প্রশ্ন : আল্লাহ যাঁকে নবী করে পাঠিয়েছিলেন দুনিয়াতে মৃত্যুর সময়ে তাঁর কি ঈমান ও আমলের ঘাটতি হবে, যার দরুণ তিনি (আ:) মারা যাবেন একজন অ-নবী হিসেবে?
উত্তর : না, তাঁর ঈমান ও আমলের কোনো ঘাটতি হবেনা। তাই তাঁর জন্য মৃত্যুর সময় অ-নবী হিসেবে মারা যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তবে কথা হচ্ছে প্রিয় নবী (সা:) এর ভবিষ্যৎবাণীতে বুঝা যাচ্ছে যে, তখন তিনি নবুওয়তের দায়িত্বে না থেকে শুধুমাত্র একজন ন্যায়পরায়ন প্রশাসক ও পরিপূর্ণ সুপথপ্রাপ্ত ইমাম আর মুহাম্মদ (সা:)-এর শরীয়তের উপর আমলকারী শুধু একজন ‘উম্মতি’ হবেন। [সহীহ বুখারী কিতাবুল আম্বিয়া হা/২৩৬৪; মসনাদে আহমদ হা/৯১১৭; তাফসীরে কাশশাফ, ইমাম যামাখশারী]।
প্রশ্ন : অ-নবী হিসেবে মারা গেলে ঈসা (আ:) তো আর পরকালেও নবী থাকবেন না। কেননা মউতের দুয়ার দিয়ে তিনি তাঁর যে পরিচিতি নিয়ে যাবেন সেই পরিচিতিই তো হবে তাঁর পরকালের পরিচয়, নয় কি?
উত্তর : আগেই বলেছি যে, তিনি অ-নবী হিসেবে মারা যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা; বড়জোর তখন তিনি নবুওয়তের দায়িত্বে থাকবেন না। মির্যা কাদিয়ানী সে নিজেও ঈসা (আ:) প্রসঙ্গে লিখে গেছে : আগত মসীহ’র জন্য আমাদের নবী করীম (সা:) নবুওয়ত শর্ত করেননি। [দেখুন রূহানী খাযায়েন ৩/৫৯]। সুতরাং মউতের দুয়ার দিয়ে তিনি যখন প্রবেশ করবেন তখন তিনি একই সাথে একজন পুরাতন নবী এবং উম্মতি উভয় পরিচিতি নিয়ে প্রবেশ করবেন। এটি তাঁর প্রতি মহান আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ বলতে হবে।
প্রশ্ন : অ-নবী হিসেবে তাঁর যদি পুনরুত্থান ঘটে তাহলে আল্লাহ তাঁকে (আ:) তাঁর উম্মতের পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্কে জবাবদিহি করবেন কি করে?
উত্তর : না, অ-নবী হিসেবে তাঁর (আ:) পুনরুত্থান ঘটার কোনো কারণ নেই। যেহেতু তিনি মউতের দুয়ার দিয়ে একজন পুরাতন নবী হিসেবেও প্রবেশ করবেন।
- লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক