হযরত মওলানা লাল হোসাইন আখতার (রহ:) কেন কাদিয়ানী থেকে ইসলামে ফিরে এলেন?

0
হযরত মওলানা লাল হোসাইন আখতার (রহ:) কেন কাদিয়ানী থেকে ইসলামে ফিরে এলেন?
.

সংক্ষিপ্ত পরিচয় :

জন্মসূত্রে একজন মুসলমান। অতপর ১৯২৪ সালে কাদিয়ানী লাহোরী গ্রুপে কনভার্ট হন। লাহোরী গ্রুপের তাবলীগী আহমদীয়া কলেজে ভর্তি হয়ে বাইবেল, সংস্কৃত ভাষা এবং বেদসহ মির্যায়ী যাবতীয় বিষয়ে পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি প্রায় আট বছর ‘আহমদীয়া এসোসিয়েশন’ এর সেক্রেটারী এবং ‘পয়গামে ছুলহে’ পত্রিকা এর এডিটর ও ‘মুহছিল’ ইত্যাদীর নানা পদে যিম্মাদার ও লাহোরী জামাতের তার্কিক মুবাল্লিগদের চিফ ইনসার্চ ছিলেন। ৭ই মে ১৯৩২ সালে ইসলাম গ্রহণের পর কাদিয়ানীরা উনার উপর নানা জায়গায় হামলা করে। উপায়ন্তর না দেখে অর্থের বিনিময়ে উনার মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টাও করে। কিন্তু উনি বরাবরই তৎকালীন কাদিয়ানীদের দ্বিতীয় খলিফা মির্যাপুত্র বশির উদ্দীন মাহমুদকে মুনাজারা (বিতর্ক) করার উদাত্ত আহবান জানান। কিন্তু মুনাজারার আহবান তো গ্রহণ করেইনি, বরং অফিসিয়ালিভাবে তারা ‘দৈনিক আল ফজল’ পত্রিকায় এই মর্মে ডিগ্রি জারি করে দেয় যে, মাওলানা লাল হোসাইন আখতার এর সাথে কখনো কেউ মুনাজারায় যোগ দেবেনা। সকল কাদিয়ানী মুরুব্বীর প্রতি উক্ত ঘোষণা আমলে নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। দেখুন ‘আল ফজল’ পৃষ্ঠা নং ৪, ১লা জুলাই ১৯৫০ ইং। তিনি জীবনের শেষ দিকে পাক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওত এর মহামান্য আমীরের পদ মর্যাদা লাভ করেন। তিনি ১১ই জুন ১৯৭৩ইং ইন্তেকাল করেন। হযরত মাওলানা মুফতি যাইনুল আবেদীন সাহেব উনার জানাযা পড়ান।

ইসলামে ফিরে আসার বিস্তারিত ঘটনা :

হযরত মওলানা লাল হোসাইন আখতার (রহ:) বলেন, একবার লাহোরী জামাতের কয়েকজন মুবাল্লিগ (মিশনারী সদস্য) আমার সাক্ষাতে এলো। তারা আমার নিকট খুবই জোরদারের সাথে তাদের জামাতের দাওয়াতি কার্যক্রমের বর্ণনা দিল। ইসলামের খেদমতে মির্যা কাদিয়ানীর সীমাহীন আত্মোৎসর্গের কথাও শুনাল। তারা আমাকে বলল, আমাদের (লাহোরী) জামাতের সেই আকীদা (ধর্মমত) যা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতেরও আকীদা। মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নবুওয়তের দাবীদার ছিলেন না। যারা মির্যা কাদিয়ানীর প্রতি নবুওয়ত দাবীর আপত্তি তুলে তারা আসলে মির্যা সাহেবের ব্যাপারে সুস্পষ্ট মিথ্যা, অপবাদ আর বাগাড়ম্বর করে বেড়ায়। তারা তাদের এসমস্ত বক্তব্যের পক্ষে প্রমাণ হিসেবে মির্যা কাদিয়ানীর প্রথম দিককার লেখিত বইগুলো হতে উদ্ধৃতি দিয়ে আমাকে শুনালো যেখানে মির্যা কাদিয়ানী সাহেব নবুওয়ত দাবীদারকে কাফের, দাজ্জাল এবং ইসলামের দায়েরা (গন্ডি) থেকে খারিজ আখ্যা দিয়েছেন। আর যেহেতু মির্যায়ী মতবাদ সম্পর্কে আমার তখনো পর্যন্ত পড়াশোনা ছিল শূন্যের কোটায়, তাই ইসলামের তাবলীগের নামে আমি তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে দিলাম এবং দুর্ভাগ্যবশত আমি মির্যা কাদিয়ানীর মুজাদ্দিয়ত এবং মাহদিয়তের ফাঁদ আপনা গলায় তুলে নিলাম। আমি তাদের জামাতে বাইয়াত নেয়ার পর জামাতের আঞ্জুমানের তাবলীগী কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম। সেখানে সংস্কৃত এবং ভেদগুলোসহ ইত্যাদী বইপুস্তক অধ্যায়ন করলাম। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোর্স সম্পূর্ণ করলাম। অতপর একজন সফল মুবাল্লিগ হিসেবে তারা আমাকে তাবলীগ এবং ইশায়াতের কাজে নিযুক্ত করলেন। এই সময় আমি শুধুমাত্র একজন মুবাল্লিগ আর মুনাজির (তার্কিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করিনি বরং ‘আহমদীয়া এসোসিয়েশন’ এর একজন সেক্রেটারী এবং ‘পয়গামে ছুলহে’ পত্রিকা এর এডিটর ও ‘মুহছিল’ ইত্যাদীর নানা পদে যিম্মাদারী পালন করেছিলাম। আমি আট (৮) বছর পর্যন্ত চরম প্রচেষ্টা আর আত্ম-ত্যাগের মাধ্যমে মির্যায়ী মতবাদের তাবলীগ এবং ধর্মপ্রচার করেছিলাম।

১৯৩১ সালের মাঝামাঝি সময়ের কথা। আমি একাধিকবার স্বপ্ন দেখলাম। স্বপ্নে মির্যা কাদিয়ানী ভয়ংকর বীভৎস চেহারায় সাক্ষাৎ দিলেন এবং তাকে খুবই খারাপ অবস্থায় দেখতে পেলাম। আমি স্বপ্নের এই ঘটনা কোনো মির্যায়ীকে বলিনি। কেননা যদি আমি তাদেরকে স্বপ্নের উক্ত ঘটনা বলতাম তাহলে তারা (হয়ত) বলত যে, এই স্বপ্ন শয়তান দেখিয়েছে। আমি কোনো মুসলমানকেও উক্ত স্বপ্নের ঘটনা বলিনি। কেননা যদি তাদেরকে সেটি শুনাতাম তাহলে তারা বলত, মির্যা কাদিয়ানী আপনা সমস্ত দাবীতে মিথ্যাবাদী ছিল। তুমি মির্যায়িত হতে তাওবা কর। আমার অবস্থা এভাবেই চলতে থাকল।

একদা রাতে আমি আরও একটি স্বপ্ন দেখলাম। দেখলাম যে, এক বিশাল ময়দান। হাজার হাজার মানুষ সেখানে অত্যন্ত পেরেশানি আর অস্থিরতার সাথে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকেও তাদের মধ্যে দেখতে পেলাম। তাদের চারপাশে লোহার উঁচু উঁচু পিলার। সেগুলোতে ভুমি হতে একজন মানুষের উচ্চতা পর্যন্ত কাঁটাতারে পেঁচানো রয়েছে। কাঁটাতারের সেই হালকা থেকে বাহিরে আসার কোনো দরজা কিংবা রাস্তা নেই। হাজারো মানুষকে তার অভ্যন্তরে বন্ধি রাখা হলো। তাদের মধ্যে আমার পরিচিত কিছু চেহারাও ছিল। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, আমাদেরকে এই বিপদের মধ্যে কিজন্য গ্রেপ্তার করে রাখা হলো? তারা আমাকে জবাবে বলল, আমাদেরকে আহমদিয়তের কারণে [কাদিয়ানী হওয়ার অপরাধে] বিরুদ্ধবাদীরা এখানে বন্ধি করে রেখেছে। এখান থেকে খানিক দূরে হযরত মসীহ মওউদ (মির্যা কাদিয়ানী) পালংকের উপর শুয়ে আছেন। আমাদের ব্যাপারে তার কোনোই খবর ছিলনা যাতে তিনি আমাদের পরিত্রানের জন্য কোনো চেষ্টা করতে পারেন। আমাদের কারো নিকটে এমন কোনো যন্ত্রপাতিও ছিলনা যার মাধ্যমে আমরা তাঁরকাটা কেটে বাহিরে আসতে পারি। আমি তাঁরকাটা ঘেরাওয়ের চারপাশ ঘুরতে শুরু করলাম। আমি দেখতে পেলাম, এক স্থানে মাটির সামান্য উপরিভাগে তাঁরকাটা ঢিলা হয়ে আছে। আমি মাটির উপর বসে পড়লাম। উক্ত তাঁরকাটাকে আমি আমার ডান পা দিয়ে নিচের দিকে দাবাতে শুরু করলাম। তখন উক্ত তাঁরকাটাটি একদম ঢিলে হয়ে মাটির সাথে লেগে গেল। মাথার নিকটতম তাঁরকাটাকে সামান্য উপরের দিকে ধাক্কা দিলাম। ফলে উভয় তাঁরকাটার মধ্যভাগে এই পরিমাণ ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি হল যে, আমি সেখান দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারলাম।

একটু দীর্ঘ ব্যবধান শেষে উক্ত পালংকটি চোখে পড়ল যেখানে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একটি চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন। আমি অত্যধিক শিষ্টাচারিতা আর সম্মানের সাথে পালংয়ের নিকটবর্তী হলাম। তিনি যখনি নিজের চেহারা থেকে চাদর সরালেন তখন দেখতে পেলাম তার মুখটি প্রায় দুই ফুট লম্বা এবং চেহারা শুয়োরের ন্যায়। একটি চোখ একদমই দৃষ্টিহীন এবং বন্ধ। দ্বিতীয় চোখটি মাশ [একপ্রকারের ডাইল]’র দানা সমপরিমাণ ক্ষুদ্র। তিনি বললেন, আমার খুবই খারাপ অবস্থা। তার কথার আওয়াজ থেকে অস্বাভাবিক ধরণের দুগন্ধ বেরুল। তার বিকৃত চেহারা আর কথার আওয়াজে আমি কাঁপতে লাগলাম। ইত্যবসরে আমার চোখ খুলে গেল এবং আমি জেগে গেলাম।

কিছুদিন পর দ্বিতীয়বার আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, এক ব্যক্তি আমার থেকে প্রায় দুইশত গজ দুরত্ব বজায় রেখে সামনে দিয়ে চলতে লাগল। আমি তার পিছে পিছে চলতে লাগলাম। লম্বা একটি ফিতা তার কোমরে বাঁধা, ফিতার আরেক অংশ আমার গলায় পরানো। আমাদের সফর পশ্চিম দিকে থেকে পূর্ব দিকে চলছে। সফরের প্রতিমধ্যে ডান দিকে তাকাতেই দেখলাম, অত্যন্ত সুদর্শন চেহারার একব্যক্তি। তিনি শুভ্রবর্ণের ও মধ্যম আকৃতির এমন একজন যার চোখ দুটো ঝলঝল করছে। যার পাগড়ির রং সাদা এবং পরিহিত লম্বা জামার রংও সাদা। সেলোয়ারের রংও সাদা। মুচকি হাসি হাসলেন এবং আমাকে বললেন, কোথায় চলছো? আমার সামনের জন আমাকে যেদিকে নিয়ে চলছে সেদিকে। আমি আরো বললাম, আমার জানা নেই এই ব্যক্তিটি কে? আমি এও জানিনা যে, ইনি কোথায় নিয়ে চলছেন? এবার আমাকে প্রতিউত্তরে বললেন, এই বেটা তো মির্যা কাদিয়ানী! খোদ জাহান্নাম কো জা-রাহা হে আওর তুমহে বিহি ওয়াহী লে জা-রাহা হে। অর্থাৎ সে নিজেই জাহান্নামে যাচ্ছে আর সাথে তোমাকেও নিয়ে চলছে। আমি তখন বলে উঠলাম, দুনিয়াতে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে জেনেবুঝে জাহান্নামের দিকে ছুটবে আর অন্যকেও সাথে করে চলবে! এই কথা বলার পর তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, মুসাইলামা কাজ্জাব সম্পর্কে তোমার ধারণা কী বল! সে কি নবুওয়তের মিথ্যা দাবী করে নিজেই জাহান্নামের পথ বেচে নেয়নি? আমি তখন তাঁর এই দলিলের কোনো প্রতিউত্তর করতে পারিনি। তিনি পুনরায় বললেন, খুব মনযোগ দিয়ে সামনের দিকে তাকাও! আমি সামনের দিকে তাকালাম। তাকাতেই মনে হল, বহু দূর ব্যাপী জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত সবকিছু লাল বর্ণের দেখাচ্ছে। জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান যে, এই লাল বর্ণটা কী? আমি বললাম, না আমি জানিনা। বললেন, এটি হচ্ছে জাহান্নামের আগুনের পুলকি।

আমি যথারীতি চলতে থাকি। লোকটিও আমার পাশাপাশি চলতে থাকল। হঠাৎ লোকটি অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি বরাবরই উক্ত ব্যক্তির [মির্যা কাদিয়ানী] পেছনে পেছনে চলছি। আমরা লাল বর্ণের একদম কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। অনেক দূর থেকে তাপও অনুভব করছি। সেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়া লোকটি পুনরায় দৃশ্যমান হলেন এবং আমার আর উক্ত ব্যক্তির মাঝে থাকা ফিতার বন্ধনটির উপর সজোরে আঘাত করলেন। অমনি ফিতাটি দ্বিখন্ডিত হয়ে গেল। আমি সুস্পষ্টত দেখলাম যে, মির্যা কাদিয়ানী জাহান্নামে পতিত হয়ে গেলেন আর আমি তা হতে রক্ষা পেয়ে যাই। সাথে সাথে আমার দুই চোখ খুলে গেল। যদিও বা মির্যা কাদিয়ানীর বেশকিছু ইলহাম আর ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে শুরু থেকেই আমাকে ভেতরে ভেতরে অস্থিরতা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল কিন্তু মির্যার প্রতি সু-ধারণা আর অতি-ভক্তি থেকে যে শক্তি পেতাম তা সেগুলোকে তৎক্ষণাৎ দমিয়ে রাখত। আর মনে মনে এই চিন্তা করে প্রশান্তি পেতে চেষ্টা করতাম যে, মির্যা সাহেব তো আর নবী ছিলেন না; যে তার সব কয়টি ইলহাম আর ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ হতে হবে! কিন্তু অধিকহারে স্বপ্ন দেখতে থাকায় আমি খুব বেশি হতচকিত হয়ে গেলাম এবং চিন্তা-ভাবনা করতে শুরু করলাম। আমি এও ভাবলাম যে, যদিও বা স্বপ্ন আমাদের ইসলামের জন্য শরীয়তের দলিল-প্রমাণ নয়, কিন্তু তা সত্যের দিকে পথপ্রদর্শন করার কোনো প্রেরণা তো হতে পারে! পরিশেষে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে, মির্যা কাদিয়ানীর প্রতি আমার যত মুহাব্বত আর যত দুশমনি দুইটিই আপাতদৃষ্টে একদিকে রাখব এবং সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে শুধুমাত্র মির্যা কাদিয়ানীর সত্যবাদিতা আর মিথ্যাবাদিতা নিয়ে চুলচেরা অনুসন্ধান চালাব।

এক ও অদ্বিতীয় পবিত্র খোদাকে হাজির নাজির জেনে আমি এই ঘোষণা দেয়াকে আমার উপর ফরজ মনে করছি যে, আমি মির্যা কাদিয়ানীর প্রতি পূর্ণ মুহাব্বত আর দুশমনি দুটোই পরিত্যাগ করে একদম সাদামনে [পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে] তার প্রসিদ্ধ রচনাবলী এবং কাদিয়ানী আর লাহোরী দুনো ফেরকার নির্বাচিত কিতাবগুলো যেখানে মির্যা কাদিয়ানীর দাবীগুলোকে প্রমাণ করার জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে সবগুলো আমি দীর্ঘ ছয়মাস ধরে পুনরায় [নজরে ছানী] খুব ভালোভাবে মনযোগসহকারে পড়ে শেষ করলাম। সেসাথে মির্যায়ীদের খন্ডনে লেখিত মুসলিম বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামের বেশকিছু কিতাবও পড়লাম। অপ্রিয় হলেও প্রকৃত বাস্তবতা হল এই যে, আমি যতই পড়ছি এবং পড়ার কলেবর যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই আমার নিকট মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যাচারীতা পরিস্কার হতে লাগল। এমনিভাবে আমার নিকট একদমই পূর্ণ ঈমান (বিশ্বাস) হয়ে গেল যে, মির্যা কাদিয়ানীর দাবী ইলহাম, মুজাদ্দিদ, মসীহ এবং নবুওয়ত লাভ করাসহ অন্যান্য সবকিছুই ছিল ডাহা মিথ্যা। আমি পরক্ষণে এই ফলাফলে এসে উপনিত হলাম যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই ছিলেন একজন সর্বশেষ নবী। হযরত মসীহ (ঈসা) আলাইহিস সালাম আকাশে জীবিত রয়েছেন। তিনি কেয়ামতের পূর্বে আমাদের এই নশ্বর পৃথিবীতে একজন উম্মতি হয়ে তাশরিফ আনবেন। (ঊর্দু থেকে বাংলায় অনুবাদ সমাপ্ত হল)।

পড়ুন – কাদিয়ানীদের বই পুস্তকে মুসলমানদের প্রতি তাকফিরি ফাতাওয়াবাজি

  • অনুবাদক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক, মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here