একবার বলল, আনুগত্যের নবীর ধারাক্রম সর্বদা বিদ্যমান থাকবে; আবার বলল, মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় শেষনবী সে নিজেই।
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন), مگر اس بات کو بحضور دل یاد رکھنا چاہیے کہ یہ نبوت جس کا ہمیشہ کے لئے سلسلہ جارى رہیگا نبوت تامہ نہیں ہے۔ بلکہ جیساکہ میں ابھی بیان کر چکا ہوں وہ صرف ایک جزئ نبوت ہے অর্থাৎ কিন্তু এই কথা খুব মন দিয়ে স্মরণ রাখা চাই যে, এই নবুওয়ত যার ধারাক্রম সর্বদা বিদ্যমান থাকবে, তা পরিপূর্ণ নবুওয়ত নয়, বরং আমি যেভাবে এখন বলছি যে, তা শুধুই একটি আংশিক নবুওয়ত।’ (তাওযিহুল মারাম, রূহানী খাযায়েন ৩/৬০)। স্ববিরোধ কথা : (তিনি আরেক জায়গায় লিখেছেন), “আল্লাহর বিধান, তাঁর দুই ধরনের প্রেরিত পুরুষ নিহত হন না। (১) প্রথমত: ঐ নবী–যিনি সিলসিলার সূচনাতে আগমন করেন, যেমন মুসায়ী সিলসিলায় হযরত মুসা আলায়হিস সালাম এবং মুহাম্মদীয়া সিলসিলায় আমাদের প্রভু ও মওলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম। (২) দ্বিতীয়ত: ঐ সকল নবী ও আল্লাহর প্রেরিতগণ যারা সিলসিলার শেষে আগমন করেন- যেমন, মুসায়ী সিলসিলায় হযরত ঈসা আলায়হিস সালাম এবং মুহাম্মদী সিলসিলায় এই অধম।” (রূহানী খাযায়েন [উর্দূ] খন্ড ২০ পৃষ্ঠা নং ৬৯-৭০; রচনাকাল ১৯০৩ইং, তাযকেরাতুশ শাহাদাতাইন [বাংলা] পৃষ্ঠা নং ৮২)।
এখানে তিনি পরিষ্কার শব্দে লিখেছেন যে, তিনি (অর্থাৎ মির্যা সাহেব নিজেই) মুহাম্মদী ধারাবাহিকতায় একজন শেষনবী! এবার তাহলে তারই উপরিউক্ত কথামতে ‘আংশিক নবুওয়তের ক্রমধারাও সর্বদা বিদ্যমান থাকল কোথায়?‘ স্ক্যান সংযুক্তি :-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক শিক্ষাবিদ ও গবেষক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী।