কুরআনের ‘ইবনে মরিয়ম’ (মরিয়মপুত্র) হতে মির্যা কাদিয়ানী উদ্দেশ্য, তাহলে কি কুরআন দ্বারা ইবনে মরিয়মের মৃত্যু প্রমাণিত হওয়ার অর্থ খোদ মির্যা কাদিয়ানীরই মৃত্যু হয়ে যাওয়া? জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে!
এমন ব্যক্তিও কী করে আপনা দাবীতে সত্য হন?
মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকে (তিনি লিখেছেন), پہلے قرآن شریف پر نظر غور ڈالو اور ذرا آنکھ کھول کر دیکھو کہ کیوں کر وہ صاف اور بین طور پر عیسی بن مریم کے مر جانے کی خبر دے رہا ہے جس کی ہم کوئی بھی تاویل نہیں کر سکتے۔ অর্থাৎ প্রথমে কুরআন শরীফের ভেতর গভীর দৃষ্টি নিবদ্ধ কর আর চোখ মেলে দেখ যে, এটি কেমন পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট করে সংবাদ দিচ্ছে যে, ঈসা ইবনে মরিয়ম মৃত্যুবরণ করেছেন।‘ (ইযালায়ে আওহাম, রূহানী খাযায়েন ৩/২২৪)। স্ববিরোধ কথা : মির্যা কাদিয়ানীর আরেক রচনায় লিখা আছে, তিনি লিখেছেন, ‘যদি কুরআন আমার নাম ‘ইবনে মরিয়ম’ না রাখে তাহলে আমি মিথ্যুক সাব্যস্ত হব।’ (তুহফাতুন নদওয়াহ, রূহানী খাযায়েন ১৯/৯৮)।
এখান প্রশ্ন দাঁড়ায়, পবিত্র কুরআনে “ইবনে মরিয়ম” তথা মরিয়ম (আ.)-এর পুত্র বলতে কয়জনের জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ রয়েছে? ইসলামের গত চৌদ্দশত বছর থেকে ক্রমাগত চলে আসা মূলধারার শিক্ষার আলোকে আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, কাদিয়ানীরা কখনো পবিত্র কুরআন থেকে নবীজী (সা.)-এর সীরাত এবং সাহাবায়ে কেরামের তাফসীর দ্বারা প্রমাণ করতে পারবেনা যে, সেখানে দুইজন ‘ইবনে মরিয়ম’-এর আলোচনা রয়েছে। এমতাবস্থায় কুরআন দ্বারা ‘ইবনে মরিয়ম’ এর মৃত্যু সাব্যস্ত হলে তখন কি স্বয়ং মির্যা কাদিয়ানীরই মৃত্যু সাব্যস্ত হচ্ছেনা? যেহেতু তার দাবীই হল, কুরআনের ইবনে মরিয়ম হতে সে উদ্দেশ্য…! যদি তাই হয়, তাহলে পবিত্র কুরআন হতে কাদিয়ানীরা কিজন্য দাবী করে বলছে যে, ঈসা ইবনে মরিয়মের মৃত্যু পবিত্র কুরআন দ্বারা সাব্যস্ত!? পাঠকের নিরপেক্ষ বিবেকের নিকট প্রশ্নটি রেখে গেলাম।
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি:-
শেষকথা : মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেন: মিথ্যাবাদীর কথায় অবশ্যই স্ববিরোধীতা হয়ে থাকে। (রূহানী খাযায়েন: ২১/২৭৫)। অতএব এবার মির্যা কাদিয়ানী তারই স্ববিরোধী কথার কারণে কী সাব্যস্ত হলেন একটু ভেবে দেখবেন কি? এমন একজন মিথ্যাবাদীকে দুনিয়ার সমস্ত মুসলমান কিজন্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন তা এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। আল্লাহ আমাদের ঈমানকে রক্ষা করুন। আমীন।
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী