প্রশ্ন : বিভিন্ন বই পুস্তকে পাওয়া যায় যে, হযরত ফাতিমা (রা.) এর প্রতি দুই খলীফা নাকি খুব অন্যায় করেছিলেন? এর কি কোনো বাস্তবতা রয়েছে?
উত্তর : শীয়া রাফেজি সম্প্রদায়ের সোর্সগুলোয় এ ধরনের কিছু গল্প অবশ্যই বর্ণিত আছে। আহলুস সুন্নাহ’র বিশুদ্ধ কোনো হাদীস গ্রন্থে এ ধরনের কোনো গল্পের উল্লেখ নেই। তবে বিশুদ্ধ হাদীস গ্রন্থের বাহিরে কিছু কিছু পুস্তকে এ সম্পর্কে উল্লেখ থাকলেও তার সনদ প্রমাণিত নয়। আবার কোনো কোনোটির বিবরণও একেক রকম।
দুই খলীফার প্রতি জঘন্য অপবাদ :
সব চেয়ে জঘন্য অপবাদটি হচ্ছে, ‘হযরত উমর (রা.) হযরত ফাতিমার পেটে আঘাত করেন, ফলে ফাতিমার গর্ভপাত ঘটে। পেট থেকে মুহসিনের প্রসব হয়ে যায়।’ নাউযুবিল্লাহ। এ জাতীয় বিভিন্ন গল্প কাহিনী শীয়াদের বইপুস্তক গুলোয় ভুরি ভুরি পাওয়া যায়। সত্যি বলতে, এধরণের ইতিহাস সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং অবাস্তব। সত্যের সাথে যার লেশমাত্র সম্পর্কও নেই।
তার কারণ, বর্ণনাগুলোর সিংহভাগই ভিত্তিহীন ও সনদ বিহীন। কিছু কিছু বর্ণনার সনদে ইনক্বিতাহ বা বিচ্ছিন্নতা বিদ্যমান, আবার কিছু কিছু সনদের রাবী বা বর্ণনাকারী জিন্দিক ও অবিশ্বস্ত হিসেবে অভিযুক্ত। আবার কোনো কোনো বর্ণনার মান শাজ পর্যায়ের।
আমি বর্ণনাগুলোর অনুবাদ সহ একটু পরেই উল্লেখ করব, ইনশাআল্লাহ। তার আগে উক্ত দুই খলীফা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা) এর সাথে প্রাসঙ্গিক ঘটনাটির পটভূমি উল্লেখ করছি।
১১ হিজরীর ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার রাসূল (সা.) এর ইন্তেকাল হয়ে গেলে সাহাবীরা সকলে তাদের পরবর্তী অভিভাবক বা প্রতিনিধি কে হবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান। রাসূল (সা.)-এর দাফন কার্য সম্পন্ন হওয়ার পরপরই সাহাবীগণ সাকিফা বনু সাইদাহ (سقيفة بنى ساعدة) এর মহল্লায় একত্রিত হন এবং আবূবকর (রা.)-এর নিকট দলে দলে খিলাফতের বয়’আত নিতে শুরু করেন। কিন্তু কয়েকজন সাহাবী তখনো বয়’আত নেননি, তারা বয়’আত নিতে দেরি করেন। তাদের মধ্যে হযরত আব্বাস, হযরত ফজল ইবনে আব্বাস, হযরত আলী, হযরত যোবায়ের ইবনুল আ’ওয়াম, হযরত মিক্বদাদ প্রমুখ অন্যতম। হতে পারে তারা রাসূল (সা.)-এর দাফন কার্য থেকে তখনও পুরোপুরি অবসর হতে পারেননি। তাই বয়’আত নিতে দেরি হচ্ছিল। হযরত আবুবকর (রা.) তাদেরকে অনুপস্থিত দেখে খবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেন এবং বেশকয়জন সাহাবীকে সহ হযরত উমর (রা.)-কে তাদের নিকট প্রেরণ করেন।
হযরত উমর (রা.) খবর নিয়ে জানতে পারলেন যে, তারা হযরত ফাতিমা (রা.)-এর বাড়ীতে অবস্থান করছেন। হযরত উমর (রা.) সহ সাহাবীগণ ফাতিমার বাড়ী গিয়ে পৌঁছেন। তাদেরকে খলীফা নির্বাচন সম্পর্কে অবিহিত করলেন। অত:পর বাড়ীর ভেতরে যারা অবস্থান করছিলেন তারা সবাই বের হয়ে আসেন এবং আবূবকর (রা.)-এর হাতে বয়’আতে প্রবেশ করেন। এ ছিল আসল ঘটনা। ঘটনাটি এভাবেই বিশুদ্ধ সূত্রে মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাক লিল হাকিম গ্রন্থদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে।
হযরত উমর (রা.) কি ফাতিমা (রা.) এর পেটে আঘাত করেছিলেন?
উত্তরে বলা হয় যে, এ ধরনের কোনো ইতিহাস প্রমাণিত নয়, বরং এ কথাটি প্রথম যে ব্যক্তিটি বলেছিল তার নাম ইবরাহীম আন নাজ্জাম আল মু’তাজিলি। তার দাবী হচ্ছে, ((إن عمر ضرب بطن فاطمة يوم البيعة، حتى ألقت المحسن من بطنها)) “নিশ্চয়ই উমর বয়’আতের দিন ফাতিমার পেটে আঘাত করেন, ফলে তাঁর পেট থেকে মুহসিনের গর্ভপাত হয়ে যায়।” – টাটকা জাল ও ভিত্তিহীন।
রেফারেন্স- আল ওয়াফী বিল ওয়াফিয়াত ৬/১৭, সালাহ উদ্দীন আছ-ছফদী আদ দিমাস্কী আশ-শাফেয়ী (মৃত. ৬৯৬ হি.)।
সম্পর্কিত তথ্যঃ উপরের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ সনদ বিহীন। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে এটি শীয়া দর্শনে প্রভাবিত ইবরাহীম আন নাজ্জামের নিজেস্ব উক্তি হিসেবে উল্লেখ পাওয়া যায়। নিচে ইবরাহীম আন নাজ্জাম এর বৃত্তান্ত উল্লেখ করছি,
ইমাম যাহাবী তাঁর ‘সিয়ার’ গ্রন্থে তার সম্পর্কে লিখেছেন ((كَانَ النَّظَّامُ عَلَى دِيْنِ البَرَاهِمَةِ المُنْكِرِيْنَ لِلنُبُوَّةِ وَالبَعْثِ وَيُخْفِي ذَلِكَ)) অর্থাৎ ইবরাহীম আন নাজ্জাম এমন একজন, যে পুনরুত্থান এবং নবুওয়তের অস্বীকারকারী ব্রাহ্মণ্য মতবাদের অনুসারী ছিল, অথচ সে তা গোপন রাখত। – (সিয়ারু আলামিন নুবালা, যাহাবী ১০/৫৪২)।
ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) ‘লিসানুল মীযান’ গ্রন্থে তার পুরো নাম এভাবে উল্লেখ করেছেন, ((إبراهيم بن سيار بن هانئ النظام أبو إسحاق البصري)) অর্থাৎ ‘ইবরাহীম ইবনে সাইয়ার ইবনে হানী আন নাজ্জাম আবূ ইসহাক্ব আল বছরী।’ ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) তার সম্পর্কে আরও লিখেছেন, ((من رؤوس المعتزلة متهم بالزندقة وكان شاعرا أديبا بليغا وله كتب كثيرة في الاعتزال والفلسفة ذكرها النديم. قال ابن قتيبة في “اختلاف الحديث” له: كان شاطرا من الشطار مشهورا بالفسق. ثم ذكر من مفرداته: أنه كان يزعم أن الله يحدث الدنيا وما فيها في كل حين من غير أن يفنيها , وجوز أن يجتمع المسلمون على الخطأ)) অর্থাৎ ‘সে ছিল মু’তাজিলি সম্প্রদায়ের অন্যতম নেতা। জিন্দিক বা ধর্মত্যাগী হিসেবেও অভিযুক্ত। তবে সে একজন কবি এবং সাহিত্যিক। তার বহু রচনা ছিল মু’তাজিলি মতবাদ এবং ফিলোসোফি দর্শনের উপর, শায়খ নাদীম তার লিখায় এ সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। ইমাম ইবনু ক্বদামাহ তার ‘ইখতিলাফুল হাদীস’ গ্রন্থে তার সম্পর্কে লিখেছেন, সে একজন ধূর্ত এবং অন্যায় ও অনৈতিকতার জন্য ছিল বিখ্যাত। ইবনু কুদামা ‘মুফরাদাত’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘সে দাবী করত যে, সমগ্র পৃথিবী এবং এর মধ্যে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, এর কিছুই বিনাশ হবেনা। সে আরও বলত, মুসলিমদের জন্য ভুলের উপর ঐক্যমত হওয়া বৈধ।’
ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) তার মৃত্যু সন লিখেছেন ((مات في خلافة المعتصم سنة بضع وعشرين ومئتين وهو سكران)) অর্থাৎ সে খলীফা মু’তাসিম এর শাসনামলে বছরা শহরে ২২০ হিজরীতে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারা যায়। (লিসানুল মীযান ১/২৯৫)।
বিশুদ্ধ সনদে এতদ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বর্ণনাটি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ.) সহ আহলুস সুন্নাহ’র ইমামগণের কিতাবে যেভাবে উল্লেখ আছে,
হাদীসের আরবী ইবারত ও অনুবাদঃ
أسلم القرشي مولى عمر بن الخطاب رضي الله عنه، قال: حين بُويع لأبي بكر بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم، كان علي والزبير يدخلان على فاطمة بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم فيشاورونها ويرتجعون في أمرهم ، فلما بلغ ذلك عمر بن الخطاب خرج حتى دخل على فاطمة فقال: يا بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ! والله ما من أحد أحب إلينا من أبيك، وما من أحد أحب إلينا بعد أبيك منك، وايم الله ما ذاك بمانعي إن اجتمع هؤلاء النفر عندك إن أمرتهم أن يحرق عليهم البيت. قال: فلما خرج عمر جاؤوها فقالت: تعلمون أن عمر قد جاءني، وقد حلف بالله لئن عدتم ليحرقن عليكم البيت، وايم الله ليمضين لما حلف عليه، فانصرِفوا راشدين، فَرُوا رأيَكم ولا ترجعوا إلّيَّ ، فانصرفوا عنها ، فلم يرجعوا إليها حتى بايعوا لأبي بكر.
অর্থাৎ হযরত উমর ইবনু খাত্তাব (রা.) এর একজন কৃতদাস আসলাম আল কারশী, তিনি বলেন, যখন আল্লাহ’র রসূলের ইন্তেকালের পর আবু বকর (রা.)-এর নিকট বয়’আত নেয়া হচ্ছিল, তখন যোবায়ের এবং আলী দু’জনই আল্লাহ’র রসূলের কন্যা ফাতিমার বাড়ী যান এবং নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করতে থাকেন এবং কাজে বেপরোয়া ছিলেন। যখন এ সংবাদটি উমর ইবনু খাত্তাব (রা.)-এর নিকট পৌঁছল, তখন তিনি ফাতিমা (রা.)-এর নিকট যাওয়ার জন্য বের হন। তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ’র রসূলের কন্যা! খোদার কসম, আমাদের কাছে আপনার পিতার চেয়ে প্রিয় আর কেউ নেই এবং আপনার পিতার পর আমাদের কাছে আপনার চেয়ে প্রিয় আর কেউ নেই। খোদার কসম, যদি এ দলটি আপনার নিকট সংঘবদ্ধ থাকে তাহলে তা আমাকে তাদের ঘর পুড়িয়ে দিতে রুখবেনা, যদি আপনি নির্দেশ দিন।
বর্ণনাকারী বলেন, যখন উমর চলে গেলেন, তখন তারা ফাতিমার নিকট আসলেন। ফাতিমা বললেন, তোমরা জানো যে, উমর আমার নিকট এসেছিলেন এবং তিনি আল্লাহর শপথ করেছিলেন যে, আপনারা যদি বয়’আত থেকে বিরত থাকেন তাহলে তিনি আপনাদের ঘর জ্বালিয়ে দেবেন। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি যে, তারা যা করার শপথ করেছেন তা তারা পূরণ করবে। সুতরাং আপনারা মনস্থির করুন আর আমার কাছে ফিরে আসবেন না। তারপর তারা তাঁর নিকট চলে গেলেন এবং আবু বকরের নিকট বয়’আত না করা পর্যন্ত ফিরে যাননি।
রেফারেন্সঃ মুসনাদে আহমদ, ফাজায়েলুস সাহাবা অধ্যায় ১/৩৬৪, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৭/৪৩২, আল মুযাক্কার ওয়াত তাযকীর ১/৯১ ইবনু আবী আছিম, ইমাম বাজ্জারের সূত্রে আল ইস্তঈ’আব ৩/৯৭৫ ইবনু আব্দিল বার, তারীখে বাগদাদ ৬/৭৫ খতীবে বাগদাদ। প্রত্যেকের অভিন্ন সনদটি এইরূপ- محمد بن بشر ثنا عبيد الله بن عمر عن زيد بن أسلم عن أبيه به. শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফি.) বলেছেন, وهذا إسناد صحيح এ সনদটি সহীহ।
এবার ব্যতিক্রমী ও দুর্বল বর্ণনাগুলো নিম্নরূপ যেগুলোর মতন বা মূলপাঠ সূত্রের বিচারে অপ্রমাণিত,
. يقول البَلَاذُري (أحمد بن يحيى بن جابر البَلَاذُري البغدادي)ـ بعد لحادثة السقيفة المريرة ـ : إنّ أبا بكر أرسل إلى علي يريد البيعة، فلم يبايع، فجاء عمر و معه فتيلة، فتلقته فاطمة على الباب، فقالت فاطمة : يا ابن الخطاب أتراك محرقاً عليَّ بابي؟ قال : نعم، و ذلك أقوى فيما جاء به أبوك وجاء علي فبايع وقال : كنت عزمت أن لا أخرج من منزلي حتى أجمع يعني أحفظ القرآن
অর্থ- আহমদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে জাবের আল বালাজুরী আল-বাগদাদী বলেন, সাক্বীফায় সংঘটিত ঘটনার পর :- নিশ্চয়ই আবূবকর (রা.) বয়’আত গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে আলীর নিকট দূত প্রেরণ করেন। যেহেতু সে বয়’আত নেয়নি। ফলে উমর (রা.) একটি প্রদীপ সাথে নিয়ে (ফাতিমার বাড়ীর উদ্দেশ্যে) যাত্রা করেন। ফাতিমা তার সাথে বাড়ীর দরজায় দেখা করেন। তখন ফাতিমা জিজ্ঞেস করলেন, হে উমর! আপনি কি আমার দরজায় আগুল দিতে চাচ্ছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, এটি আপনার পিতা যা নিয়ে এসেছেন তার চেয়েও ভারি। অত:পর হযরত আলী (রা.) বেরিয়ে আসেন এবং বয়’আত গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, আমি (মূলত) গৃহ থেকে বের না হবারই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যতক্ষণ না আমি কুরআন হিফয সম্পন্ন করছি। – আনসাবুল আশরাফ ২/১২, আল বালাজুরী। – দুর্বল।
সম্পর্কিত তথ্যঃ ইমাম বালাজুরী (২৭০ হি.) এটি ‘আনসাবুল আশরাফ’ ২/১২-তে বর্ণনা করেছেন। বর্ণনার সনদের অভ্যন্তরীণ ক্রুটি হচ্ছে, সূত্র বিচ্ছিন্নতা। বর্ণনাকারীদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ হওয়া প্রমাণিত নয়। কেননা, এর সনদ হচ্ছে المدائني عن مسلمة بن محارب عن سليمان التيمي وعن ابن عون প্রথমতঃ এখানে মাসলামাহ বিন মাহারিব আয যিয়াদী আল কুফী সম্পর্কে রিজালশাস্ত্রের কিতাবগুলোয় জরাহ বা তা’দীল কোনো কথারই উল্লেখ নেই। তবে ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ’র অন্তর্ভুক্ত করেছেন। দ্বিতীয়তঃ সুলাইমান ইবনু তুরখান আত তাঈমী (سليمان ابن طرخان التيمي) এর মৃত্যু সন ১৪৩ হিজরী। কিন্তু সনদে উপরের দু’জনের মধ্যখানে ইনক্বিতা বা বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। অধিকন্তু মাসলামাহ বিন মাহারিব শুধুই হিজাজের রাবীগণ থেকে এবং উমর বিন আব্দুল আযীয থেকেই বর্ণনা করতেন (-আস সিক্বাত, ইবনু হিব্বান)। আর আব্দুল্লাহ ইবনু আ’ওন আল বছরী (وعبد الله بن عون أبو عون البصري) এর মৃত্যু সন বিশুদ্ধ মতে ১৫০ হিজরী। সুলাইমান এবং আব্দুল্লাহ কেউই ঘটনাটি সুনিশ্চিতভাবে উপলব্ধি করতে পারেননি, যদিও দু’জনই বিশ্বস্ত ছিলেন। ইমাম ইয়াহইয়া বিন সা’ঈদ আল কাত্তান বলেন, সুলাইমান ইবনু তুরখানের মুরসাল সন্দেহযুক্ত ও গুরুত্বহীন। আর তার শায়খ আল মাদাইনী যার পূর্ণ নাম-أبو الحسن علي بن محمد بن عبد الله الإخباري ; মৃত্যু সন ২২৪ হিজরী, তিনি হাদীস বর্ণনায় শক্তিশালী নন (ইবনু আদীর আল কামিল ৫/২১৩ দেখুন)। তবে লিসানুল মীযান গ্রন্থে ইবনু মা’ঈন থেকে তার তাওসীক্ব উল্লেখ আছে। ইমাম যাহাবীও তার বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। যাইহোক, সর্বসাকুল্যে কথা হচ্ছে, বিশুদ্ধ বর্ণনার বিপরীতে ইমাম বালাজুরীর মুনকাতি সনদের এ বর্ণনার অতিরিক্ত অন্যান্য ঘটনা নির্ভরযোগ্য সনদে উত্তীর্ণ নয় বলে গ্রহণযোগ্য নয়।
এ ধরনের আরও কিছু দুর্বল বর্ণনা শব্দের কিছু পরিবর্তন সহ উল্লেখ রয়েছে, যেমন-
তারীখে তাবারী ৩/২০২।
‘আল ই’কদুল ফারীদ, ইবনু আব্দি রাব্বিহি আল উন্দুলুসী ৫/৩১। সংক্ষেপে।
সম্পূর্ণ লিখাটির সোর্স শায়খ মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ (হাফি.) এর Islamqa.info এ সাইট থেকে সংগৃহীত
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী, শিক্ষাবিদ ও গবেষক