Home মির্যা কাদিয়ানীর দাবী ঈসা মসীহ’র চাইতেও নিজেকে ‘শ্রেষ্ঠ’ দাবী করা

ঈসা মসীহ’র চাইতেও নিজেকে ‘শ্রেষ্ঠ’ দাবী করা

0
ঈসা মসীহ’র চাইতেও নিজেকে ‘শ্রেষ্ঠ’ দাবী করা

মির্যা কাদিয়ানী নিজেকে হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.) চেয়েও অধিক শ্রেষ্ঠ বলে দাবী করা,

মির্যা গোলাম আহমদের বই ‘দাফেউল বালা‘ মূলত উর্দূতে রচিত, প্রথম প্রকাশ ১৯০২ ইং কাদিয়ান থেকে। ২০১০ সালের জুলাই’তে এদেশীয় কাদিয়ানী জামেয়ার প্রিন্সিপাল ইমদাদুর রহমান সিদ্দিকি কর্তৃক বইটির শেষ ৬ পৃষ্ঠা বাদ দিয়েই বাংলায় অনুবাদ সম্পন্ন করা হয়। কাদিয়ানী জামাতের প্রকাশনী কিজন্য শেষের ৬ পৃষ্ঠার অনুবাদ করার প্রয়োজন মনে করেনি তা আমাদের জানা নেই। বিজ্ঞ পাঠকবৃন্দ! মূল বইটি সংগ্রহ করে শেষের পাতাগুলো মিলিয়ে দেখবেন। তবেই আমার কথার সত্যতা পেয়ে যাবেন।

সে যাইহোক, এ পর্যায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, যিনি লাহোরে তার এক ভক্তের বাড়ীতে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে ১৯০৮ সালের ২৬ শে মে রাতে টাট্টিখানায় মারা যান, এখানে তার একখানা উদ্ভট দাবী প্রমাণসহ তুলে ধরছি। তিনি আল্লাহর বিশিষ্ট ও শরীয়তবাহক নবী ও রাসূল হযরত ঈসা (আ.) চাইতেও নিজেকে সকল মান মর্যাদায় ‘শ্রেষ্ঠ’ বলে দাবী করেন। নাউযুবিল্লাহ। তিনি দাবীটিকে প্রতিষ্ঠিত করার অসৎ উদ্দেশ্যে আরও কী ধরণের হঠকারীতামূলক পন্থা অবলম্বন করলেন সেটি জানলে যে কারোরই মাথা ঘুরে যাবে। তিনি নিজেকে মুহাম্মদ (সা.) এর একজন ‘গোলাম‘ (দাস) আখ্যা দিয়ে প্রথমে মুসলিম উম্মাহার পবিত্র আবেগের জায়গাটিতে সুড়সুড়ি দেন। যাতে ঈসা (আ.) এর চেয়েও নিজ সত্তাকে ‘শ্রেষ্ঠ’ বলে বৈধতা দেয়ার আনুকূল্য পান এবং সম্ভাব্য বাধাগুলো দূর করতে পারেন। যদিও তার এ ভেল্কিবাজি অনেক দুর্বলমনা মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে কিন্তু ইসলাম ও ইসলামী আকীদাশাস্ত্রে যাদের একটুও পড়াশোনা রয়েছে তাদের নিকট তিনি মুহূর্তের মধ্যেই ধরা পড়ে গেছেন এবং একজন মস্ত বড় মিথ্যাবাদী এবং ধোকাবাজ হিসেবে কুখ্যাত হয়ে আছেন। কারণ, আল্লাহ তায়ালার যে কোনো মনোনীত নবী ও রাসূলের শান-মানে আঘাত করে এধরণের হঠকারীমূলক কথাবার্তার দরুন যে কেউই ‘কাফের’ হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

বলে রাখা জরুরি যে, মির্যা কাদিয়ানীর উক্ত কুফুরীকে যে ব্যক্তিই ‘সঠিক’ মানবে অথবা মনগড়া ব্যাখ্যার মাধ্যমে হালাল করার চেষ্টা করবে, তার পরিণতিও একই হবে। কোনো সন্দেহ নেই।

In Bengali :

ঈসা (আ.) এর মানহানী করে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর উদ্ভট দাবীটি নিম্নরূপ-

“সুতরাং আজ খোদাতালা পাদ্রী সাহেবদের থেকে পাপের প্রতিশোধ একটি শব্দ দিয়ে নিয়ে নিচ্ছেন। কারণ খ্রিস্টান পাদ্রী বা প্রচারকেরা ঈসা ইবনে মরিয়মকে খোদা বানিয়েছে এবং আমাদের নেতা, আমাদের অভিভাবক, যিনি প্রকৃত শাফী বা ত্রানকর্তা, তাঁকে তারা গালাগালী করেছে অশ্রাব্য গালী গালাজ ভর্তি বই-পুস্তক দিয়ে এই ভূপৃষ্ঠকে অপবিত্র করে দিয়েছে। ফলত সেই মসীহ যার নাম খোদা রাখা হয়েছে, তার বিপরীতে খোদাতায়ালা এই উম্মতের মাঝে মসীহ মাওউদকে পাঠিয়েছেন, যিনি পূর্বের মসীহ’র তুলনায় সকল প্রকার মর্যাদায় শ্রেয় এবং তিনি এই দ্বিতীয় মুসীহ’র নাম গোলাম আহমদ রেখেছেন যেন এদিকে ইশারা করা যায় যে, খৃষ্টানদের মসীহ কেমন খোদা যে হযরত আহমদ (সা.) এর এক সাধারণ গোলামের সাথে মোকাবেলা করতে পারে না? সেই মসীহ কেমন মসীহ যে নৈকট্য ও শাফায়াতের মর্যাদায় হযরত আহমদ (সা.) এর গোলামের তুলনায় স্বল্প মানসম্পন্ন।”

(দাফেউল বালা, ১৪-১৫, বাংলা অনূদিত, মূললিখক মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী)।

In English :

Mirza Ghulam Ahmad Qadiani’s bizarre claim of defaming Jesus (AS) is as follows-

“So today God is taking revenge from the priests with a word. Because the Christian pastors or preachers have deified Jesus Ibn Maryam and abused our leader, our guardian, the true Shafi or Savior, and defiled this earth with books full of inaudible abuse. As a result, in contrast to the messiah named by God, God sent among this Ummah the messiah Mawud, who is superior in all respects to the previous messiah, and he named this second messiah Ghulam Ahmad. As if to point out that what kind of God is the Messiah of the Christians who cannot deal with a common slave of Hazrat Ahmad (PBUH)? What kind of messiah is he who is inferior to the slave of Hazrat Ahmad (PBUH) in terms of proximity and intercession.”

(Dafeul Bala, 14-15, Bengali, original writer Mirza Golam Ahmad Qadiyani).

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি-Certified Scancopy

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here