Home মসীহ ঈসা হাদীস সমূহের আলোকে ঈসা (আ:)-এর পুনঃ আগমনের প্রমাণ

হাদীস সমূহের আলোকে ঈসা (আ:)-এর পুনঃ আগমনের প্রমাণ

1
হাদীস সমূহের আলোকে ঈসা (আ:)-এর পুনঃ আগমনের প্রমাণ

ঈসা (আ:) উম্মতে মুহাম্মদীয়ায় শামিল হতে চেয়ে দোয়া করেছিলেন কি? এ সম্পর্কে পড়তে ক্লিক করুন। Click

পবিত্র কুরআনের বহু আয়াত দ্বারাও ঈসা (আ:)-এর পুনঃ আগমনের ইংগিত থাকার প্রমাণ রয়েছে। দলিলসহ জানতে ক্লিক করুন। Click

আজকে এখানে অতিব সংক্ষেপে শুধুমাত্র ঐ হাদীসগুলোই তুলে ধরব যেখানে সুস্পষ্টভাবে হযরত ঈসা (আ:)-এর পুনঃ আগমনের পক্ষে প্রমাণ রয়েছে। চলুন কথা আর না বাড়িয়ে হাদীস গুলো দেখে নিই।

হাদীস-১ : রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন : ثُمَّ يَنْزِلُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مِلَّتِهِ إِمَامًا مَّهْدِيًّا وَحَكَمًا عَدَلًا : অর্থাৎ অতপর মরিয়ম পুত্র ঈসা (আ:) মুহাম্মদ (সা:)-কে সত্যায়নকারী ও একজন উম্মত এবং সুপথপ্রাপ্ত ইমাম আর ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে অবতরণ করবেন। (আল-মু’জামুল আওসাত ৭/৩৩৬, হাদীস নং ৪৫৮০, ইমাম তাবারানী, রাবীগণ সকলে সিকাহ)। সম্পূর্ণ হাদীসটি অনুবাদ সহ নিম্নরূপ-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُغَفَّلٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : مَا أَهْبَطَ اللهُ تَعَالَى إِلَى الْأَرْضِ. مُنْذُ خَلْقِ آدًمَ إِلَى أَنْ تَقُوْمَ   السَّاعَةَ فِتْنَةٌ أَعْظَمُ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ وَقَدْ قُلْتُ فِيْهِ قَوْلًا لَمْ يَقُلْهُ أَحَدٌ قَبْلِيْ. إِنَّهُ آدَمُ جَعْدٌ مَمْسُوْحٌ عَيْنُ الْيَسَارِ عَلَى عَيْنِهِ ظَفْرَةٌ غَلِيْظَةٌ وَإِنَّهُ يُبْرِئُ الْأَكْمَهُ وَالْأَبْرَصُ وَيَقُوْلُ : أَنَا رَبُّكُمْ . فَمَنْ قَالَ : رَبِّي اللهُ فَلَا فِتْنَة عَلَيْهِ وَمَنْ قَالَ : أَنْتَ رَبِّيْ . فَقَدِ افْتَتَنَ يَلْبَثُ فِيْكُمْ مَّا شَاءَ اللهُ ثُمَّ يَنْزِلُ عِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا بِمُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى مِلَّتِهِ إِمَامًا مَّهْدِيًّا وَحَكَمًا عَدَلًا فَيَقْتُلُ الدَّجَّالَ. فَكَانَ الْحَسَنُ يَقُوْلُكَ : وَنَرَى ذَلِكَ عِنْدَ السَّاعَةِ. رَوَاهُ الطَّبَرَنِيْ فِيْ (الْكَبِيْرِ) وَ (الْأَوْسَطِ) وَرِجَالُهُ ثِقَاتٌ وَفِيْ بَعْضِهِمْ خِلَافٌ لَا يَضُرُّ كَمَا قَالَ فِيْ. مَجْمَع الزَّوَائِدِ ٧:٣٣٦

অনুবাদঃ “আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, মহান আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করা অবধি কেয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীতে দাজ্জালের ফেতনা অপেক্ষা জঘন্যতম আর কোনো ফেতনা পরিদৃষ্ট হবেনা। আমি তার ফেতনা সম্পর্কে এমন সব সংবাদ দেব যা আমার পূর্বে কেউই দেয়নি। নিশ্চয়ই সে হবে গোধুম বর্ণের ও কোঁকড়াচুল বিশিষ্ট, তার বাম চোখের পাতলা টিস্যু পুরোপুরি আচ্ছাদিত হবে। সে কুষ্ঠরোগী আর জন্মান্ধকে সুস্থ করতে পারবে। সে দাবী করে বলবে, আমিই তোমাদের রব! এর প্রতিউত্তরে (তখন) যে বলবে, আমার রব আল্লাহ। তাহলে তার জন্য আর কোনো পরীক্ষা নেই। আর যে বলবে, তুমিই আমার রব, সে তখন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে যাবে। আল্লাহ যতদিন চাইবেন সে তোমাদের মাঝে (সে) অবস্থান করবে। অত:পর মরিয়ম পুত্র ঈসা (আ.) নেমে আসবেন মুহাম্মদ (সা.)-এর (নবুওয়ত ও রেসালতের) সত্যায়নকারীরূপে ও তাঁরই মিল্লাতের (দ্বীনের) অনুসারী (এককথায় উম্মতরূপে) এবং একজন সুপথপ্রাপ্ত ইমাম আর ন্যায়পরায়ণ শাসক হয়ে। তিনি অত:পর দাজ্জালকে হত্যা করবেন।” [ইমাম তাবারানী তার ‘আল-মু’জামুল কাবীর‘ এবং ‘আল-মু’জামুল আওসাত্ব’ গ্রন্থদ্বয়ে এটি রেওয়ায়েত করেছেন, আর এর সকল বর্ণনাকারী সিকাহ বা বিশ্বস্ত, তবে তাদের কারো কোরো ব্যাপারে (সামান্য) জরাহ থাকলেও তাতে কোনো ক্ষতি (অসুবিধা) হবার নয়। এমনটাই বলেছেন (ইমাম নূরুদ্দীন আল হাইসামী স্বীয়) মাযমাউয যাওয়ায়েদ (৭/৩৩৬) কিতাবে]। – শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এর কিতাব থেকে।

শায়খ আলবানী রহ. এর তাহকিক- উল্লিখিত হাদীসের সকল রাবীই সিকাহ তথা বিশ্বস্ত

হাদীস-২ : রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন : فَرُدَّ الْحَدِيثُ إِلَى عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ فَقَالَ قَدْ عُهِدَ إِلَىَّ فِيمَا دُونَ وَجْبَتِهَا فَأَمَّا وَجْبَتُهَا فَلاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ اللَّهُ অতঃপর বিষয়টি ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.)-এর নিকট পেশ করা হলে তিনি বলেনঃ আমার থেকে কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু কিয়ামতের সঠিক জ্ঞান আল্লাহ ব্যতীত কারো কাছে নেই। (সুনানু ইবনে মাজাহ হাদীস নং ৪০৮১)। অতএব প্রশ্ন আসে যে, যদি আগত ঈসা প্রকৃত ঈসা না হয়ে বরং রূপক ঈসা হতেন তাহলে হযরত ঈসা (আ.) কেন বললেন যে, আমার থেকে কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে দুনিয়াতে ফেরার প্রতিশ্তি নেয়া হয়েছে? বাইবেলেও একই কথা বলা আছে। বাইবেলের নতুন নিয়মের ভাষ্যমতে,

  • “যীশু যখন জৈতুন পর্বতমালার ওপর বসেছিলেন, তখন তাঁর শিষ্যরা একান্তে তাঁর কাছে এসে তাঁকে বললেন, আমাদের বলুন, কখন এসব ঘটবে, আর আপনার আসার এবং এযুগের শেষ পরিণতির সময় জানার চিহ্নই বা কি হবে? এর উত্তরে যীশু তাদের বললেন, ‘দেখো! কেউ যেন তোমাদের না ঠকায়। আমি তোমাদের একথা বলছি কারণ অনেকে আমার নামে আসবে আর তারা বলবে, ‘আমি খ্রীস্ট।’ আর তারা অনেক লোককে ঠকাবে।” (বাইবেল : মথি, অধ্যায় নং ২৪ পদ নং ৩-৫)।

হাদীস-৩ : রঈসুল মুফাসসিরীন হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে عن ابن عباس رضى الله عنه : مد فى عمره حتى اهبط من السماء الى الارض و يقتل الدجال অর্থাৎ আল্লাহতালা তাঁর (অর্থাৎ ঈসার) হায়াত দীর্ঘায়িত করে দিয়েছেন। তিনি আকাশ থেকে দুনিয়ায় নেমে আসবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন। (তাফসীরে দুররে মানছূর ২/৩৫০)।

হাদীস-৪ : আল্লামা ইমাম সুয়ূতীর ‘দুররে মানছূর’ কিতাবের ৩য় খন্ডে ঈসা (আ.) সম্পর্কিত ‘ইন্নী মুতাওয়াফফীকা ওয়া রাফেউকা ইলাইয়্যা’ শীর্ষক আয়াতটির ব্যাখ্যায় ইমাম যাহহাক (রহ.) ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণনা করে বলেছেন :عن ابن عباس في قوله: إني متوفيك و رافعك يعني رافعك ثم متوفيك في آخر الزمان অর্থাৎ ‘ইন্নী মুতাওয়াফ্ফীকা ওয়া রাফেউকা’ এর তাৎপর্য হল তোমাকে (অর্থাৎ ঈসাকে প্রথমে) উঠিয়ে নেব তারপর শেষ যুগে পুনরায় পাঠানোর পর মৃত্যু দেব।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

হাদীস-৫ : হযরত নাওয়াস ইবনে সাম’আন (রা.) হতে বর্ণিত রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন : وَاضِعًا كَفَّيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ অর্থাৎ “…আল্লাহতালা তখন ঈসা ইবনে মরিয়মকে পাঠাবেন। তিনি দুটি হলুদ বর্ণের চাদর পরিধান করে এবং দু’হাত দু’ফিরিশতার ডানায় রেখে দামেস্কের পূর্বে (বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকায়) শুভ্র মিনারের সন্নিকটে অবতরণ করবেন।” সংক্ষেপে। (সহীহ মুসলিম, অধ্যায় কিতাবুল ফিতান, অনুবাদ তাযকেরাতুশ শাহাদাতাইন ৪৯; হামামাতুল বুশরা ৩০)।

হাদীস-৬ : হযরত আলী (রা.)-এর বিশিষ্ট শিষ্য ইমাম হাসান বছরী (রহ.) থেকে একদম সুস্পষ্টরূপে বর্ণিত আছে তিনি বলেছেন : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لليهود إن عيسى لم يمت، وإنه راجع إليكم قبل يوم القيامة অর্থাৎ রাসূল (সা:) জনৈক ইহুদীকে বলেছেন নিশ্চয় ঈসা মসীহ মৃত্যুবরণ করেননি। তিনি নিশ্চয় কেয়ামতের পূর্বে তোমাদের নিকট ফিরে আসবেন।’ (সূত্র তাফসীরে তাবারী ৫/৪৪৮; দুররে মানছূর ২/৬৪; ইমাম সুয়ূতী)। বলে রাখা জরুরী, ইমাম হাসান বসরী (রহ.) কর্তৃক বর্ণিত ‘মুরসাল’ হাদীস মুহাদ্দিসীনের নিকট দলিল-প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্য। (নাখবাতুল ফিকার)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

হাদীস-৭ : পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরান এর ১৪৪ নং আয়াত ‘ক্বদ খালাত মিন কবলিহির রসুল’ নাযিল হওয়ার ছয় বছর পর অর্থাৎ হিজরী নবম-বর্ষে নাজরানের খ্রিস্টান প্রতিনিধি দল যখন রাসূল (সা.)-এর নিকট আসলেন, তখন তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বললেন : الستم تعلمون ان ربنا حى لا يموت و ان عيسى يأتى عليه الفناء অর্থাৎ আপনারা কি জানেন না যে, আমাদের প্রভু চিরঞ্জীব আর মৃত্যু নিশ্চয় ঈসার নিকট আসবে? (তাফসীরে তাবারী ৩/১৩০, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম ৯/৪০৮; তাফসীরে গারায়েবুল কুরআন ১/২৯৫)। এখানে লক্ষণীয় হল, আয়াতটি ঈসা (আ.)-কে মৃত প্রমাণ করলে রাসূল (সা.) কখনোই ‘মৃত্যু ঈসার নিকট আসবে’ বলতেন না।

হাদীস-৮ : রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন : والذى نفسى بيده ليوشكن ان ينزل فيكم ابن مريم حكما عدلا الخ অর্থাৎ কসম সেই সত্তার যার হাতে আমার প্রাণ, অতিসত্বর তোমাদের মাঝে মরিয়ম পুত্র একজন ন্যায়পরায়ণ প্রশাসকরূপে অবশ্যই নাযিল হবেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল আম্বিয়া হাদীস নং ৩২৬৪)।

  • উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে এই কসমটি সাব্যস্ত করছে প্রদত্ত সংবাদটি বাহ্যিক অর্থে পুরো হবে এর রূপক অর্থ করা যাবেনা। (কসম সম্বলিত হাদীসের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এইরূপই বলা আছে। দেখুন, হামামাতুল বুশরা [বাংলা] পৃষ্ঠা নং ২৭)।

হাদীস-৯ : রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন : كيف انتم إذا نزل عيسى بن مريم من السماء فيكم وامامكم منكم অর্থাৎ তখন তোমাদের কেমন (আনন্দ) হবে যখন (ঈসা) ইবনে মরিয়ম আকাশ থেকে তোমাদের মাঝে নাযিল হবেন আর তখন তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য হতে হবেন।” (সুনানে বায়হাক্বীর সংকলক কর্তৃক সংকলিত ‘আল আসমা ওয়াস সিফাত’ ২/৩৩১; হাদীস নং ৮৯৫, বাবু ক্বওলিল্লাহি আজ্জা ওয়া জাল্লা লি-ঈসা ইন্নী মুতাওয়াফ্ফীকা ওয়া রাফিউকা ইলাইয়্যা; হাদীসের মান : সহীহ; রাবীদের সবাই সহীহ বুখারীর রাবী)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

হাদীস-১০ : সহীহ মুসলিম শরীফের ‘কিতাবুল ফিতান’ অধ্যায়ে দীর্ঘ একটি হাদীসের খন্ডাংশে এসেছে, ইমাম মাহদী ঈসা (আ.)-কে সালাতের ইমামতির জন্য অনুরোধ করবেন। হাদীসের ভাষ্য : فَيَقُولُ أَمِيرُهُمْ تَعَالَ صَلِّ لَنَا (ফা-ইয়াকূলু আমীরুহুম! তা’আল ছল্লি লানা) অর্থাৎ …এরপর তাদের ‘আমীর’ বলবেন, আপনি আমাদের সালাত পড়িয়ে দিন!

বিশিষ্ট যুগ ইমাম মোল্লা আলী ক্বারী (রহ:)-এর ‘মেরকাত’ কিতাবে “আমীর”-এর ব্যাখ্যায় লিখা আছে : اى المهدى অর্থাৎ মুসলমানদের সেই আমীর লোকটিই ইমাম মাহদী, যিনি ঈসাকে ইমামতির জন্য অনুরোধ করবেন। তিনি আরো লিখেছেন: ঈসা (আ.) প্রতিউত্তরে সালাত পড়াতে অস্বীকার করে ‘না’ সূচক জবাব দেবেন। তার মানে, আমি তোমাদের (এই সালাতের) ইমাম হব না, যাতে তোমাদের জন্য আমার (এই) ইমামতি তোমাদের দ্বীনে মুহাম্মদী রহিত হয়ে যাওয়া মর্মে (তোমাদের ভেতরে) কোনো সংশয় তৈরী না করে। (মেরকাত শরহে মেশকাত, কিতাবুল ফিতান ১০/১৬৫)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

সুতরাং প্রমাণিত হল যে, ইমাম মাহদী এবং প্রতিশ্রুত মসীহ তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দু’ব্যক্তিই হবেন। ফলে মির্যা কাদিয়ানীর নিজেকে একই সাথে মসীহ এবং প্রতীক্ষিত মাহদী দাবী পুরোই হাস্যকর।

হাদীস-১১ : দীর্ঘ একটি হাদীসের খন্ডাংশে উল্লেখ আছে, হাশরবাসীরা শাফায়াতে কোবরা মুহূর্তে ঈসা (আ.)-এর নিকট শাফায়াতের আবেদন করলে তিনি তখন এই বলে অক্ষমতা প্রকাশ করবেন, اِنِّى اُتُّخِذتُ الها مِن دون الله و انه لا يُهِمُّنِى اليوم الا نفسى অর্থাৎ আমাকে আল্লাহ ব্যতীত একজন ইলাহরূপে গ্রহণকরা হয়েছিল। তাই আজ আমি শুধুমাত্র নিজেকে নিয়েই চিন্তিত। (মুসনাদে আহমদ ৩:১০২-৩, মাজমাউজ জাওয়ায়েদ ১/৩৭৩; আবুদাউদ আত্-ত্বয়ালিসী ২/২২৬, রাবীদের সবাই সহীহাইনের, হাদীসের মান : সহীহ লি গয়রিহি)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

সুতরাং প্রমাণিত হল যে, ঈসা (আ.) দ্বিতীয়বার দুনিয়াতে আগমন করবেন বলেই খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদ সম্পর্কে কেয়ামত দিবসে তাঁর জানা থাকবে। অন্যথা তিনি কেয়ামতের দিন কিভাবে জানতে পারবেন যে, খ্রিস্টানরা তাঁকে উপাস্য বানিয়ে ত্রিত্ববাদে লিপ্ত হয়েছিলো?

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

1 COMMENT