মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী কত বড় জঘন্য মিথ্যাবাদী হলে এই সমস্ত বালখিল্য টাইপের কথাবার্তা নিজ রচনা সমূহে দেদারসে লিখে যেতে পারে!
মির্যা কাদিয়ানীর রচনা থেকে, এক নবজাতক শিশুর মা মারা যাওয়ার পর শিশুটি তার পিতার দুধ খেয়ে লালিতপালিত হয়েছে, একটি পুরুষ ছাগল থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত দুধ পাওয়া গেছে, একদম শুষ্ক ও ঠনঠনে মাটি থেকে একটি ইঁদুর সৃষ্টি হয়েছে যার অর্ধেকটা মাটিই রয়ে গেছে। রেশমের পোকা সে তার পুরুষ পোকার সাথে মিলন ছাড়াই ডিম দিয়েছে এবং ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটিয়েছে। (সংক্ষেপে)।
এগুলো মির্যা গোলাম আহমদ নিজ হাতে লিখে গেছেন। তিনি এগুলো লিখার সময় পাঠককে আশ্বস্ত করেছেন। লিখেছেন ‘নির্ভরযোগ্য সূত্রে ও বিশ্বস্ত মানুষের উদ্ধৃতিতে’ই নাকি এই কথাগুলো মানুষের মাঝে প্রচলিত রয়েছে।
এগুলো লিখার পেছনে মির্যার উদ্দেশ্য কী?
জ্বী হ্যাঁ, এর পেছনে মির্যা কাদিয়ানীর উদ্দেশ্য হচ্ছে, হযরত ঈসা (আ.)-এর পিতা ছাড়াই জন্মলাভ করার বিষয়টির আলৌকিকতা স্বীকার না করতে উদ্দেশ্যমূলক নানা গালগল্পে বাহানা করা। এসব গল্পের মাধ্যমে তিনি যেন বুঝাতে চাচ্ছেন যে, নবজাতক শিশুটি তার পিতার দুধ খেয়ে লালিতপালিত হওয়া ইত্যাদি এর ন্যায় প্রকৃতি বিরুধী অনেক ঘটনারই দুনিয়া সাক্ষী। তাহলে পিতা ছাড়াই জন্মলাভ করার ঘটনার অত গুরুত্ব কিসের? হযরত ঈসা (আ.)-এর জন্মলাভের অলৌকিকতা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না চাওয়ার আরও একটা সূক্ষ্ম কারণ রয়েছে। সেটাই এখানে আমার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। মির্যা কাদিয়ানী সাহেব ঈসা (আ.)-এর জন্মলাভের অলৌকিকতাকে স্বীকার করলে, তখন তাকে তাঁর উর্ধ্বাকাশে ঐশীভ্রমণও মেনে নিতে হয়! মোটকথা, সে খ্রিস্টান মিশনারীদের ডিফেন্ড করার আড়ালে নিজের উদ্দেশ্যটাও পাকাপোক্ত করে ফেলেন। সেটি হল, ঈসা (আ.) জীবিত সশরীরে উর্ধ্বাকাশে যাওয়া। কারণ মির্যা গোলাম আহমদ খুব ভালো ভাবেই জানত যে, যদি সে ঈসা (আ.)-এর উর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করার বিষয়টি মেনে নেয় তখন তার জন্য নিজেকে প্রতিশ্রুত মসীহ ঈসা দাবী করার আর কোনো সুযোগই থাকেনা। পাঠকবৃন্দ! এবার আশাকরি বুঝতে পেরেছেন।
সম্পর্কিত স্ক্রিনশট
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক