আবূ হানীফা ও তাঁর মাযহাবের প্রতি ইমাম আলী ইবনুল মাদীনির দৃষ্টিভঙ্গি

0
আবূ হানীফা ও তাঁর মাযহাবের প্রতি ইমাম আলী ইবনুল মাদীনির দৃষ্টিভঙ্গি

ইমাম আবূ হানীফা (রহ.) ও তাঁর মাযহাবের প্রতি ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি (রহ.)-এর মোহাব্বত প্রকাশ

1 ইমাম বুখারী (রহ.)-এর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি বলেন ((وَإِذَا رَأَيْتَ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَبَا حَنِيفَةَ وَرَأْيَهُ وَالنَّظَرَ فِيهِ فَلَا تَطْمَئِنَّ إِلَيْهِ وَإِلَى مَنْ يَذْهَبُ مَذْهَبَهُ مِمَّنْ يَغْلُو فِي أَمْرِهِ وَيَتَّخِذُهُ إِمَامًا))

❝তুমি যখন কোনো লোককে দেখবে যে, সে আবূ হানীফা এবং তাঁর রায়কে ভালোবাসে অথচ তাতে (সে) ক্রুটি করে, তাহলে তুমি এমন ব্যক্তির প্রতি একদমই প্রশান্তচিত্ত হবে না। আর এমন ব্যক্তির প্রতিও (প্রশান্তচিত্ত হবে না) যে তাঁর মাযহাব গ্রহণ করেছে বটে, (তবে) সে তাঁর ফাতাওয়া (মানার) ক্ষেত্রে সীমালঙ্ঘন করে অথচ সে তাঁকে (নিজের) ইমাম হিসেবে গ্রহণ করেছে।❞ (শারহু উসূলি ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ- ১/১৮৫, হাফিয হিবাতুল্লাহ আলকাঈ মৃত. ৪১৮ হিজরী)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য।

ইমাম আলী ইবনুল মদনী (রহ.)-এর পক্ষ হতে সহীহ সনদে ইমাম আবূ হানীফা (রহ.)-এর ব্যাপারে সুস্পষ্ট তাওসীক্ব (توثيق) নিম্নরূপ,

2 যেমন ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি (রহ.) বলেন ((وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ الْمَدِيْنِيْ: أَبُوْ حَنِيْفَةَ رُوِيَ عَنْهُ الثَّوْرِيُّ وَاِبْنُ الْمُبَارَكِ وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ وَهَشِيْمٌ وَوَكِيْعُ بْنُ الْجَرَّاحِ وَعَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ وَجَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ وَهُوَ ثِقَةٌ لَا بَأْسَ بِهِ)) অর্থাৎ ❝আবূ হানীফা (রহ.)-এর কাছ থেকে সুফিয়ান আস-সওরী, আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক, হাম্মাদ ইবনে যায়িদ, হাশিম, ওয়াকী’ ইবনে জাররাহ, আব্বাদ ইবনুল আ’ওয়াম প্রমুখ সকলে (হাদীস-আছার) রেওয়ায়েত করেছেন। তিনি একজন সিকাহ (বিশ্বস্ত), তার ব্যাপারে কোনো সমস্যা নেই।❞ (জামে’ বায়ানিল ইলম ওয়া ফাজলিহি, ইমাম ইবনে আব্দিল বার মালেকি – ২/১৪৯। আরো দেখা যেতে পারে ((اَلْجَوَاهِرُ الْمُضِيَّةُ فِىْ طَبَقَاتِ الْحَنَفِيَّةِ)) আল জাওয়াহিরুল মুদিয়্যাহ ফী তাবাক্বাতিল হানাফিয়্যাহ – ১/২৯)।

শেষকথা – আবূ হানীফা বিদ্বেষী কতিপয় উগ্র গয়ের মুকাল্লিদ ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি (রহ.)-এর কথার বিকৃত অনুবাদ করে এবং সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে থাকে। তাদের বিকৃত অনুবাদ দেখে আপনি অবাক হবেন! তাদের সেই বিকৃত ও খিয়ানতপূর্ণ অনুবাদটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হল!

ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ এর উস্তাদ ইমাম আলী ইবনুল মাদীনি রহিমাহুল্লাহ বলেনঃ

وَإِذَا رَأَيْتَ الرَّجُلَ يُحِبُّ أَبَا حَنِيفَةَ وَرَأْيَهُ وَالنَّظَرَ فِيهِ فَلَا تَطْمَئِنَّ إِلَيْهِ وَإِلَى مَنْ يَذْهَبُ مَذْهَبَهُ مِمَّنْ يَغْلُو فِي أَمْرِهِ وَيَتَّخِذُهُ إِمَامًا

❝তুমি ঐ সমস্ত ব্যক্তির উপর একদম ভরসা (বিশ্বাস) রাখবে না, যারা আবু হানিফার প্রতি মুহাব্বত রাখে কিংবা তার মাজহাবের সাথে এবং তার রায়সমূহের দিকে নজর দেয়৷ আর ঐ সমস্ত ব্যক্তির ওপর ভরসা (বিশ্বাস) রাখবে না, যারা আবু হানিফার মাজহাবের ওপর চলে এবং তাতে বাড়াবাড়ি করে। আর (ওই ব্যক্তির ওপরেও ভরসা করবে না) যে আবু হানিফাকে নিজের ইমাম হিসেবে গ্রহন করে বা গন্য করে❞।

(শারহু উসূলি ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ- ১/১৮৫)।

মজার ব্যাপার হল, কিতাবটিতে ইমাম আলী ইবনুল মাদীনির কথাটির কোনো সনদ নেই। কিন্তু তথাপি ইমামে আযম বিদ্বেষী গয়ের মুকাল্লিদ ও শীয়ারা সনদ বিহীন কথাটি বিকৃত অনুবাদ সহ প্রচারের সময় ❝সনদ সহীহ❞ লিখেই প্রচার করে, হয়ত তাদের অন্ধ অনুসারীরা এর বাস্তবতা কখনো যাচাই করার-ও প্রয়োজন মনে করেনি। কিতাবটির অনলাইন ভার্সন Click in here.

নাউযুবিল্লাহ।

অনুবাদ ও লিখক
এডমিন ফিকহ মিডিয়া

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here