ইমাম মালেক (রহ.)-এর সান্নিধ্যে হযরত ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)
ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)-এর বুদ্ধিমত্তাঃ
একদা ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) ইমাম মালেক (রহ.)-এর দরসে (হাদীসের ক্লাসে) উপস্থিত ছিলেন, তখনো তিনি তাঁকে চিনতেন না।
ইত্যবসরে ইমাম মালেক (রহ.) তাঁর ছাত্রদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন রাখলেন। অমনি ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) সেটির উত্তর দিয়ে দেন।
তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ লোকটি কোথা থেকে এসেছে?
তিনি উত্তর দেনঃ ইরাকবাসীর পক্ষ থেকে।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন: ভণ্ডামী আর বিভেদ সৃষ্টিকারী দেশের অধিবাসীদের কাছ থেকে!!
তিনি (ইমামে আযম) বললেনঃ আমাকে কুরআন থেকে কিছু বলার অনুমতি দিন!
ইমাম মালেক (রহ.) বললেনঃ হ্যাঁ, (অনুমতি দিলাম)।
তিনি (ইমামে আযম) তিলাওয়াত করলেনঃ
(অর্থ) ‘মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের মধ্য হতে কতিপয় এবং ইরাকবাসীদের মধ্যে হতেও কতিপয় লোক এমন মুনাফিক রয়েছে; যারা মুনাফিকিতে অটল। (তওবা ১০১)।
ইমাম মালেক (রহ.) বলেনঃ আল্লাহ তা এভাবে বলেননি!
আবূ হানীফা (রহ.) বললেনঃ আল্লাহ তাহলে কিভাবে বলেছেন?
তিনি বললেনঃ আল্লাহ বলেছেন وَمِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ অর্থাৎ ‘মদীনাবাসীদের’ মধ্যে হতেও কতিপয় লোক এমন মুনাফিক রয়েছে…। (মানে ‘ইরাকবাসী’ এর স্থলে ‘মদীনাবাসী’ হবে)।
তিনি (ইমামে আযম) বললেনঃ আল্লাহ’র প্রশংসা জানাচ্ছি যে, আপনি নিজেই নিজের বিচার করেছেন। (অর্থাৎ কুরআনের ভাষ্যমতে মদীনার-ও কতেক লোক এমন রয়েছে যারা মুনাফিক ও মুনাফিকিতে অটল; তথাপি যত দোষ নন্দ ঘোষ!)
[ইমাম মালেক ইমামে আযমের উপরিউক্ত বুদ্ধিদীপ্ত প্রতিউত্তরে হতবাক হয়ে] নিজের আসন থেকে লাফিয়ে উঠেন এবং তাঁকে (ইমামে আযমকে) চেনা মাত্রই সম্মান করলেন।
(এটি ইমাম আবূ হানীফার প্রতি ইমাম মালেকের অন্যতম গৌরবগাঁথা স্তুতি – লিখক)।
[রেফারেন্স : নুযহাতুল মাজালিস ওয়া মুন্তাখাবুন নাফাঈস-১৪৯, ইমাম আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুস সালাম আস-সাফুরী (মৃত. ৮৯৪ হিজরী)]।
আরবীপাঠ সহ ফিকহ মিডিয়া গ্রুপ থেকে পড়ুন
(সংযুক্ত মূল আরবীপাঠ নিম্নরূপ)
অনুবাদক- মুহাম্মদ নূরুন্নবী এম.এ