মির্যার স্ববিরোধীতা-৩৯

0
মির্যার স্ববিরোধীতা-৩৯

এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?

মুজাদ্দিদে আলফে সানী শায়খ আহমদ সারহেন্দী (রহ.)-এর কিতাব ‘মাকতুবাত’-এর মধ্যে আল্লাহর সাথে অধিক বাক্যালাপের অধিকারী যিনি তাকে মুহাদ্দাস আখ্যা দেয়া, আবার ‘নবী’ আখ্যা দেয়া!

মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের বই থেকে (তিনি লিখেছেন), ‘বরং মুজাদ্দিদ আলফে সানী স্বীয় মাকতুবাত-এর দ্বিতীয় খণ্ডে পরিষ্কার লিখেছেন, নবী হওয়া ছাড়াও উম্মতের সাধারণ সদস্যরাও আল্লাহতালার সাথে বাক্য আলাপের সৌভাগ্য পেতে পারে। আর এমন সৌভাগ্যবানদের ‘মুহাদ্দাস’ (আল্লাহ যার সাথে কথপোকথন করেন) বলা হয়।’ (রূহানী খাযায়েন ১/৬৫২, রচনাকাল ১৮৮০ইং)। স্ববিরোধ কথা : মির্যা কাদিয়ানী সাহেব তার বইয়ের অন্যত্রে শায়খ আহমদ সারহেন্দী (রহ.)-এর একই বইয়ের একই উদ্ধৃতিতে লিখেছেন, ‘মুজাদ্দিদ সারহেন্দী (রহ.) নিজ মাকতূবাত-এর মধ্যে লিখেছেন, যদিও বা এই উম্মতের কিছু সদস্য আল্লাহর সাথে কথপোকথন ও আল্লাহর সম্বোধনের অধিকারী এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকবে কিন্তু যাকে খুব বেশি এই বৈশিষ্ট্য এবং গায়েবের সংবাদ দান করা হয় তাকে নবী বলা হয়।’ (রূহানী খাযায়েন ২২/৪০৬; রচনাকাল ১৯০৭ ইং)। এখানে প্রশ্ন হল, তাহলে মির্যা গোলাম আহমদ সাহেবের এখানে কোন কথা বা উদ্ধৃতিটি সত্য? প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-

শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন। স্ক্রিনশট

লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here