ঈসা মসীহ (আ.) এর কবর প্রসঙ্গে
প্রশ্ন : হযরত ঈসা মসীহ (আ.) এর কবর কোথায়? তিনি কি মৃত্যুবরণ করেছেন নাকি এখনো করেননি? ইসলামের অথেনটিক সোর্স এর আলোকে জানতে চাই।
উত্তর : পবিত্র কুরআন আমাদের বলছে, كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ অর্থাৎ প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে (কুরআন ৩:১৮৫)। কিন্তু মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা যতক্ষণ না কাউকে মৃত্যু দিচ্ছেন, ততক্ষণ কারো মৃত্যু হবেনা। দুনিয়ার তাবৎ শক্তিগুলো একত্রিত হয়ে চেষ্টা করলেও আল্লাহর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনোই জয়লাভ করতে পারবেনা। এটাই আমাদের ঈমান। আদি পিতা ও প্রথম নবী হযরত আদম (আ.) থেকে নবুওয়তের ক্রমধারা আরম্ভ হয়ে আখেরি যামানার নবী ও শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত এসে সমাপ্ত হয়। মুসলিম উম্মাহার সর্বসম্মত আকীদা ও বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহতালা সমস্ত নবী ও রাসূলকে যথাসময়ে মৃত্যু দান করেছেন, শুধুমাত্র হযরত ঈসা মসীহ (আ.) ছাড়া। তিনি তাঁর (ঈসা) আয়ুষ্কাল শেষ যামানা পর্যন্ত প্রলম্বিত করে দিয়েছেন।
পবিত্র কুরআনের সূক্ষ্মতর ইংগিতে ঈসা মসীহ (আ.) এর পুনঃ আগমনী ভবিষ্যৎবাণী-
পবিত্র কুরআনের সূরা আলে ইমরানে আল্লাহতালা ইরশাদ করেছেন,
وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّينَ لَمَا آتَيْتُكُم مِّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنصُرُنَّهُ ۚ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَىٰ ذَٰلِكُمْ إِصْرِي قَالُوا أَقْرَرْنَا ۚ قَالَ فَاشْهَدُوا وَأَنَا مَعَكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ
অর্থাৎ “আল্লাহ যখন তাঁর নবীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলেন (তখন তিনি বলেছিলেন, এ হচ্ছে) কিতাব ও (তার ব্যবহারিক) জ্ঞান কৌশল, যা আমি তোমাদের দান করলাম, অতপর তোমাদের কাছে যখন (একজন) রাসূল আসবে, যে তোমাদের কাছে রক্ষিত (আগের) কিতাবের সত্যায়ন করবে, তখন তোমরা অবশ্যই তার (আনীত বিধানের) উপর ঈমান আনবে এবং সাহায্য করবে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি অঙ্গীকার গ্রহণ করছো এবং আমার এ প্রতিশ্রুতির দায়িত্ব পালন করছো? তারা বললো, হ্যাঁ আমরা অঙ্গীকার করছি; তিনি বললেন, তাহলে তোমরা সাক্ষী থেকো এবং আমিও তোমাদের সাথে (এ অঙ্গীকারে) সাক্ষী হয়ে রইলাম।”
উক্ত আয়াতে মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনী প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে (ইবনে আব্বাস, আলী প্রমুখও একই কথা বলেছেন, তাফসীরে তাবারী দ্রষ্টব্য)।
এ ব্যাপারটি নবুওয়তের মিথ্যা দাবীদার কাজ্জাব মির্যা কাদিয়ানীও স্বীকার করে লিখে গেছে। দেখুন রূহানী খাযায়েন খণ্ড নং ১৮, পৃষ্ঠা নং ৬৭৫। আয়াতটির আবেদন হচ্ছে, রূহের জগতে সমস্ত নবী রাসূল থেকে গৃহিত অঙ্গীকার, শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে পাওয়া মাত্রই সবাই তাঁকে সাহায্য করতে হবে। আর এই অঙ্গীকার সকল নবী রাসূলের পক্ষ হতে পূর্ণ হওয়া তখনি সম্ভব, যখন শেষযুগে ঈসা (আ.) আসবেন এবং তিনি সকলের পক্ষ হতে তাঁর রেসালতের সত্যায়ন করবেন এবং তাঁর রেখে যাওয়া দ্বীনের সাহায্য করবেন। সুতরাং ঈসা মসীহ (আ.) এর আয়ুষ্কাল শেষ যামানা পর্যন্ত আল্লাহ বিলম্বিত করে দিয়েছেন তাঁর উক্ত অঙ্গীকার যথাসময়ে পূর্ণ করার জন্য। এখন যারা ঈসা মসীহকে আগেই মেরে ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছেন তারা কি মনে করেন যে, আল্লাহ তাঁর নেয়া উক্ত অঙ্গীকার অপূর্ণ রাখবেন এবং পূর্বের কোনো নবীকে তিনি উক্ত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য বাঁচিয়ে রাখবেন না?
কাদিয়ানীদের নিকট আরেকটি প্রশ্ন হল, মির্যা কাদিয়ানীর কাছ থেকেও কি ঐ অঙ্গীকার নেয়া হয়েছিল? অন্যথা প্রকৃত ঈসা আসার পরিবর্তে তথাকথিত “রূপক ঈসা” আসার যুক্তিকতা কী?
ঈসা মসীহ (আ.) সম্পর্কে যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস এবং তাফসীরবিদগণের সামান্য কিছু বক্তব্য-
সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাকারক বিখ্যাত হাদীস বিশারদ ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী (রহ.) ঈসা মসীহ (আ.) এর কবর সম্পর্কে ‘ফাতহুল বারী’ কিতাবে পরিষ্কার লিখেছেন,
“ওয়া লাইসা লাহু ক্ববরুন” ((وَلَيْسَ لَهُ قَبْرُ)) অর্থাৎ তাঁর (ঈসা) কোনো কবর-ই নেই। (ফাতহুল বারী, কিতাবুস সালাত, ১/৬৩৪ দ্রষ্টব্য)। তিনি তাঁর অন্য আরেকটি কিতাবে আরো লিখেছেন “সকল হাদীস বিশারদ এবং তাফসীরকারক একমত এই কথার উপর যে, ((اَنَّهُ رَفَعَهُ بِبَدَنِهِ حَيًّا)) অর্থাৎ নিশ্চয় তিনি তাঁকে (ঈসা) সশরীরে জীবিত উঠিয়ে নিয়েছেন। তবে মতভেদ শুধু এতটুকুতে যে, (আকাশে) উঠিয়ে নেয়ার আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন নাকি [মৃত্যুর সদৃশ] ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।” (দেখুন- ‘আত তালখীছুল হাবীর’ কিতাবুত তালাক ৩/৪৬২)।
ইমাম শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দেস আদ-দেহলভী (রহ.) লিখেছেন ((فَظَنُّوْا رَفْعَهُ إِلَي السَّمَاءِ قَتْلًا)) “ফলে তারা (ইহুদীরা) তাঁকে (ঈসাকে) আকাশে উঠিয়ে নেয়াকে হত্যা করার ধারণা করেছিল”। (আল-ফাওযুল কাবীর [আরবী] ৩৮; দারুল গাওছানী লিদ-দিরাসাতিল কুরআনিয়্যা, দামেস্ক হতে প্রকাশিত)।
ইমাম জালালুদ্দীন আস-সুয়ূতী (রহ.) লিখেছেন ((وَاَنَّهُ يَحْكُمُ بِشَرْعِ نَبِيِّنَا وَ وَرَدَتْ بِهِ الأَحَادِيْثُ وَ انْعَقَدَ عَلَيْهِ الْإِجْمَاعُ)) অর্থাৎ নিশ্চয়ই তিনি (ঈসা) আমাদের নবী (মুহাম্মদ সাঃ)’র শরীয়ত দ্বারা বিচার-ব্যবস্থা (কায়েম) করবেন এবং এর প্রমাণে বহু হাদীস বর্ণিত হয়েছে ও এর উপর ইজমা [উম্মতের ঐক্যমত্য] প্রতিষ্ঠিত। (ইমাম সুয়ূতী রচিত ‘আল-হাভী লিল ফাতাওয়া’ ২/১৫৫)।
তিনি আরো লিখেছেন ((ومَكَرَ اللهُ بِهِمْ بِألْقَى شِبْهِ عِيسَى عَلَى مَنْ قَصَدَ قتْلَهُ فَقَتَلُوْهُ وَ رُفِعَ عِيْسَى إِلَى السَّمَاءِ)) “আল্লাহতালা তাদের ষড়যন্ত্রের মুকাবিলায় কৌশল অবলম্বন করেছিলেন। যার ফলে আল্লাহতালা তাদের একজনকে ঈসার সাদৃশ করে দেন, যে তাঁকে হত্যা করার ইচ্ছে করেছিল। তারপর তারা (ইহুদীরা) ঈসার সদৃশ-লোকটিকে (ঈসা ভেবে) হত্যা করে ফেলে। আর (ওদিকে) ঈসাকে [তাদের পাকড়াও হতে নিবৃত রেখে] আকাশে উঠিয়ে নেন।” (তাফসীরে জালালাইন)।
তিনি আরো লিখেছেন ((عن ابن عباس رضى الله عنه : مَدَّ فِىْ عُمْرِهِ حَتَّى اَهْبَطَ مِنَ السَّمَاءِ اِلَى الْاَرْضِ وَ يَقْتُلُ الدَّجَالَ)) “হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহতালা তাঁর (ঈসা) আয়ুষ্কাল বিলম্বিত করে দিয়েছেন। তিনি আকাশ থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করবেন এবং দাজ্জালকে হত্যা করবেন।” (দুররে মানসুর ২/৩৫০, ইমাম সুয়ূতী)।
ঈসা মসীহ (আ.) এর কবর প্রসঙ্গে-
হিজরী দশম শতকের মুজাদ্দিদ মোল্লা আলী ক্বারী (রহ.) ‘তারীখে কাবীর’ এর ১ম খণ্ডের ১৬৩ নং পৃষ্ঠায় একটি হাদীসে উল্লিখিত “ফী কবরি” (فِيْ قَبْرِيْ) এর ব্যাখ্যায় লিখেছেন ‘আমি এবং ঈসা একই কবরে দাফন হব’ একথার অর্থ হচ্ছে একই গোরস্তানে (পাশাপাশি দুইজন) দাফন হব। কারণ, কামূছ [অভিধান]’র ভেতর আছে, কোনো কোনো সময় ‘ফী’ বা فى (মধ্যে) বর্ণটি ‘মিন’ বা من (সন্নিকটে) অর্থেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।” (মেরকাত শরহে মেশকাত: ১০/১৬৬; কিতাবুল ফিতান)। প্রকাশ থাকে যে, মেশকাত শরীফের ‘ফাজায়েলে সাইয়েদিল মুরসালীন’ অধ্যায় (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি তার পিতা এবং দাদার সূত্রে বলেন, তাওরাত কিতাবে নবী করীম (সা.)-এর গুণাবলীতে এটিও লিপিবদ্ধ আছে যে ((قَالَ اَبُوْ مَوْدُوْدٍ قَدْ بَقِىَ فِى الْبَيْتِ مَوْضِعُ قَبْرِعِيْسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَدْفِنُ مَعَهُ)) “ঈসা ইবনে মরিয়ম নবী করীম (সা.)-এর সাথে দাফন হবেন। বর্ণনাকারী আবু মাওদূদ বলেন, রাওজা শরীফের অভ্যন্তরে একটি কবরের জায়গা (এখনো) খালি রয়েছে।”
হাদীসটির সনদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিজি (রহ.) বলেছেন, هذا حديث حسن غريب অর্থাৎ এ হাদীসটি ‘হাসান‘ এবং রাবীর একক সনদে বর্ণিত। (দেখুন, তারীখে দামেস্ক ৪৭/৫২২-২৩)। বলে রাখা জরুরি যে, ‘গরীব’ শব্দটি উসূলে হাদীসের একটি পরিভাষা। যেসব হাদীসের সনদের ভেতর কোনো কোনো স্তরে রাবী শুধুই একজন থাকে, সেই সনদকে ‘গরীব’ (একক সূত্র পরম্পরায়) বলা হয়। আর দুইজন রাবীর পরম্পরায় বর্ণিত সনদকে ‘আযীয’ বলা হয়।
তারীখে দামেস্ক কিতাবে সনদ সহ বর্ণিত আছে-
عن عائشة، قالت: قلت: يا رسول الله، إني أرى أن أعيش من بعدك، فتأذن لي أن أدفن إلى جنبك؟ فقال: “وأنَّى لي بذلك الموضع؟ ما فيه إلا موضع قبري وقبر أبي بكر وقبر عمر، وقبر عيسى بن مريم
অর্থাৎ উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার মনে হচ্ছে যে, আমি আপনার ইন্তেকালের পরেও বেঁচে থাকব। অতএব আমাকে অনুমতি দেবেন কি যাতে আপনার পাশেই (মৃত্যুর পর) দাফন হতে পারি? তখন প্রতিউত্তরে তিনি বললেন, এমন স্থানটিতে (দাফন হবার জন্য) আমার নিকট কিভাবে প্রস্তাব রাখতে পার? যে স্থানটিতে আমার কবর থাকবে, আবুবকর এবং উমরের কবর থাকবে এবং ঈসা ইবনু মরিয়মের কবর থাকবে। (দেখুন, তারীখে দামেস্ক ৪৭/৫২২-২৩)।
উল্লেখ্য, অমুসলিম কাদিয়ানী সম্প্রদায় দাবী করে যে, ঈসা (আ.) বর্তমানে জীবিত নেই, বরং তাঁর মৃত্যু হয়ে গেছে। ফলে তারা আলোচ্য হাদীসগুলো অস্বীকার করে, কখনো বা উদ্ভট ব্যাখ্যা দেয়। এ সময় তারা একই বিষয়ে বর্ণিত অপরাপর সবগুলো হাদীসকে পাশ কাটিয়ে একটি হাদীসে উল্লিখিত “ফী কবরি” (فِيْ قَبْرِيْ) এর ‘ইন জেনারেল’ অর্থে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তাদের বিভ্রান্তিটা নিম্নরূপ-
হাদীসে এসেছে – রাসূল (সা.) বলেছেন, “আমি এবং ঈসা একই কবরে দাফন হব”। এতে বুঝা গেল, দু’জনের কবর এক-ই হবে। ফলে ঈসা মাসীহ মারা গেলে নবীজীর কবর খুঁড়ে তাঁকে সেটির অভ্যন্তরেই দাফন করার কথাই যেন বলা হয়েছে, যা অসম্ভব। কাজেই হাদীসের বক্তব্যটি রূপক অর্থকেই নির্দেশ করবে। যার ব্যাখ্যা এই যে, আগত ঈসা মসীহ হতে বনী ইসরাইলের সেই মরিয়ম পুত্র ‘ঈসা আলাইহিস সালাম’ উদ্দেশ্য নন, বরং রূপক অর্থে মির্যা গোলাম কাদিয়ানীই উদ্দেশ্য। যিনি ঈসার গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশস্থল এবং মুহাম্মদ (সা.) এর সমস্ত মান-মর্যাদা ও যোগ্যতার বুরুযী সত্তা। যাকে সহজ অর্থে বুরুজি মুহাম্মদ বলা হবে। (এ হচ্ছে আগত ঈসা মসীহ এর জায়গায় মির্যা গোলাম কাদিয়ানীর ব্যক্তি সত্তাকে সাব্যস্ত করতে তাদের যতসব উদ্ভট ব্যাখ্যা)।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, পবিত্র কুরআনের প্রায় ২৭টি জায়গায় পরিষ্কার ইঙ্গিত রয়েছে যে, কেয়ামতের পূর্বে যথাসময় দ্বিতীয়বার আগমনকারী ঈসা (আ.)-কে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আকাশে সশরীরে উঠিয়ে নিয়েছেন, তাঁর পুনঃ আগমন অকাট্য সত্য; তিনি শেষনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের মাক্বাম বা আশীষ লাভ করবেন। তিনি পুনঃ আগমন করে নবুওয়তের দায়িত্বে থাকবেন না, নিজ নবুওয়তি মাক্বামে বহাল থাকবেন এবং শরীয়তে মুহাম্মদীয়ার আলোকে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র ও বিচার-কার্য পরিচালনা করবেন। কেননা এ উম্মতে মুহাম্মদীয়া-ই শেষ উম্মত এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রাপ্ত নবুওয়তই মুক্ত ও স্বাধীন সর্বশেষ নবুওয়ত। আল্লাহ সবাইকে ইসলামের সঠিক বুঝ ধারণ করার তাওফিক দান করুন।
প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য



লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী