নবুওয়তের স্তরে পৌঁছে দিয়ে থাকে। সুস্পষ্ট আছে যে, এমন নবুওয়ত নবী করীম (সা.)-এর পূর্বে সম্ভব ছিলনা। কেননা উনার (সা.) পূর্বে এমন কেউই গত হননি যার কামেল আনুগত্য দ্বারা আল্লাহর কাছ থেকে নবুওয়ত পেতে পারে।’ (কালিমাতুল ফছল ২২, হার্ডকপি, প্রথমপ্রকাশ ১লা মে ১৯১৫ ইং)। এই একই কথা এদেশীয় কাদিয়ানীদের বইগুলোতেও রয়েছে। উম্মতিনবী পৃষ্ঠা নং ৯ দ্রষ্টব্য।

  • জ্ঞাতব্য, কালিমাতুল ফসল বইটি গ্রন্থবদ্ধ হওয়ার আগে ‘রিভিউ অফ রিলিজন্স‘ (ریویو آف ریلیجنز) নামীয় কাদিয়ানীদের একটি উর্দূ অফিসিয়াল পত্রিকারই অংশ ছিল। মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ৯৪। ভাষা উর্দূ। বইটি এখনও বাংলায় অনুবাদ হয়নি।
বাংলাদেশী কাদিয়ানীদের বইটিতে লিখা আছে, ‘মূসা (আ.) বা অপর কোনো পূর্ববর্তী শরীয়তওয়ালা নবীর উম্মতও কি অনুরূপ নবী হয়েছিলেন? (উত্তর) না, হন নি! (উম্মতিনবী পৃষ্ঠা নং ৯)।

স্ববিরোধী কথা : ‘মির্যা কাদিয়ানীর বইতে লিখা আছে, ‘যেমন খোদার বান্দা ঈসা যাকে হিব্রু ভাষায় ইসোয়া বলে, (তিনি) ত্রিশ বছর পর্যন্ত মূসা (আ.)-এর আনুগত্য করে খোদার ঘনিষ্ঠ হয়ে যান এবং নবুওয়তের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।’ (চশমায়ে মসীহ [উর্দূ] পৃষ্ঠা নং ৬৭, রূহানী খাযায়েন: ২০/৩৮১-৮২; রচনাকাল মার্চ, ১৯০৬ইং)। আরও পরিষ্কার করে জানতে চশমায়ে মসীহি (বাংলা) এর ৫২ নং পৃষ্ঠাটিও দেখুন। (নিচ থেকে ২নং স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)।

রূহানী খাযায়েন ২০/৩৮১-৩৮২
মির্যা কাদিয়ানী লিখেন, ‘মূসা নবী জ্বলন্ত প্রদীপ, তাকে অনুসরণ করে শত শত লোক পয়গম্বর হয়েছেন।” (চশমায়ে মসীহি (বাংলা) পৃষ্ঠা নং ৫২)।

শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here