কাদিয়ানী লিটারেচারে আমেরিকা রাশিয়া-ই নাকি ইয়াজুজ-মাজুজ!
কাদিয়ানীদের চরম বিকৃত ও ভ্রষ্ট ধর্মবিশ্বাসের সাক্ষী তাদের বইপুস্তক গুলো। অধিকাংশ সাধারণ কাদিয়ানী জানেই না যে, তাদের কাদিয়ানীধর্মের আকীদা কেমন? তাদের অন্যতম একটি ধর্মবিশ্বাস হচ্ছে, ইসলাম যে ইয়াজুজ-মাজুজের শিক্ষা দেয় তা হতে পরাশক্তি ‘রাশিয়া-আমেরিকা‘ উদ্দেশ্য। অথচ হাদীসে উল্লেখ আছে যে, ইয়াজুজ-মাজুজ এর আবির্ভাব ঘটবে ঈসা (আ.)-এর সময়ে, তাদের কারণে তিনি এবং তাঁর সাথীসঙ্গীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন (وَيُحْصَرُ نَبِيُّ اللَّهُ عِيسَى وَأَصْحَابُهُ)। (মুসলিম শরিফ, কিতাবুল ফিতান, হাদীস নং ৭১০৬)। এটি মির্যা কাদিয়ানী নিজেও মানতেন!
মির্যা গোলাম আহমদ এর দাবী হচ্ছে, আমিই হলাম সেই ঈসা।
আমেরিকা বিশ্বের বুকে একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ১৭৭৬ সালে। রাশিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ১৯৯১ সালে। (উইকিপিডিয়া)।
মির্যা কাদিয়ানীর জন্ম-মৃত্যু তাদেরই লিটারেচার অনুযায়ী যথাক্রমে ১৮৩৫ইং-১৯০৮ইং।
এবার প্রশ্ন হল, আমেরিকা মির্যার জন্মেরও ৫৯ বছর আগে আর রাশিয়া মির্যার মৃত্যুর প্রায় ৮৩ বছর পরে দুনিয়ায় একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে অন্ততঃ রূপকভাবেও হাদীসে বর্ণিত সেই ইয়াজুজ-মাজুজ হল কিভাবে? এদের একটাও তো মির্যার সমসাময়িক ছিল না!
ব্রেইনওয়াশ কাদিয়ানীরা কি এরপরেও নিজেদের বিচারবুদ্ধি নিজ হাতে হত্যা করে হলেও এই সমস্ত অযুক্তিযুক্ত রূপক রূপক খেলা খেলে যাবে?
আল্লাহ আর তাঁর রাসূল (সা.) থেকে সর্বসম্মত মুসলিম উম্মাহা গত চৌদ্দশত বছর ধরে ক্রমাগতভাবে যেভাবে ইয়াজুজ-মাজুজ এর কনসেপ্ট ধারণ করে আছেন সেটির বিপরীতে ভিন্ন যে কোনো ব্যাখ্যা থেকে আল্লাহ আমাদের কাদিয়ানীবন্ধুদের রক্ষা করুন এবং হেদায়েত দিন।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র একটি ঐতিহাসিক দলিল যা ৪ই জুলাই ১৭৭৬ সালে পেনসিলভেনিয়া প্রাদেশিক আইনসভায় অনুষ্ঠিত ২য় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের সভায় গৃহীত হয়। আর সোভিয়েত যুগ বিংশ শতকের কিছু উল্লেখযোগ্য প্রযুক্তিগত সাফল্য পেয়েছিল। যার মধ্যে ছিল বিশ্বের প্রথম মহাকাশযান ও প্রথম নভোচারী। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সোভিয়েতের রুশীয় প্রজাতন্ত্র রুশ ফেডারেশন হিসেবে গঠিত হয় এবং একক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত হয়। (উইকিপিডিয়া)।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক