বাহাস ১ : ঈসা নবী জিন্দা না মুর্দা?

0
বাহাস ১ : ঈসা নবী জিন্দা না মুর্দা?

বাহাস : ঈসা নবী জিন্দা না মুর্দা?

কাদিয়ানীরা কথায় কথায় ঈসা নবী জিন্দা না মুর্দা এই প্রসঙ্গে আলোচনা ছুড়ে দেয়, যাতে মির্যার জীবনচরিত্র নিয়ে কেউ আলোচনা করার সুযোগ না পায়। তাই এই বিষয়ে সংক্ষেপে যেভাবে আলোচনার ইতি টানবেন…

এক নজরে মির্যা কাদিয়ানী ও কাদিয়ানীয়ত Click

কাদিয়ানী : মির্যা কাদিয়ানী সাহেব কুরআনের ত্রিশ আয়াত দিয়ে প্রমাণ করেছেন ঈসা (আ:) মুর্দা। তাই আকাশ থেকে কেউ আর আসবেনা।
মুসলমান : যদি তাই হয় তাহলে তিনি ইতিপূর্বে কেন লিখে গেলেন ঈসা (আ:) জীবিত এবং আকাশ থেকে নাযিল হবেন!?
কাদিয়ানী : এটি তখনকার কথা যখন আল্লাহ তাকে ইলহামের মাধ্যমে জানাননি। তাই তিনি প্রচলিত আকীদা অনুসারেই এমনটি লিখেছিলেন।
মুসলমান : আচ্ছা তাহলে দেখা যাক, তিনি কথাগুলো প্রচলিত আকীদা অনুসারে লিখেছিলেন নাকি তার কথিত ইলহাম অনুসারেই লিখেছিলেন!
মির্যা সাহেব লিখেছেন “হযরত ঈসা (আ:) তো ইঞ্জিল কিতাব একদম অসম্পূর্ণ রেখেই আকাশে গিয়ে বসে রয়েছেন”। (রূহানী খাযায়েন ১/৪৩১; বারাহিনে আহমদিয়া ৪/৩৬১ টিকা দ্রষ্টব্য)।

আরো লিখেছেন : “আমি বারাহিনে আহমদিয়া নামক বইতে লিখেছিলাম মসীহ ইবনে মরিয়ম আকাশ থেকে নাযিল হবেন। তবে পরবর্তীতে আমি লিখেছি, আগত মসীহ (ঈসা) আমি নিজেই।” (রূহানী খাযায়েন ২২/১৫২-৫৩; হাকীকাতুল ওহী)।

  • এবার আসুন উক্ত কথাগুলো যে কিতাবে তিনি লিখে গেছেন সেই কিতাবের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মির্যার মুখ থেকে জেনে নিই :

(ক) “আমি কিতাবটি আল্লাহর পক্ষ হতে একজন মুলহাম (প্রেরণাপ্রাপ্ত) এবং মামূর তথা আদিষ্ট হয়েই লিখেছি।” (রূহানী খাযায়েন ৫/৬৫৭; আয়নায়ে কামালাতে ইসলাম)।


(খ) “প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ উভয় দিক থেকে কিতাবটির পরিচালক মহান আল্লাহ।” (মাজমু’আয়ে ইশতিহারাত ১/৫৬; ‘আমি এবং আমার বই’ শীর্ষক শিরোনাম)।

তাহলে এবার বলুন! ঈসা (আ:) সত্যিই মুর্দা হলে মির্যা কাদিয়ানী সাহেব বারাহিনে আহমদিয়া নামক কিতাবে ঈসা (আ:) জীবিত থাকা, আকাশ থেকে নাযিল হওয়া ইত্যাদী কথাবার্তাগুলোও কি আল্লাহর পক্ষ হতে ইলহাম ছাড়াই কিংবা আল্লাহর পক্ষ হতে আদিষ্ট হওয়া ছাড়াই লিখেছিলেন মনে করেন? অথচ তিনি এও দাবী করতেন, আল্লাহতায়ালা তাকে ভুলের উপর এক মুহূর্তও স্থির থাকতে দেন না (রূহানী খাযায়েন ৮/২৭২)।

তাহলে এবার আমাকে বলুন! যার দাবী, আল্লাহ তাকে ভুলের উপর এক মুহূর্তও স্থির রাখেন না সে ১৮৮৪ সালে কিতাবটি লিখার পর হতে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত বরাবরই কি ভুলের উপর স্থির ছিলেন মনে করেন? তার বারাহিনে আহমদিয়া’র ইলহাম সত্য হলে পরবর্তীতে তিনি কুরআনের ত্রিশ আয়াত দিয়ে ঈসা (আ:)-কে কিভাবে মুর্দা প্রমাণ করতে পারেন? সংক্ষেপে।

কাদিয়ানী : [একদম যখন আর কোনো উত্তর থাকেনা তখন] আচ্ছা ঠিক আছে, আপনি আমাদের কেন্দ্রে আসুন। আমাদের ইনসার্চগণ তার জবাব দেবেন।
মুসলমান : আপনাদের মির্যা সাহেব যা লিখে গেছেন তা কি আপনাদের ইনসার্চগণ বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন? যদি তা না হয় তাহলে আপনার জন্য কি মির্যা সাহেবের এই উদ্ধৃতিগুলো যথেষ্ট নয়?

[বিশেষ-দ্রষ্টব্য : প্রত্যেক মুসলমানের উচিত, হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ:) জিন্দা নাকি মুর্দা এই বিষয়ে ওদের সাথে এইরূপ কনসেপশনেই কথা বলা। যাতে তাদেরকে মির্যা কাদিয়ানীর জীবন-চরিত্র ও সত্যবাদিতা নিয়ে আলোচনায় বাধ্য করা যায়। উল্লেখ্য, মির্যা কাদিয়ানীর সীমাহীন মিথ্যাচারিতা আর বিদঘুটে জীবনচরিত্র নিয়ে আমার লেখিত ডকুমেন্টারী পুস্তক সিলেক্টিভ’ পড়া যেতে পারে অথবা প্লে স্টোর থেকে ‘রদ্দে কাদিয়ানী‘ অ্যাপটিও ডাউনলোড করে নিতে পারেন।]

কুরআন দ্বারা ঈসা (আ:) এর মৃত্যু সাব্যস্ত হলে তখন এই প্রশ্নগুলোর জবাব কী? Click

  • লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here