ইমাম বায়হাক্বী (রহ.)-এর কিতাব থেকে,
(আরবী) عن عائشة : قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه و سلم ليلة فخرجت فإذا هو بالبقيع فقال أكنت تخافين أن يحيف الله عليك ورسوله ؟ قلت يا رسول الله إني ظننت أنك أتيت بعض نساءك فقال إن الله عز و جل ينزل ليلة النصف من شعبان إلى السماء الدنيا فيفغر لأكثر من عدد شعر غنم كلب
অনুবাদঃ হযরত আয়শা (রা.) বলেন, এক রাতে রাসূল (সা.)-কে কাছে না পেয়ে খুঁজতে বের হলাম। খুঁজতে খুঁজতে জান্নাতুল বাকীতে (মদীনার কবরস্থান) গিয়ে পেয়ে গেলাম। তিনি (আমাকে বিষণ্ণ অবস্থায় দেখে) বললেন, কী ব্যাপার আয়েশা? তোমার কি মনে হয় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল তোমার প্রতি কোনো অন্যায় করবেন? হযরত আয়েশা (রা.) বললেন, আমার ধারণা হয়েছিল আপনি অন্য কোনো বিবির ঘরে চলে গেলেন কিনা! রাসূল (সা.) বললেন, যখন শাবান মাসের ১৫ তারিখ দিবাগত রাত আসে (অর্থাৎ যখন শবে বরাত হয়), তখন আল্লাহতালা দুনিয়ার নিকটতম আসমানে নাযিল হন এবং বনু কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। (হাদীস নং ৩৫৪৪, রাবীদের সকলেই সিক্বাহ, হাদীসের মান- সহীহ ও মুরসাল)।
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য-
শায়খ আলবানী (রহ.) এর ‘সিলসিলাতুস সহীহাহ’ গ্রন্থে শবে বরাতের ফজিলত শীর্ষক হাদীস সম্পর্কে লিখেছেন,
(আরবী) قال الشيخ الألباني: يطلع الله تبارك وتعالى إلى خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن : حديث صحيح، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مختلفة يشد بعضها بعضا وهم معاذ ابن جبل وأبو ثعلبة الخشني وعبد الله بن عمرو وأبي موسى الأشعري وأبي هريرة وأبي بكر الصديق وعوف ابن مالك وعائشة.
অর্থাৎ “অর্ধ শাবানের রাতে (তথা শবে বরাতে) আল্লাহতালা তাঁর সমস্ত মাখলূকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন (হযরত মু’আয বিন জাবাল থেকে)।–(حديث صحيح) এই হাদীস সহীহ। এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে, যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। তাদের মাঝে রয়েছেন হযরত মু’আয বিন জাবাল, আবু সা’লাবা, আব্দুল্লাহ বিন আমর, আবু মূসা আশ’আরী, আবু হোরায়রাহ, আবু বকর সিদ্দীক, আ’উফ বিন মালিক এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) প্রমুখ সাহাবীগণ।” (সিলসিলাতুস সাহীহাহ হাদীস নং ১১৪৪, খণ্ড ৩ পৃষ্ঠা নং ১৩৫) (অনুবাদ সমাপ্ত হল)।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ