মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের বই থেকে প্রথমে দুটি উদ্ধৃতি দেব। তিনি তার ‘তুহফাতুন নদওয়াহ’ বইতে লিখেছেন,
- ‘যদি কুরআন দ্বারা ইবনে মরিয়মের মৃত্যু সাব্যস্ত না হয় তাহলে আমি মিথ্যুক সাব্যস্ত হব।’ (রূহানী খাযায়েন ১৯/৯৭)। রচনাকাল ১৯০২ ইং।
- ‘যদি কুরআন আমার নাম ‘ইবনে মরিয়ম’ না রাখে তাহলে আমি মিথ্যুক সাব্যস্ত হব।’ (রূহানী খাযায়েন ১৯/৯৮) এবার প্রমাণের জন্য স্ক্যানকপি দেখুন,
এবার প্রশ্নটি বুঝে নিন! এখানে সাধারণভাবে যে প্রশ্নটি উঠে আসে সেটি হল, মির্যা গোলাম আহমদের দাবী অনুযায়ী পবিত্র কুরআনের ‘ইবনে মরিয়ম’ (অর্থাৎ মরিয়মপুত্র) হতে যদি তিনি নিজেই উদ্দেশ্য হন, তাহলে পবিত্র কুরআনের সেই ত্রিশ আয়াত দ্বারা বনী ইসরাইলের জন্য আগমনকারী সেই ঈসা ইবনে মরিয়মের মৃত্যু কিভাবে সাব্যস্ত হল? আহা! এমন একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগীকে আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তি আর জ্ঞানবিজ্ঞানের যুগেও যারা বিশ্বাস করেন তাদের জন্য আমাদের দুঃখ আর শত আফসোস!
বিশেষ দ্রষ্টব্য, রূপক-টুপক বাদ দিয়ে সোজাসাপ্টা উত্তর দিতে হবে! কেননা, কোনো প্রেরিত মহাপুরুষের দাবী, ভবিষ্যৎবাণী আর মু’জিজা এই ৩টি কখনো “রূপক” বা মাজাজ হয় না।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক