Home ঈমান আকীদা আল্লাহ’র জাতের জন্য ‘শরীর’ সাব্যস্ত করা যাবে কি?

আল্লাহ’র জাতের জন্য ‘শরীর’ সাব্যস্ত করা যাবে কি?

0

প্রশ্ন : আল্লাহ’র জাতের জন্য ‘শরীর’ সাব্যস্ত করা যাবে কি?

উত্তর : বিশিষ্ট হাদীসবিশারদ ও দার্শনিক ইমাম, শায়খ ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহি. (৭২৮ হি.) এ সম্পর্কে লিখেছেন,

فهذا الجسم في لغة العرب، وعلى هذا فلا يقال للهواء : جسم، ولا للنَّفَسِ الخارج من الإنسان : جسم، ولا لروحه المنفوخة فيه : جسم. ومعلوم أن اللّه ـ سبحانه ـ لا يماثل شيئًا من ذلك، لا بدن الإنسان ولا غيره، فلا يوصف اللّه ـ تعالى ـ بشيء من خصائص المخلوقين، ولا يطلق عليه من الأسماء ما يختص بصفات المخلوقين، فلا يجوز أن يقال : هو جسم، ولا جسد.

অর্থাৎ “আরবী ভাষায় এটিই দেহ। সেই অনুসারে বায়ুকে ‘দেহ’ বলা যায় না। কোনো ব্যক্তির নিঃশ্বাসকেও ‘দেহ’ বলা যাবেনা। মানুষের মধ্যে প্রস্ফুটিত আত্মাকেও ‘দেহ’ বলা যাবেনা। জানা আছে যে, আল্লাহ তালাকে মাখলুকের (সৃষ্টির) কোনো সিফাত বা গুণ দ্বারা গুণান্বিত করা যাবেনা এবং তাঁর জন্য এমন কোনো নাম ব্যবহার করা যাবেনা, যা সৃষ্টির বৈশিষ্ট্যের সাথে খাস। সেহেতু একথা বলা জায়েজ নয় যে, তাঁর (আল্লাহর) শরীর কিংবা দেহ রয়েছে।”

(মাজমু ফাতাওয়া, ইবনু তাইমিয়্যাহ ১৭/৩১৫)।

এ থেকে বুঝা গেল,

১. দেহ শব্দটি সৃষ্টির একটি গুণ, স্রষ্টার সাথে এটি বেমানান।

২. ‘দেহ’ আল্লাহর অন্যতম একটি সৃষ্টি। আর স্রষ্টাকে তাঁর কোনো সৃষ্টি দ্বারা গুণান্বিত করা যাবে না।

৩. আল্লাহর দেহ বা শরীর রয়েছে, এধরণের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ অনর্থক ও পরিত্যাজ্য।

৪. স্রষ্টার জাত বা সত্তাকে যেখানে দেহ বা শরীর বলে কল্পনা করাই নিষেধ, সেখানে আল্লাহর জন্য ‘ইস্তিওয়া’ বা ‘নুযূল’ শব্দগুলোকে আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করাও অসম্ভব বৈ নয়। তাই ‘সমাসীন’, ‘উপবিষ্ট’, ‘বসা’ বা ‘অবতরণ’ ইত্যাদি শব্দগুলো যথোপযুক্ত রূপকার্থেই উদ্দেশ্য, আক্ষরিক অর্থে উদ্দেশ্য নয়।

লিখক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ
শিক্ষাবিদ ও গবেষক

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি –

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here