- কাদিয়ানীবন্ধুরা! অপ্রাসঙ্গিক কমেন্ট করা বাদ দিয়ে আসুন, চ্যালেঞ্জ কবুল করুন! মূল পোস্টের লিংক : ক্লিক করুন
আপনি সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রশ্নটি করতে পারেন কিন্তু শতভাগ নিশ্চিত থাকুন যে, উত্তর পাবেন না! শুধু তোতাপাখির মত সেই একই কথা শুনবেন – তোমরা ঈসাকে মরিতে দাও, তবেই ইসলামের জীবন রক্ষা হবে!! আসল কথা হল, ঈসাকে মারতে পারলেই তবে মির্যা কাদিয়ানীর “রূপক ঈসা” দাবীর ষোলকলা পূর্ণ হবে! হায়রে মতলববাজ!! মতলববাজি কি সব সময় গোপন থাকবে!! কিন্তু অধিকাংশ সিজোফ্রেনিয়া পাড়ার নির্বোধ কাল্টগুলা বুঝেনা, আর বুঝানোর সাধ্যও বা আছে কার!!
এবার প্রশ্ন দুটির উত্তর দিন অন্যথা শুধু দৌড়ের ওপরে থাকুন…….
প্রশ্ন ১- পবিত্র কুরআন থেকে এমন একটি আয়াত উল্লেখ করুন যেখানে ঈসা (আ:)-এর নাম বা তৎসংশ্লিষ্ট সর্বনামপদ উল্লেখপূর্বক অতীতকালবাচক এমন কোনো ক্রিয়াপদও উল্লেখ আছে অভিধানে যেটির প্রকৃত অর্থ মৃত্যুও নেয়া হয়েছে আর মির্যা কাদিয়ানীর জন্মের পূর্বে যত যুগ ইমাম গত হয়েছেন তাদের মধ্য থেকে স্রেফ কোনো একজনও ঐ আয়াত দ্বারা ঈসা (আ:)-কে মৃত বলেছেন বা মনে করতেন! আসুন, এইরকম কোনো আয়াত যদি পেশ করতে পারেন তাহলে করুন!
প্রশ্ন ২- পবিত্র হাদীস থেকে শুধু এমন একটি হাদীস উল্লেখ করুন যেখানে ঈসা (আ:)-এর নাম বা তৎসংশ্লিষ্ট সর্বনামপদ উল্লেখপূর্বক অতীতকালবাচক এমন কোনো ক্রিয়াপদও উল্লেখ আছে অভিধানে যেটির প্রকৃত অর্থ মৃত্যুও নেয়া হয়েছে। এই ক্ষেত্রে ঐ হাদীসটির সনদ সহ উল্লেখ করতে হবে। আপনাদের আরো সহজ করে দিচ্ছি যে, ঐ সনদটি মারফূ/মুরসাল/মওকুফ যে কোনটাই হোক, তবে সনদের (Chain of narration) কোনো রাবী তথা বর্ণনাকারী সম্পর্কে জরাহ তা’দীলের বরেণ্য কোনো মুহাক্কিকের (হাদীস-শাস্ত্রবিদ) এমন কোনো নেতিবাচক উক্তি থাকতে পারবেনা যার ফলে সনদের বিচারে ঐ হাদীসটি জাল কিংবা পরিত্যাজ্য হিসেবে গণ্য হয়!
আসুন, আমার এই চ্যালেঞ্জ কবুল করুন। যদি চ্যালেঞ্জ কবুল করতে না পারেন তাহলে এই টপিকে ত্যানা-প্যাচানো বাদ দিয়ে মির্যা কাদিয়ানীর জীবন-চরিত্র নিয়ে আলোচনায় আসুন!
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।