কোথাও লিখেন, আমিই একমাত্র মসীহ মওউদ, আমার পর আর কোনো মসীহ নেই। আবার আরেক জায়গায় লিখেন, ‘তিনি (মসীহ) তিনবার দুনিয়াতে নাযিল হবেন।’
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর রচনা থেকে উল্লেখ করছি, (তিনি লিখেছেন) ‘সুতরাং আমি ব্যতীত দ্বিতীয় আর কোনো মসীহের জন্য আমার যুগের পর (দুনিয়ায়) কদম রাখার (আগমন করার) জায়গা নেই।’ (রূহানী খাযায়েন: ১৬/২৪৩; রচনাকাল ১৯০০ইং)। স্ববিরোধ কথা : (তিনি আরেক জায়গায় লিখেছেন), ‘…এতে বুঝা গেল যে, মসীহ’র (খ্রিস্টীয়) উম্মতগণের অযাচিত কর্মকাণ্ডের দরুন মসীহ’র রূহানীয়তের জন্য এটাই স্থির ছিল যে, তিনি তিনবার দুনিয়াতে নাযিল হবেন।’ (রূহানী খাযায়েন ৫/৩৪৬)। বলে রাখা দরকার, মির্যা কাদিয়ানী একথা বলে যেন বুঝাতে চাচ্ছেন যে, মসীহ’র প্রথম অবতার (বুরুজ) ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা.), দ্বিতীয় অবতার মির্যা কাদিয়ানী নিজেই আর তৃতীয় অবতার এখনো আসার বাকি। তিনি আগামীতে অচিরেই আসবেন। পাঠকবৃন্দ! আপনি যদি তার রচনাবলির সমষ্টি ‘রূহানী খাযায়েন’ এর ৫ম খণ্ডের ৩৩৯ পৃষ্ঠা হতে ৩৪৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মাত্র ৮টি পৃষ্ঠা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে সম্পূর্ণ কথাটির খোলাসা আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন। ইনশাআল্লাহ। প্রামাণ্য ডকুমেন্ট :-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী