কেমন নিকৃষ্ট স্ববিরোধ কথা, একবার বলে মসীহ আমি ব্যতীত আর কেউ হবার সুযোগ নেই। আরেক জায়গায় লিখলো, দশ হাজারের অধিক মসীহ আসতে পারে এমনকি তা সম্ভবও।
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন) ‘সুতরাং আমি ব্যতীত দ্বিতীয় আর কোনো মসীহ এর জন্য আমার যুগের পর [দুনিয়ায়] কদম রাখার [আগমন করার] জায়গা নেই।’ (রূহানী খাযায়েন: ১৬/২৪৩; রচনাকাল ১৯০০ইং)। স্ববিরোধী কথা : ‘এই অধমের (মির্যা) পক্ষ হতেও এমনটি দাবী করা হয় না যে, মাসীহিয়ত [কথিত রূপক মসীহ্’র আগমনীধারা] আমার সত্তাতেই সমাপ্ত হয়ে গেছে এবং আগামীতে আর কোনো মসীহ্ আগমন করবেনা! বরং আমি তো মানি এবং বারবার বলিও যে, একজন কেন; দশহাজারের চেয়েও অধিক মসীহ্ আগমন করতে পারে এমনকি সম্ভব যে, প্রকাশ্য সম্মান ও সমৃদ্ধিসহকারে আগমন করবে। আরও সম্ভব যে, তিনি সর্বপ্রথম [সিরিয়ার] দামেস্ক নগরীতে অবতরণ করবেন।’ (রূহানী খাযায়েন: ৩/২৫১; রচনাকাল ১৮৯১ইং)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী