Home মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যাচার আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর তদন্ত রিপোর্ট পালটে দেয়া

আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর তদন্ত রিপোর্ট পালটে দেয়া

0
আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর তদন্ত রিপোর্ট পালটে দেয়া

আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর তদন্ত রিপোর্ট পালটে দেয়ার ঐতিহাসিক মির্যায়ী নামা

কাশ্মীরের খান ইয়ার মহল্লায় সমাহিত ইউজ আসেফ নামীয় এক ব্যক্তির “কবর” সম্পর্কে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে সেখানে পাঠানো হয়েছিল আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীকে। যিনি মির্যা কাদিয়ানীর একজন খাস শিষ্য ও এডুকেটেড পার্সোন এবং একজন মওলভী ও উকিল ছিলেন। কাশ্মীর শ্রীনগর হাইকোর্টে ‘ওকালতি’ তার পেশা ছিল।

তিনি দীর্ঘ তদন্ত শেষে উক্ত কবর সম্পর্কে পর্যাপ্ত রিপোর্ট জমা দেন। মির্যা কাদিয়ানী তার উক্ত রিপোর্ট বিকৃত করেন এবং নিজ থেকে মনগড়া বেশকিছু কথা যুক্ত করে “আল হুদা” নামক একটি বইও রচনা করে ফেলেন এবং দুনিয়াব্যাপী তা প্রচার করতে শুরু করেন।

তিনি আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর তদন্ত রিপোর্টের আলোকে প্রচার করলেন,

ইউজে আসেফ একজন পর্যটক নবী এবং ইসরাইলী ছিলেন। কাশ্মীরের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক সুত্র দ্বারাও সাব্যস্ত যে, এই কবর একজন ইসরাইলী নবীর কবর।
স্থানীয়রাও একথার সাক্ষী, বরং সেখানকার স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ এ কথার সাক্ষী দিচ্ছেন।

আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর প্রতিবাদঃ

আব্দুল্লাহ উকিল কাশ্মীরী সাহেব মির্যা কাদিয়ানীর জালিয়াতির প্রতিবাদ করে ‘শু’লাতুন নার ফী মাক্ববেরায়ে খানইয়ার’ নাম দিয়ে একটি বইও রচনা করেন। বইটিতে তিনি জোরগলায় প্রতিবাদ করেন এভাবে যে,

پس خان یار کے مقبرے کے متعلق ان باتوں میں سے کوئی بات میرے خط میں موجود نہیں۔ جو خط میں نے حضرت مرزا صاحب کو لکھا اور جس کو انہوں نے شائع کر دیا اور نہ کوئی بات مطابق واقعہ ہے بلکہ یہ تمام باتیں حضرت مرزا صاحب نے اپنی خیال سے ایجاد کر کے بڑے زور کے ساتھ دنیا میں شائع کر دی

অর্থ- “অতএব খান ইয়ার মহল্লার সমাধি সম্পর্কে এ সবের কিছুই আমার চিঠিতে নেই। হযরত মির্যা সাহেবকে আমি যে চিঠি লিখেছিলাম এবং যা তিনি প্রকাশ করেছেন তার কোনোটিই বাস্তব সম্মত নয়, বরং এর সবই হযরত মির্যা সাহেবের মনগড়া সৃষ্টি, যা সারা বিশ্বে প্রবল শক্তির সাথে তিনি প্রচার করেছেন।” (শু’লাতুন নার ফী মাক্ববেরায়ে খানইয়ার, আব্দুল্লাহ উকিল কাশ্মীরী)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি

উল্লেখ্য, উক্ত ঘটনার পরপরেই মির্যা কাদিয়ানীর উপর আব্দুল্লাহ কাশ্মীরী আর আস্থা রাখতে পারলেন না। তিনি বেরিয়ে গেলেন মির্যায়ী বাইয়েত থেকে। যোগ দিলেন অন্য আরেক মসীহ দাবীদার বাহাউল্লাহ ইরানীর (১৮১৭-১৮৯২ইং) ‘বাহায়ী জামাতে’। কিন্তু আফসোস, কাদিয়ানী নেতারা আব্দুল্লাহ কাশ্মীরীর মির্যার বাইয়েত ভঙ্গ করার অন্তর্নিহিত কারণ প্রকাশ করে না।

বিস্তারিত পড়ুন ক্লিক

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here