কাদিয়ানীদের তথাকথিত খলীফাদের শিশু, কিশোর, তরুণ ও মধ্যবয়সী সহ নানা সময়ের বৈচিত্র্যময় ফটো।
মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ। মাহমুদ আহমদ মোট ৭টি বিবাহ করেছিলেন। তারা হলেন, মাহমুদা বেগম, আমতুল হাই, সৈয়দা মরিয়ম নিসা বেগম, সারা বেগম, আজিজা বেগম, মরিয়ম সিদ্দিকা, বুশরা বেগম। এই স্ত্রীদের থেকে তাঁর মোট আঠাশজন সন্তান ছিল, যাদের মধ্যে পাঁচজন শৈশবেই মারা যান। ১৯১৪ সালে হেকিম নূর উদ্দিনের মেয়ে আমতুল হাইকে বিয়ে করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সাংসারিক বিবাদে জড়িয়ে তিনি তাকে বিষ পানে হত্যা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার পুত্র মির্যা নাসের আহমেদ এর মৃত্যুর পর তার আরেক পুত্র মির্যা রফি আহমেদ তাদের জামাতের খলীফা হবার দাবী করেন। পরে তিনি খলীফা না হতে পেরে ‘গ্রীন আহমদীয়ত’ নামে নতুন জামাত প্রতিষ্ঠা করেন। মির্যা মাসরূর আহমেদ (৫ম খলীফা অফ কাদিয়ানী)। তার মাতার নাম সাহেবজাদী নাসেরা বেগম, যিনি কাদিয়ানী তথা আহমদীয়া সম্প্রদায়ের সো-কল্ড দ্বিতীয় খলিফা মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদের পুত্র মির্যা মনসুর আহমদের স্ত্রী। সে হিসেবে মির্যা মাসরূর আহমেদ হচ্ছেন, মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বংশধর এবং তারই পৌত্র। মির্যা মাসরূর আহমেদ মির্যা মাসরূর আহমেদের সাথে বাংলাদেশি কতিপয় কাদিয়ানী মিশনারীর লন্ডনে সাক্ষাৎকার।মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ এর দ্বিতীয় সংসার মরিয়ম বেগমের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী মির্যা তাহের আহমদ (চতুর্থ খলীফা অফ কাদিয়ানী)। তার কবর লন্ডনের টিলফোর্ড শহরে অবস্থিত।মির্যা বশির উদ্দীন মাহমুদ এর প্রথম সংসার মাহমুদা বেগমের গর্ভে জন্মগ্রহণকারী মির্যা নাসের আহমেদ, (তৃতীয় খলীফা অফ কাদিয়ানী), তার সময়ে এবং তারই উপস্থিতিতে পাক ভুট্টো সরকারের আমলে ১৯৭৪ সালের ৭ ই অক্টোবর কাদিয়ানীদের উভয় অংশের ধর্মবিশ্বাসের উপর প্রায় ১৩ দিন ব্যাপী দ্বিপাক্ষিক বাহাস শেষে পাক আইন সভায় সর্বদলীয় ও সম্মিলিত সিদ্ধান্তক্রমে ‘অমুসলিম’ সংখ্যালঘু বলিয়া শুনানি করে। তার পর থেকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের জন্য মুসলিম পরিচয় দেয়া, ইসলামি পরিভাষা সমূহ ব্যবহার করা এবং হজ্জের জন্য ভিসার আবেদন করা ইত্যাদির উপর সাংবিধানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ রায়ের পর থেকে তারা পাকিস্তান থেকে তাদের সদরদপ্তর ইংল্যান্ডে গুটিয়ে নেয়।মির্যা নাসের আহমেদ এর পাশে কাদিয়ানীদের প্রধান মুনাজির জালাল উদ্দীন শামস দাঁড়িয়ে আছেন।মুলহিদ আব্দুল লতিফ, আফগান সরকারের আমীর হাবীবুল্লাহ খানের নির্দেশে ১৯০৩ সালে তার বিরুদ্ধে মির্যা কাদিয়ানীর সাথে তার যোগসংযোগ প্রমাণিত হলে এবং ইসলাম ত্যাগ করে কাদিয়ানী হওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রচলিত ব্লাসফেমি আইন অনুসারে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।যিকরে হাবীব (প্রিয়বন্ধুর আলোচনা) বইয়ের লিখক, মোহাম্মদ সাদিক। মির্যা কাদিয়ানীর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে প্রসিদ্ধ। ১৯১৩ সালে বিবাড়ীয়া সদর জেলার কান্দিপাড়া গ্রামে তৎকালীন একই গ্রামের স্থানীয় পীর আব্দুল ওয়াহিদকে আমীর বানিয়ে প্রথম বঙ্গীয় আহমদীয়া জামাত আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে। উক্ত অনুষ্ঠানে ভারতের কাদিয়ান থেকে আগত প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ সাদিক। তিনিই উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বের ভুমিকা রাখেন।