একবার লিখলেন, কাশ্মীরের খানইয়ার মহল্লায় সমাহিত ‘ইউজে আসেফ’-ই ছিলেন ঈসা ইবনে মরিয়ম। আবার কোনো কোনো জায়গায় লিখলেন, ইউজে আসেফ একজন বাদশার পুত্র এবং যিশুখ্রিষ্টের (ঈসা) জন্মেরও পূর্বেকার ব্যক্তি…!
এখন এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানী সাহেব লিখলেন, کشمیر کے تمام باشندوں کا اس بات پر اتفاق دیکھ کر کہ یہ نبی جس کی کشمیر میں قبر ہے ہمارے نبی صلی اللہ علیہ وسلم سے چھہ سو برس پہلے گزرا ہے صاف طور پر حضرت عیسی کو متعین کر رہا ہے۔ অর্থাৎ কাশ্মীরে এই নবীর কবরের ব্যাপারে সেখানকার সমস্ত স্থানীয়দের একমত হওয়া যে, তিনি আমাদের নবী (সা.)-এরও ছয় শত বছর পূর্বেই গত হয়ে গেছেন, তা হযরত ঈসাকেই পরিষ্কার নির্দেশ করছে। (কাশফুল গুতা, রূহানী খাযায়েন ১৪/২১২)।
স্ববিরোধ কথা :
মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ১৯০২ সালে তার একটি রচনায় লিখেছেন, وانعقد عليه اجماع سكان تلك الناحية وتواتر على لسان اهلها انه قبر نبي كان ابن ملك وكان من بني اسرائيل وكان اسمه يوزآسف অর্থ- সেই এলাকার (কাশ্মীরের) স্থানীয়রা একমত এবং সেখানকার একই ভাষাভাষী গোষ্ঠীও পরম্পরায় এই বিষয়ে একমত যে, এটি একজন নবীর কবর যিনি বাদশাহ’র পুত্র এবং বনী ইসরাইলী ছিলেন। তার নাম ছিল ইউজে আসেফ। (আল-হুদা, রূহানী খাযায়েন ১৮/৩৬১; মূল মির্যা কাদিয়ানী)। এখানে প্রশ্ন হল, কোনো বাদশাহ’র পুত্র কি ঈসা (আ.) হবেন? নিশ্চয়ই না।
অন্য জায়গায় লিখেছেন, ‘আরও আশ্চর্যের বিষয় ইউয আসফের পুরাতন ধর্মগ্রন্থের সাথে (যা অধিকাংশ বিজ্ঞ ইংরেজ পণ্ডিতদের মতে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের পূর্বেই লিখিত হয়েছিল এবং যা বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষায় অনূদিত হয়ে নানা দেশে প্রচারিত হয়েছে) ইঞ্জিলের অধিকাংশ কথায় এত সামঞ্জস্য আছে যে বহু স্থানে বর্ণনাগুলোতে বাক্যসমূহ এর সাথে সম্পূর্ণ একরূপ। ইঞ্জিলে বর্ণিত উপাখ্যান সমূহ অক্ষরে অক্ষরে উক্ত পুস্তকেও বর্ণিত আছে।” (চশমায়ে মসীহি ১২-১৩; বাংলা চতুর্থ প্রকাশ জুলাই ২০১৮ ইং; মূল মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী)। এখানে প্রশ্ন হল, যিশুখ্রিষ্টের জন্মের পূর্বেই যার জন্ম তিনি আর যিশুখ্রিস্ট (ঈসা) কি একই ব্যক্তি হতে পারেন? প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী