- আখেরি যামানার আলেমরা ‘উলামাউহুম শাররুম’ হওয়া প্রসঙ্গে
কাদিয়ানীরা কথায় কথায় বলে আলেমরা নিকৃষ্ট! হাদীস শরীফে আখেরি যামানার আলেমদের “নিকৃষ্ট” বলা হয়েছে! কিন্তু তারা উক্ত হাদীসের কথাগুলোর প্রসঙ্গ কখনো খতিয়ে দেখেনা যে, হাদীসের “উলামাউহুম শাররুম—জাতীয় কথাগুলো প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের আগের না পরবর্তী যুগের সাথে সম্পর্কিত? চিন্তাশীলদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে। মনে করুন, ইমাম মাহদী এসে আবার চলেও গেছেন অথচ নিকৃষ্ট জীব খ্যাত দুষ্ট মৌলভীদের দৌরাত্ম পর্যায়ক্রমে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে, বন্ধ হচ্ছেনা; এমতাবস্থায় খুব সহজেই জনমনে প্রশ্ন দেখা দেবে যে, তাহলে ইমাম মাহদীর আগমনে ফায়দা হল কী? আকাশে সূর্য উদিত হলে পৃথিবী কোনোভাবেই কি অন্ধকারে ঢাকা পড়তে পারে? কখনো না। সুতরাং মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর ইমাম মাহদী দাবীটা একটি নির্জলা মিথ্যা বৈ নয়।
এখানে আরেকটি কথা উল্লেখ করা জরুরি, যাদের চোখ আছে তারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন এবং যাদের অন্তর আছে তারা অবশ্যই উপলব্ধি করবেন যে, উল্লিখিত ৪টি যুগলক্ষণই কিন্তু প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বের সময়কে ইংগিত দিচ্ছে। যথা, ইসলাম শুধু নামমাত্র থাকবে, কুরআনের শুুধুমাত্র পাণ্ডুলিপি অক্ষত থাকবে, মসজিদগুলো হিদায়াতশূন্য হয়ে যাবে আর তখন তোমাদের আলেমগণ আকাশের নিচে নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হবে!
সুতরাং বর্তমানে যেহেতু বহু আলেম দুনিয়া লোভী, খেয়ানতকারী ও হাদীসের ভাষায় ‘উলামাউহুম শাররূম’ এর শামিল, সেহেতু প্রমাণিত হয়ে গেল যে, প্রকৃত ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহদী ওয়াল ফাতেমি ওয়াল হাসানী ওয়াল কুরাইশী)’র আগমন আজও বাকি।
শেষকথা, সব বাতিল মতবাদের অনুসারীরাই নিজেদের ইসলাম পরিপন্থী মতবাদ টিকিয়ে রাখতে সর্বাগ্রে উলামায়ে কেরামের উপর চড়াও হয়। নির্বিচারে সব আলেমকে ঘৃণা আর সমালোচনার নিশানা বানায়। মূলত আলেমদের কাছ থেকে তাদের বিপথগামী অনুসারীদের দূরে রাখার অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা নির্বিচারে হাদীসগুলো প্রসঙ্গ ছাড়াই উদ্ধৃত করে, মতলব ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়! আল্লাহ তাদের সহীহ বুঝ দিন। আমীন।
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক