সুরা ফাতিহায় “নবুওয়ত” জারি থাকার দাবী

0
সুরা ফাতিহায় “নবুওয়ত” জারি থাকার দাবী

সূরা ফাতিহায় “নবুওয়ত” জারি থাকার দাবী ও তার প্রতিউত্তরে দাঁতভাঙা জবাব

কাদিয়ানী কাল্টরা পবিত্র কুরআনকে অপব্যাখ্যা দিয়ে নবুওয়ত জারি থাকার দাবী করে বরাবরই পাকড়াও হয়ে থাকে! আজকে তেমনি একটি ঘটনা তুলে ধরব, ইনশাআল্লাহ। জনৈক কাদিয়ানী কাল্ট (ব্রেইন ওয়াশ) বলল, সূরা ফাতিহায় “নবুওয়ত” জারি থাকার ইংগিত রয়েছে! আমি প্রতিউত্তরে তাকে জিজ্ঞেস করলাম,

সত্যিই কি সূরা ফাতিহায় তৃতীয় শ্রেণীর (উম্মতী) নবুওয়ত জারি রয়েছে বুঝায়? যদি তাই হয় তাহলে কি মুহাম্মদ (সা.) এর শান ও মান খাটো করা হল না? কেননা, মির্যার দাবী হচ্ছে, সে মুহাম্মদ (সা.) এর বুরুজ ও দ্বিতীয় আগমনী সত্তা। এমতাবস্থায় মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আবার এসে প্রথম শ্রেণীর (শরীয়তবাহক) নবীর মর্যাদা থেকে তৃতীয় শ্রেণীর নবীর স্তরে কেন নেমে যাবেন? তবে কি মুহাম্মদ (সা.) ক্রমাগতভাবে উন্নতি না করে বরং অবনতিই করলেন? নাউযুবিল্লাহ। ব্যাচারা লা জবাব, ভোঁ দৌড়ের উপর…….।

উল্লেখ্য, মির্যা কাদিয়ানীর বক্তব্য হল, নবুওয়ত তিন প্রকার। শরীয়তবাহক, সতন্ত্র ও বুরুজি। প্রথম দুই প্রকারের ক্রমধারা চিরতরে বন্ধ কিন্তু তৃতীয় প্রকারের নবুওয়তের দ্বার উন্মুক্ত। তবে তৃতীয় প্রকারের নবী শুধুমাত্র একজনই। আর তিনি স্বয়ং নিজেই। কেয়ামত পর্যন্ত আর কেউ উক্ত বুরুজী নবীর মাকাম প্রাপ্ত হবেনা। আর বুরুজি নবীর মাকাম প্রাপ্ত হতে হলে তাকে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণ আনুগত্যকারী ও তাঁর পরিপূর্ণ গুণাবলী অর্জনকারী হতে হবে। মির্যা কাদিয়ানীর ভাষ্যমতে, তিনি মুহাম্মদ (সা.)-এর বুরুজ ও অভিন্ন সত্তা; যেমন নাকি তিনি হুবহু মুহাম্মদ (সা.)ই। নাউযুবিল্লাহ।

উপসংহার, খুব মনে রাখতে হবে, যে সমস্ত ব্যাখ্যা ইসলামের প্রথম তিন স্বর্ণযুগীয় (খায়রুল কুরূনের) শিক্ষায় অনুপস্থিত সেটি যতই সুন্দর হোক, বিদয়াত ও প্রত্যাখ্যাত। কাদিয়ানীবাদের সিংহভাগ কনসেপশন ইসলামের প্রাচীন ও তিন সোনালী যুগের শিক্ষার পরিপন্থী। ফলে সেগুলো পুরোপুরি বাতিল ও পরিত্যাজ্য।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here