একবার লিখল, শুধুই শরীয়তবাহক নবীর অস্বীকারকারীকে ‘কাফের’ বলা যাবে, আরেক জায়গায় লিখল, ‘যে আমার আহবানে সাড়া দেয়না সে মুসলমান নয়।’
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
(মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন), ‘খোদাতালা আমার উপর প্রকাশ করে দিয়েছেন যে, যাদের নিকট আমার দাওয়াত পৌঁছেছে আর তারা তা কবুল করেনি এমন ব্যক্তি মুসলমান নয় এবং এরা (পরকালে) পাকড়াও হবে।’ (মির্যা কাদিয়ানীর কথিত ওহী-সমগ্র গ্রন্থ তাযকিরাহ পৃষ্ঠা নং ৫১৯; ইলহাম, মার্চ ১৯০৬ ইং, চতুর্থ এডিশন)। স্ববিরোধ কথা : (তিনি তার রচনার আরেক জায়গায় লিখেছেন), ‘এই ব্যাপারটা স্মরণ রাখা উচিত যে, আপনা দাবীর অস্বীকারকারীকে কাফের বলা সেসব নবীর বৈশিষ্ট্য যারা খোদার পক্ষ হতে শরীয়ত এবং আহকামে জাদীদাহ গ্রহণ করেন। কিন্তু একজন শরীয়তবাহক ব্যতীত যে স্তরের মুলহাম এবং মুহাদ্দাস হয় না কেন, জনাবে ইলাহির নিকট যত বিপুল পরিমাণে কথপোকথনের সম্মান অর্জনকারী ও উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন হয় না কেন; তাকে অস্বীকার করলে কেউ কাফের হবেন না।‘ (তিরয়াকুল কুলূব, রূহানী খাযায়েন ১৫/৪৩২)। স্ক্রিনশট দেখুন,
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন। স্ক্রিনশট –
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী