ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.)-এর দৃষ্টিতে ‘তাকলিদ’ (التقليد)-এর বিরোধিতাকারীর পরিণাম,
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) বলেন, (আরবী) ومن زعم أنه لا يرى التقليد ولا يقلد دينه أحدًا فهو قول فاسق عند اللَّه ورسول – صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ – إنما يريد بذلك إبطال الأثر تطيل العلم والسنة والتفرد بالرأي والكلام والبدعة والخلاف
অর্থাৎ যে ব্যক্তি এ ধারনা রাখবে যে, তাকলিদ বলতে কোনো কিছুই সে দেখতে পায় না এবং দ্বীনের ক্ষেত্রে কারোরই তাকলিদ করা যায় না, তার এ কথা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-এর দৃষ্টিতে একটি ফাসেকি (পাপপূর্ণ) কথা। (বস্তুতঃ) এ ব্যক্তি তার এই কথা দ্বারা আছার সমূহকে (সাহাবী এবং তাবেয়ীগণের ফতুয়া ও কর্ম)-কে বাতিল করতে চায় এবং ইলম ও সুন্নাহকে সংকীর্ণ করতে চায়। সে (প্রকৃতপক্ষে) মতামত এবং বক্তব্যে স্বতন্ত্রতা ও বিদয়াত এবং মতবিরোধ তৈরি করতে চায়।
কিতাব– তাবক্বাতুল হানাবিলাহ খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৩১, লিখক- ইমাম আবুল হোসাইন মুহাম্মদ বিন আবী ই’য়ালা আল ফাররাহ আল-বাগদাদী আল-হাম্বালী (محمد بن أبي يعلى الفراء البغدادي الحنبلي أبو الحسين), তাহকীক- শায়খ মুহাম্মদ হামেদ আল-ফাক্বী (محمد حامد الفقي)৷ প্রকাশনায়- মাত্ববা’আতুস সুন্নাতুল মুহাম্মদীয়াহ, কায়রো মিশর। মোট দুই খণ্ডে প্রকাশিত।
- প্রামাণ্য স্ক্যানকপি –
আসুন, এবার তাকলিদ-কে শিরিক, ব্যক্তিপূজা ইত্যাদি বলে বলে মুখে যতপারি ফেনা তুলি, কোমরে গিট বেঁধে মাযহাবের বিরোধিতায় মাঠ গরম করতে থাকি, “সহীহ সহীহ” ভাব নিয়ে বিশেষতঃ ফিকহে হানাফীর বিরুদ্ধে জনমনে সংশয় আর বিদ্বেষ তৈরি করতে ইচ্ছেমতো অপপ্রচার করি…..!!! হে আল্লাহ! তুমি পরকালে আমাদের প্রত্যেকের কলিজায় জবাবদিহিতার ভয় ঢুকিয়ে দাও!
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ