Home সুন্নাহ ও বিদয়াত আযানের আগে সালাত ও সালাম পাঠ করার বিধান কী?

আযানের আগে সালাত ও সালাম পাঠ করার বিধান কী?

আযানের আগে সালাত ও সালাম পাঠ করার বিধান কী?
  • আযানের আগে পরে সালাত ও সালাম :

প্রশ্নকর্তা : আযানের আগে সালাত ও সালাম পাঠ করার বিধান কী?
উত্তরদাতা : ইমাম ইবনে হাজার আল-হায়সামী (রহ.)-এর কিতাব {الفتاوى الكبرى} ‘আল ফাতাওয়াল কোবরা’ এর ১ম খন্ডের ১৩১ নং পৃষ্ঠায় লিখা আছে ان الصلاة و السلام على نبى قبل الآذان ليست السنة ‘আন্নাস সালাতা ওয়াস সালামা আলান নাবিয়্যি কবলাল আযান লাইছাত সুন্নাতুন।’ অর্থাৎ আযানের পূর্বে নবী করীম (সা.)-এর প্রতি সালাত ওয়া সালাম পাঠকরা সুন্নাত নয়। (ফেইসবুক থেকে পড়ুন)
প্রশ্নকর্তা : তাহলে দেশের কোথাও কোথাও এটি কোন্ দলিলে প্রচলিত?
উত্তরদাতা : আল্লাহই ভাল জানেন। তবে যতটুকু জানা যায় তা হল, আযানের পরে উচ্চৈঃস্বরে (মাইকে) সালাত ওয়া সালাম পাঠের প্রচলন হয়েছিল ৭৯১ হিজরীতে সুলতান নাসির সালাউদ্দিন ইবনে আইয়ুবের শাসনামলে এবং তারই নির্দেশে। এর প্রমাণ ইমাম আবুল আব্বাস ইবনে হাজার আল হাইছামী রচিত ‘আল ফাতাওয়াল কুবরা‘ এর আযান অধ্যায়ের ১৯১ নং পৃষ্ঠায় রয়েছে (নিচে স্ক্রিনশট দ্রষ্টব্য)। এই তথ্য ইমাম সাখাবী (রহ.) থেকে তাঁরই রচিত {القول البديع فى الصلاة على الحبيب الشفيع} ‘আল ক্বওলুল বাদী ফিস-সালাতি আলাল হাবীবিশ শাফী’ কিতাবেও রয়েছে। কিন্তু ইমাম জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতী (রহ.) থেকে এই তারিখ ৭৮১ হিজরী উল্লেখ রয়েছে। (দেখুন ইমাম সুয়ূতী রচিত {حسن المحاضرة فى تاريخ مصر و القاهرة} হুসনুল মুহাযারাহ ফী তারীখে মিশর ওয়াল কাহেরাহ)। সুতরাং বুঝা গেল, এটি সুন্নত নয়। আরো বুঝা গেল, এটি অন্ততপক্ষে সাহাবায়ে কেরামের যুগেরও প্রায় ৬৭১ বছর পরে ফেতনা ফাসাদের যুগে উদ্ভাবন হয়। তাই জ্ঞানীদের উচিৎ হবে, বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে সাধারণ মানুষকে আন্তরিকতার মাধ্যমে যথাসাধ্য বুঝিয়ে আদিম ও সহজ সরল পন্থায় ফিরে আনতে চেষ্টা করা। প্রয়োজনে দুই পক্ষের বিজ্ঞ আলেম উলামাগণ দ্বারা উত্তম বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংশয় নিরসনে উদ্যোগ নেয়া। তবে কিন্তু যেখানে বুঝাতে গেলে ঝগড়া বাধার সম্ভাবনা থাকবে সেখানে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ছবর আর দোয়ার মাধ্যমে নিরব থাকাই উত্তম। কেননা পবিত্র কুরআন বলছে, {الفتنة اشد من القتل} আল ফিতনাতু আশাদ্দু মিনাল ক্বাতলি। অর্থাৎ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হত্যা থেকে জঘন্য।

বাবুল আযান, পৃষ্ঠা ১৯১, ইমাম ইবনে হাজার আল হাইছামী
  • লিখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
Previous article নবীজী (সা:)-কে হাজির নাজির বিশ্বাস করা যাবে কিনা?
Next article আকাশে মৃতদের সাথে জীবিত ব্যক্তিও থাকতে পারা
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটি সম্পূর্ণ দ্বীনি ও অলাভজনক একটি ওয়েবসাইট। প্রতি বছর এটির ডোমেইন ও হোস্টিং ফি হিসেবে আমাকে এর ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। যদি উক্ত ব্যয় বহন করতে অপারগ হই তাহলে এই সাইটটি নিশ্চিত বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু আপনাদের সবার নিকট আবেদন থাকবে যে, আপনারা সাইটটির উক্ত ব্যয় বহনে এতে বিজ্ঞাপন দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবেন এবং নিজেরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। বিনীত এডমিন! বিকাশ : ০১৬২৯-৯৪১৭৭৩ (পার্সোনাল)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here