কাদিয়ানীবন্ধুদের একটি উদ্ভট ও সংশয়পূর্ণ প্রশ্ন এবং তার জবাব :
প্রশ্ন : মুহাম্মদে আরবী (সাঃ) সারা জীবনে কতভাবেই রক্তাক্ত হলেন, কত কষ্ট সহ্য করলেন; তবু আল্লাহতালা তাঁকে আকাশে উঠিয়ে নেন নি। তাহলে সেই আল্লাহ ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ)-কে কিজন্য উঠিয়ে নেবেন? ঈসা (আঃ)-এর মর্যাদা কি উনার চেয়েও বেশি ছিল? কারো কারো প্রশ্ন এটাও যে, আল্লাহতালা রক্ষা করতে গিয়ে ঈসা (আ:)-এর ক্ষেত্রে কিজন্য ব্যতিক্রম করলেন? কেনই বা আকাশে উঠিয়ে নেবেন? (কাদিয়ানীদের আপত্তি শেষ হল)।
জবাব :
প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের ভঙ্গিতে বুঝা যাচ্ছে যে, আকাশে যেতে পারা কিবা কাউকে আকাশে উঠিয়ে নেয়া বিশেষ কোনো মর্যাদার প্রমাণ! যদি এমনই হয় তাহলে এইরকম দাবীদার যিনি তিনি যেন স্বীয় দাবীর পক্ষে দলিল পেশ করেন! এই হল একটি জবাব। আর যারা ঈসা (আঃ)-এর ক্ষেত্রে আল্লাহতালার ব্যতিক্রমী উদ্যোগের উপর আপত্তি তুলছেন এবং তিনি কখন কীরকম উদ্যোগ নেবেন তা তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে বলছেন, তাদের নিকট আমারও প্রশ্ন, আল্লাহতালা তো ঈসা (আঃ)-কে পিতা ছাড়াই দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন! তো আপনারা এর উপর কিজন্য আপত্তি তুলেন না? অথচ এটিও তাঁর ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছিল! আগে এর জবাব দিন!!
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি লিখা। পড়তে ক্লিক করুন, কাদিয়ানীদের আসল চেহারা – Click
√ এবার, ঈসা (আ:)-এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়ার কারণ সম্পর্কে বলছি!
হযরত ঈসা (আ)-এর মর্যাদা মুহাম্মদে আরবী (সা:)-এর চেয়ে কোনো ভাবেই বেশি ছিলনা। তবু আল্লাহতালা ঈসাকে জীবিত সশরীরে আকাশে উঠিয়ে নেন। এর অন্যতম একটি কারণ, ঈসায়ী ধর্মাবলম্বীদের দাবী ছিল, হযরত ঈসা (আঃ) তাদেরকে তাঁকে এবং তাঁর মাতা বিবি মরিয়মকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করতে বলে গেছেন! (নাউযুবিল্লাহ)। এ কথা উল্লেখ আছে সূরা মায়েদার ১১৬ নং আয়াতে। ঈসা (আঃ)-কে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠিয়ে আল্লাহতালা ঈসায়ীদের সেইসব আজগুবি দাবীর মূলোৎপাটন করে তাঁকে তাদের অপবাদ থেকে পবিত্র করবেন। সূরা আলে ইমরান আয়াত নং ৫৫ পড়ে দেখুন। আল্লাহতায়ালা ভবিষ্যৎবাচক শব্দ ‘ওয়া মুতাহহিরুকা মিনাল্লাযীনা কাফারূ’ আয়াত নাযিল করেছেন। যার একটি তাৎপর্য এটিও যে, “এবং আমি (অচিরেই) তোমাকে কাফেরদের (নিকৃষ্ট অপবাদ) থেকে পবিত্র করব।” কাজেই মুসলমানরা বিশ্বাস করেন যে, ঈসা (আঃ)-এর পুনরায় আগমনের অন্যতম কারণ এটাও।
কাদিয়ানীদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন, আল্লাহতালা আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) -কে পরবর্তীতে আবার পাঠানোর উদ্দেশ্যে কিজন্য আকাশে উঠিয়ে নেবেন? বর্তমানে আমরা উম্মতে মুহাম্মদীয়া কি ঐ খ্রিস্টানদের মত বলি বা বিশ্বাস করি যে, মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদেরকে তাঁরও (সাঃ) উপাসনা করতে বলে গেছেন? নিশ্চয়ই না।
আরেকটি কারণ হল, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এমন মর্যাদার অধিকারী ছিলেন যে, যদি তাঁর যামানাতেও কোনো নবীর আবির্ভাব হত তাদের জন্যও মুহাম্মদ (সাঃ) -এর আনুগত্য করা আবশ্যক হয়ে যেত। সূরা আলে ইমরানের ৮১ নং আয়াতের “মীছা-ক্বান নাবিয়্যীনা” (مِیۡثَاقَ النَّبِیّٖنَ) দ্বারা মূলত নবীগণ থেকে সেই গৃহীত অঙ্গীকারের দিকেই ইংগিত করা হয়েছে। ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে আবার যখন আসবেন তখন আল্লাহতালা তাঁর মাধ্যমে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নবুওয়ত এবং রেসালতের তাসদীক বা সত্যায়ন করার মাধ্যমে উক্ত অঙ্গীকার পূর্ণ করবেন। কাজেই ঈসা (আঃ)-কে উঠিয়ে নেয়া হল কেন, এমন প্রশ্ন একে তো আল্লাহর ইচ্ছায় চরম বেয়াদবিমূলক মন্তব্য, দ্বিতীয়ত ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব।
মীছা-ক্বান নাবিয়্যীন (مِیۡثَاقَ النَّبِیّٖنَ) শীর্ষক আয়াতাংশের তাফসীর :
وَ اِذۡ اَخَذَ اللّٰہُ مِیۡثَاقَ النَّبِیّٖنَ لَمَاۤ اٰتَیۡتُکُمۡ مِّنۡ کِتٰبٍ وَّ حِکۡمَۃٍ ثُمَّ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَکُمۡ لَتُؤۡمِنُنَّ بِہٖ وَ لَتَنۡصُرُنَّہٗ ؕ قَالَ ءَاَقۡرَرۡتُمۡ وَ اَخَذۡتُمۡ عَلٰی ذٰلِکُمۡ اِصۡرِیۡ ؕ قَالُوۡۤا اَقۡرَرۡنَا ؕ قَالَ فَاشۡہَدُوۡا وَ اَنَا مَعَکُمۡ مِّنَ الشّٰہِدِیۡنَ
অর্থ:- আর যখন আল্লাহ নবীদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিলেন যে, আমি তোমাদেরকে কিতাব ও প্রজ্ঞা দান করছি, অতঃপর তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থকরূপে যখন একজন রসূল আসবে, তখন নিশ্চয় তোমরা তাঁকে বিশ্বাস ও সাহায্য করবে।
তিনি বললেন, ‘তোমরা কি স্বীকার করলে এবং আমার অঙ্গীকার গ্রহণ করলে?’ তারা বলল, ‘আমরা স্বীকার করলাম।’ তিনি বললেন, ‘তবে তোমরা সাক্ষী থাক এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।’ (আলে ইমরান ৮১)।
- তাফসীর : প্রত্যেক নবীর কাছ থেকে এই অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে যে, তাঁর জীবদ্দশায় এবং তাঁর নবুওয়তকালে যদি অন্য একজন নবী (তথা মুহাম্মদ) এর আবির্ভাব ঘটে, তাহলে এই নবাগত নবীর প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর সহযোগিতা করা অত্যাবশ্যক হবে। কোনো কোনো মুফাসসির رَسُوْلٌ مُصَدِّقٌ (সমর্থক রসূল) থেকে মুহাম্মদ (সাঃ)-কে বুঝিয়েছেন। অর্থাৎ, মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ব্যাপারে অন্য সমস্ত নবীর কাছ থেকে অঙ্গীকার নেওয়া হয়েছে যে, যদি তাঁদের যুগে তিনি এসে যান, তাহলে নিজেদের নবুওয়তের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে এই নবীর উপর ঈমান আনতে হবে। সুতরাং এ কথাও পরিষ্কার হয়ে যায় যে, মুহাম্মদ (সাঃ)-এর নবুওয়তের সূর্য উদিত হওয়ার পর আর কোনো নবীর (নবুওয়তের) প্রদীপ উজ্জ্বল থাকবে না। যেমন, হাদীসে এসেছে যে, একদা হযরত উমর (রাঃ) তাওরাতের কয়েকটি পাতা নিয়ে পড়ছিলেন। তা দেখে নবী করীম (সাঃ) রাগান্বিত হয়ে বললেন, “সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মদের প্রাণ! যদি মুসা (আঃ)ও জীবিত থাকত আর তোমরা আমাকে ছেড়ে তাঁর অনুসারী হয়ে যেতে, তাহলে অবশ্যই তোমরা ভ্রষ্ট হয়ে যেতে।” (রেফারেন্স, মুসনাদ আহমদ, তাফসীরে ইবনে কাসীর)।
আরও একটি কারণ হল, উম্মতে মুহাম্মদীয়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ করা। কেননা সহীহ মুসলিম শরীফের ২৮৬ নং হাদীসে উল্লেখ আছে, ঈসা (আঃ) যখন নাযিল হবেন তখন তাঁকে সালাতের ইমামত করার জন্য তদানিন্তন সময়কার মুসলমানদের আমীর (ইমাম মাহদী) বলবেন, তা’আল ছাল্লি লানা। তখন প্রতিউত্তরে ঈসা (আঃ) বলবেন, লা, ইন্না বা’দ্বাকুম আ’লা বা’দ্বিন উমারা-য়ু। তথা না, (বরং তোমাদেরই কোনো একজন ইমাম নিযুক্ত হও) নিশ্চয় তোমরা একে অন্যের উপর নেতৃত্ববান। ঈসা (আঃ) তারপর এও বলবেন, তাকরিমাতাল্লাহি হা-যিহিল উম্মাহ। অর্থাৎ ‘এটি এই উম্মতের জন্য আল্লাহপ্রদত্ত বিশেষ সম্মান।’ সুতরাং প্রমাণিত হল, ঈসা (আঃ)-এর পুনরায় আগমনের আরেক উদ্দেশ্য স্বয়ং ঈসার পবিত্র জবানীতে এ উম্মতের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ করা। যারা ঈসা (আঃ)-এর পুনঃআগমনে অবিশ্বাসী তারা মূলত উম্মতে মুহাম্মদীয়ার মধ্যে শামিল নন ।
হযরত ঈসা (আঃ) উম্মতে মুহাম্মদীয়ার অন্তর্ভুক্ত হতে চেয়ে প্রার্থনা করেছিলেন কি? উত্তর এখানে। ক্লিক করুন Click
√ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে রক্ষা করা প্রসঙ্গে :
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-কে কাফেরদের থেকে রক্ষা করা বিষয়ে কয়েকটি কথা বলতে চাই। সত্য বলতে কি, কাদিয়ানীরা হয়ত ভেবেও দেখেনি যে, তারা বরং নিজেদেরই যুক্তিতে নিজেরাই ফেঁসে যাচ্ছেন। কিভাবে দেখুন। আল্লাহতালা প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ (সাঃ)-কে পবিত্র কুরআনে (৫:৬৬) ‘ইয়া’ছিমুকা মিনান নাস’ বলে রক্ষা করার প্রতিশ্রতি দেয়ার ফলে কোনো কাফেরই নবী করীম (সাঃ)-কে পাকড়াও করবে তো দূরের কথা, কাছেও ঘেঁষতে দেননি। আল্লাহতালা তাঁকে (সাঃ) নিরাপদে মদীনায় পৌঁছিয়ে দেন। এই মর্মে এখন আমি কাদিয়ানীদের প্রশ্ন করতে চাই, রাসূল (সাঃ)-কে আল্লাহতালা রক্ষা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি সেই প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করতে পারলে তবে কেন ঈসা (আঃ)-এর ক্ষেত্রেও তিনি তাঁর “ওয়া ইয কাফাফতু বানী ইসরাঈলা আনকা” (কুরআন/০৫:১১০) বলে ঐ প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করতে পারবেন না? যদি তিনি এক্ষেত্রেও আপনা ঐ প্রতিশ্রুতি (অর্থাৎ বনী ইসরাইল থেকে ঈসাকে নিবৃত রাখার প্রতিশ্রুতি) শতভাগ রক্ষা করতে পেরেছেন বলেই বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে কিজন্য আবার একথা বলেন যে, ইহুদীরা ঈসাকে পাকড়াও করেছিল এবং শূলির উপরেও চড়িয়েছিল? (নাউযুবিল্লাহ)। আসলে আপনাদের কথাবার্তা সম্পূর্ণ অচিন্তনীয় এবং জগাখিচুড়ি!
এবার হয়ত কেউ জানতে চাইবেন যে, ঈসা (আঃ)-এর হায়াত বিলম্বিত করে সশরীরে আকাশে উঠিয়ে নেয়ার পক্ষে দলিল কোথায়? জবাবে বলব, হ্যাঁ দলিল অবশ্যই আছে। এই যে দেখুন খোদ মির্যা কাদিয়ানী সাহেব ঈসা (আঃ) সম্পর্কে পরিস্কার করে লিখে গেছেন, “উসকি হক মে নবীয়ে মা’ছূম কি ফেশগূয়ী মে ইয়ে আলফাজ আয়ে কে, ওহ আসমান চে উতরেগা”। অর্থাৎ তার সম্পর্কে নিস্পাপ নবী (সাঃ)-এর ভবিষ্যৎবাণীর ভেতর এই শব্দটি আছে যে, তিনি (ঈসা) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন।” (রূহানী খাযায়েন খন্ড নং ৫ পৃষ্ঠা ২৬৮)। তবে হ্যাঁ, মির্যা সাহেব এতটুকুর মধ্যে থেমে যাননি। তিনি এর পরে ‘ইয়ানী’ বা তথা বলে নবী (সাঃ)-এর উক্ত ভবিষ্যৎবাণীর একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। যা তিনি নিজের মত করেই দিয়েছেন।
ঈসা (আঃ)-এর আয়ুষ্কাল দীর্ঘ করে দেয়া সম্পর্কে দলিল এখানে Click
এখন কাদিয়ানীদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন হল, ঈসা (আঃ) যদি বর্তমানে আকাশেই থাকেন আর অচিরেই পুনঃ আগমন করে থাকেন তাহলে এমন একজনকে মৃত আখ্যা দেয়ার মানে কোনো মৃতকে পুনরায় জীবিত হয়ে ফিরে আসার বিশ্বাস লালন করা নয় কি? কাদিয়ানী মতাবলম্বীদের ভাবিয়ে তুলবে কিনা?
আরো যদি দলিল দেখতে চান তাহলে ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতি (রহঃ) রচিত তাফসীরের কিতাব ‘দুররে মানসুর’ এর ২য় খন্ডটি হাতে নিন। ৩৫০ নং পৃষ্ঠায় হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে ঈসার আয়ুস্কাল দীর্ঘ করে দেয়া সম্পর্কিত হাদীসটি কেমন শব্দচয়নে উল্লেখ আছে দেখে নিন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন : “ওয়া মাদ্দা ফী উমরিহী হাত্তা আহবাতা মিনাস সামায়ী ইলাল আরদ্বি ওয়া ইয়াক্বতুলুদ দাজ্জাল।” অর্থাৎ আকাশ থেকে পৃথিবীতে তার নিচে নেমে আসা পর্যন্ত তিনি তাঁর আয়ুষ্কাল বিলম্বিত করে দিয়েছেন। তিনি দাজ্জালকে হত্যা করবেন। এটি ইমাম সুয়ূতি (রহঃ) তার উক্ত কিতাবে ‘ইন তু’আজ্জিবহুম ফা-ইন্নাহুম ইবাদুকা’ শীর্ষক আয়াতের প্রেক্ষিতে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেছেন। আহমদীবন্ধু! এবার ইবনে আব্বাস (রাঃ) সম্পর্কে যাইচ্ছে তাই বলে আত্মতৃপ্তি নিতে থাকুন!
আসলে কাদিয়ানীদের জ্ঞানের বক্রতা থেকেই চিন্তার বক্রতার সৃষ্টি। অন্যথা ঈসা (আঃ)-এর রফয়ে আসমানি’র উপর অনুমান করে সর্বশেষ পয়গম্বর মুহাম্মদে আরবি (সা:)-কেও তারা আকাশে পাঠিয়ে দিতে চাইবে কেন? আমি হবাক হবনা যদি শুনি কোনো কাদিয়ানী যুক্তি দাঁড় করল এই বলে যে, আল্লাহ তায়ালা ঈসা (আঃ)-কে পিতা ছাড়া দুনিয়াতে পাঠালেও মুহাম্মদে আরবী (সাঃ)-কে তদ্রূপ পাঠাননি কেন? আল্লাহ’র নিকট মুহাম্মদে আরবি (সাঃ) অপেক্ষা ঈসা (আঃ)-এর শান ও মর্যাদা কি বেশি ছিল? (আসতাগফিরুল্লাহ)।
পরিশেষে কাদিয়ানীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আকাশে কাউকে উঠিয়ে নেয়া যদি কোনো বিশেষ মর্যাদা কিবা শ্রেষ্ঠত্বের কারণ হত, তাহলে মানুষের বিপরীতে ফেরেশতাজাতি-ই আশরাফুল মাখলূকাত হতে পারত। তার কারণ আকাশে যারা বাস করছেন তারা কিন্তু সবাই ফেরেশতা। এখন এর কী জবাব? আশাকরি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। ওয়াসসালাম।
এ লেখাগুলোও পড়া যেতে পারে :
১- পবিত্র কুরআন দ্বারাও প্রমাণিত ঈসা (আঃ) এখনো জীবিত এবং তিনি দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। Click
২- ত্রিশ আয়াতের ভুল ব্যাখ্যার খন্ডনমূলক জবাব Click
৩- হাদীসের অপব্যাখ্যায় কাদিয়ানীদের দুই ঈসা তথ্যের খন্ডন Click
৪- বাইবেল দ্বারাও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত আছে যে, কথিত রূপক ঈসার কনসেপশন শুধুই মানুষকে ঠকানো! Click
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
শিক্ষাবিদ ও গবেষক