মানুষ, বানর আর শিম্পাঞ্জি নাকি একই প্রজাতির প্রাণী থেকে ধীরেধীরে বিকশিত হয়েছে?

0
মানুষ, বানর আর শিম্পাঞ্জি নাকি একই প্রজাতির প্রাণী থেকে ধীরেধীরে বিকশিত হয়েছে?

মানুষ কি বানর ও শিম্পাঞ্জীর সহোদর ভাই?

২০২৩ইং শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, অনুসন্ধানী পাঠ’ এর ২৪ নং পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে: “আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আধুনিক মানুষ এবং বানর গোত্রের নানা প্রাণী (যেমন শিম্পাঞ্জি, গরিলা) একটি সাধারণ প্রাইমেট জাতীয় প্রজাতি থেকে তাদের যাত্রা শুরু করেছে। প্রাইমেট জাতীয় প্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে একদিকে শিম্পাঞ্জি, গরিলা, ওরাং ওটাং ও গিবনের মতন এপ জাতীয় প্রাণীরা ধীরে ধীরে বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে বিকশিত হয়েছে। অন্যদিকে বানর তৈরী হয়েছে। আর একটি ধারায় মানুষ ধীরে ধীরে বিকশিত হয়েছে নানা পর্যায়ে। তোমাদের মনে রাখতে হবে, বানর বা শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের উদ্ভব হয়নি। বরং মানুষ, শিম্পাঞ্জিসহ এপ-রা আর বানরের বিভিন্ন প্রজাতি একই ধরণের প্রাইমেট প্রজাতির প্রাণী থেকে বিকশিত হয়েছে”। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, অনুসন্ধানী পাঠ, ষষ্ঠ শ্রেণি, পৃষ্ঠা-২৪

সুতরাং জানা গেল যে, বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি আর মানুষ মূলত ভাইবোন! আরো সহজ করে বললে, বানর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি এবং মানুষ হলো একই আব্বার সন্তান। মানে সহোদর আর কি! বানর নামক প্রাণীটি হলো মানুষ নামক প্রাণীটির সহোদর, আব্বা নয়। সহোদরকে আব্বা পরিচয় দেয়া মহা অন্যায়। এতো বড় মহা অন্যায় করা কিছুতেই উচিত হয়নি। কিন্তু মানুষকে, গরিলা আর বান্দরের সহোদর যারা প্রমাণ করছেন, বিবর্তনবাদের আজগুবি থিউরী কপচে আদি মানব আদম [آدم](আলাইহিস সালাম) ও হওয়া [حواء](আলাইহাস সালাম) বলে কুরআনের চিরন্তন সত্য বাণীকে অস্বীকার করিয়ে আমাদের কোমলমতি সন্তানদের যারা ভ্রষ্ট ও নাস্তিক বানানোর পাঁয়তারা করছেন তাদের অন্যায়টা কত বড় তাও ভাবা দরকার। (প্রামাণ্য স্ক্যানকপি)

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here