মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮) বৃটিশদের সাহায্য সহযোগিতা করতেই ‘কাদিয়ানী জামাত’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঠিকই কিন্তু পরবর্তীতে তিনি এটিকে নিজের এবং পরিবারের জন্য অর্থোপার্জনের উৎস হিসেবে রূপ দিয়ে যান। মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের ‘আল ওসীয়্যত‘ (বাংলা অনূদিত) বইটি যে কেউই পড়লে বিষয়টি বুঝতে পারবেন। তিনি ধর্মের আদলে কবর বিক্রির নিকৃষ্ট প্রথারও প্রচলন করে গেছেন। তার মতে আল্লাহতালা নাকি তাকে ইলহামের মাধ্যমে নতুন একটি কবরের সুসংবাদ দেন। সেটির নাম ‘বেহেশতি মাকবেরা’। স্ক্রিনশট দ্ররষ্টব্য
এই কবরে দাফন হতে চাইলে তার মুরিদদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির এক-দশমাংশ তার জামাতের জন্য ওসীয়্যত করে যেতে হবে। তার মানে আপনি ১০ লক্ষ টাকার সম্পদের মালিক হলে তার থেকে ১ লক্ষ টাকা মির্যায়ী জামাতের জন্য ছেড়ে যেতে হবে।
এভাবে প্রায় ৫৫ প্রকারের চাঁদার খাত রয়েছে কাদিয়ানী জামাতে। এখানে মির্যা কাদিয়ানীর ০৫-১১-১৯০২ সালের দিকে প্রচারিত একটি প্রজ্ঞাপন তারই উর্দূ ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করে দেব।
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে উল্লেখ করছি –
ہر ایک شخص جو مرید ہے اس کو چاہیے جو اپنے نفس پر کچھ ماہواری مقرر کر دے خواہ ایک پیسہ ہو اور خواہ ایک دہیلہ اور جو شخص کچھ بھی مقرر نہیں کرتا اور نہ جسمانی طور پر اس سلسلہ کے لئے کچھ بھی مدد دے سکتا ہے وہ منافق ہے ۔ اب اس کے بعد وہ سلسلہ میں رہ نہیں سکے گا ۔ مجموعہ اشتہارت 3/469 ؛ مرزا غلام احمد قادیانی
অর্থাৎ আমার মুরিদ (শিষ্য) হওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত নিজের উপর মাসিক একটি বাজেট নির্ধারণ করা, তা পয়সা হোক বা কোনো প্রতিশ্রুতি হোক। আর যে ব্যক্তি কিছুই নির্ধারণ করে না এবং শারীরিকভাবেও এ সিলসিলার জন্য কোনোভাবেই সাহায্য-সহায়তা করে না, সে মুনাফিক। সে এর পর থেকে এই সিলসিলায় (কাদিয়ানী জামাতে) থাকতে পারবে না।” (সূত্র, মাজমু’আয়ে ইশতিহারাত ৩/৪৬৯; মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী)। প্রমাণের জন্য বইটির স্ক্রিনশট দেখুন!
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক