সিজোফ্রেনিয়া রোগী মির্যা কাদিয়ানী ঈসা (আ.)-এর তথাকথিত কবর নিয়ে নিজেও পুরো কনফিউজড! সাধারণদের বুঝার সুবিধার্থে তার বইয়ের নির্দিষ্ট উর্দূ অংশটির বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ তুলে ধরা হল,
اور پھر تبت کی طرف رخ کر لیا ہو اور کیا تعجب کہ حضرت مسیح کی قبر کشمیر یا اس کے نواح میں ہو۔ یہودیوں کے ملکوں سے انکا نکلنا اس بات کی طرف اشارہ تہا کہ ۔۔۔۔
(উচ্চারণ) অওর পের তিব্বত কি তরফ রুখ কর লিয়া হো অওর কেয়া তা’জ্জব কেহ হযরত মসীহ কি কবর কাশ্মীর ইয়া উসকে নাওয়াহ মে হো….! অর্থাৎ অত:পর (ঈসা) তিব্বতের দিকে চলে গেলেন। কি যে আশ্চর্যের ব্যাপার যে, হযরত মসীহ’র কবর কাশ্মীর অথবা তার আশপাশে (তিব্বতে) অবস্থিত। ইহুদী রাষ্ট্রসমূহ হতে তাঁর বেরিয়ে যাওয়া এ দিকেই ইংগিত করে যে…..! (রূহানী খাযায়েন খণ্ড ১০ পৃষ্ঠা নং৩০২)। কী বুঝলা সিজোফ্রেনিয়া রোগীর মুরিদরা? কে জানি প্রশ্ন করল যে, উপরের লাইনের ‘তিব্বতের’ সাথে নিচের লাইনের কবরের স্থানের সম্পর্ক কোথায়? উত্তরে বলব, এটা বুঝার জন্যই তো আগের লাইন ভালো করে পড়তে হবে যেখানে মির্যার বয়ানে ঈসা (আ.) তিব্বতের দিকে চলে গিয়েছিল—কথাটি উল্লেখ রয়েছে। আর পরের লাইনে “অথবা ঈসার কবর কাশ্মীরের আশপাশে” বলতে ঐ তিব্বতকে বুঝানো না হলে তবে কী বুঝাতে পারে বলে আপনি মনে করেন? (স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)
উল্লেখ্য, তিব্বত গণচীনের একটি স্বশাসিত অঞ্চল। মধ্য এশিয়ায় অবস্থিত এ অঞ্চলটি তিব্বতীয় জনগোষ্ঠীর আবাসস্থল। কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে ভারত শাসিত অঞ্চল লাদাখের দূরত্ব মোটর গাড়ী দিয়ে ৪২২ কিলোমিটার, পায়ে হেঁটে চললে চারদিনের পথ। এর পূর্বে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, দক্ষিণে হিমাচল প্রদেশ রাজ্য, ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর। তিব্বতী সংস্কৃতি দ্বারা লাদাখ প্রচন্ডভাবে প্রভাবিত বলে এই অঞ্চলকে ক্ষুদ্র তিব্বত বলা হয়ে থাকে। মির্যা কাদিয়ানীর দাবী, ঈসা (আ.) জেরুজালেম থেকে পালিয়ে কাশ্মীর হয়ে তিব্বতে চলে যান। তার ‘মসীহ হিন্দুস্তান মে’ বইয়ের ভাষ্যমতে, ঈসা (আ.) সেখানে বৌদ্ধভিক্ষুদের সাহচর্যে এসে তাদের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু মির্যা কাদিয়ানীর এ সমস্ত বাণী শতভাগ মনগড়া এবং ঐতিহাসিকভাবেও অপ্রমাণিত।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী এম.এ