Home মসীহ ঈসা কাদিয়ানিরা কি এ পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়ার সাহস রাখে?

কাদিয়ানিরা কি এ পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়ার সাহস রাখে?

0
কাদিয়ানিরা কি এ পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়ার সাহস রাখে?

কাদিয়ানীদের নিকট পাঁচটি প্রশ্ন :

প্রশ্ন ১. ঈসা আলাইহিসসলামের ‘রাফা’ কোন ফেরেশতার মাধ্যমে হয়েছিল? (ক) আজরাইল? (খ) জিবরাইল?

নোট : মুসলমানদের বিশ্বাস, ঈসা (আ:)-এর ‘রাফা’ হযরত জিবরাইল (আ:)-এর মাধ্যমেই হয়েছিল। পবিত্র কুরআনের ০৩:৫৫ আয়াতের পটভূমিও আমাদের ডেকে ডেকে বলছে, ঈসা (আ:)-এর উক্ত ‘রাফা’ সেই সময় হয়েছিল যখন ইহুদী সন্ত্রাসীরা হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে ঈসার বাড়ীর আশেপাশে সমবেত হয়েছিল। এ সম্পর্কে হাদীসটি অনুবাদসহ এই, রাসূল (সা:) ইরশাদ করেছেন, لما اجتمع اليهود على عيسى عليه السلام ليقتلوه و أتاه جبرائيل … فاَوْحَى اللهُ الى جبرائيلَ اَنِ ارْفَعْ اِلَيَ عَبْدِيْ অর্থাৎ যখন ইহুদীরা ঈসা (আ:)-কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল তখন জিবরাইল (আ:) তাঁর নিকট আগমন করেন….. আল্লাহতায়ালা তাঁকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, তুমি আমার বান্দা [ঈসা]-কে আমার নিকট উঠিয়ে নিয়ে এসো। (রেফারেন্স, তারীখে ইবনে আসাকীর ৪৭/৪৭২; তারীখে বাগদাদ ১১/৩৭৯)।

প্রশ্ন ২. ঈসা আলাইহিসসালামের ‘রাফা‘ কখন হয়েছিল? (ক) ক্রুশীয় ষড়যন্ত্রের ৮৭ বছর পর (খ) ক্রুশীয় ষড়যন্ত্র চলা মুহূর্তে।

নোট : মুসলমানদের বিশ্বাস, ঈসা (আ:)-এর ‘রাফা’ তথা উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা ক্রুশীয় ঘটনা চলা মুহূর্তেই জেরুজালেমেই ঘটেছিল। কেননা বিশিষ্ট যুগ ইমাম আল্লামা জালালুদ্দিন আস-সুয়ূতী (রহ:) সংকলিত ‘দুররে মানছূর’ কিতাবে সুস্পষ্টভাবে লিখা আছে, ورفع وهو ابن أربع وثلاثين سنة من ميلاده অর্থাৎ ঈসাকে উঠিয়ে নেয়া হয় যখন তিনি ৩৪ বছর বয়সী যুবক।

প্রশ্ন ৩. ক্রুশীয় ষড়যন্ত্র হয়েছিল ঈসা আলাইহিসসালামের…..! (ক) পৌঢ়কালে (খ) যৌবনকালে।

নোট : মুসলমানদের বিশ্বাস, ঈসা (আ:)-এর বিরুদ্ধে ঈহুদী সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যার সেই ষড়যন্ত্র তাঁর যৌবনকালেই জেরুজালেমে ঘটেছিল, প্রৌঢ়কালে নয়। কেননা, প্রৌঢ়কাল বলতে ৩৪ হতে ৫১ বছরের মাঝামাঝি বয়সী ব্যক্তিকে বুঝায় (লিসানুল আরব) । কিন্তু ঈসা (আ:) সেই সময় উক্ত বয়সে পৌঁছেননি।

প্রশ্ন ৪. ঈসা আলাইহিসসালামের বিরুদ্ধে ‘হত্যা’-র ষড়যন্ত্র এবং তাঁর ‘রাফা’ উভয়ই হয়েছিল…..! (ক) হিন্দুস্তানে। (খ) ফিলিস্তিনে।

নোট : মুসলমানদের বিশ্বাস, ঈসা (আ:)-এর বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং রাফা তথা উঠিয়ে নেয়ার ঘটনা উভয়ই ঘটেছিল ফিলিস্তিনে। এটি একটি মুতাওয়াতির বিষয় যা নতুন করে প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই ।

প্রশ্ন ৫. আরবী মা/ما (না-বােধক) বর্ণযুক্ত বাক্যের পর খ্রিস্টানদের রদ করতে যেখানে-ই বাল’ (بل) শব্দটি ব্যবহার হয়েছে সেখানে-ই দেখা যায়…! (ক) ‘বাল’ (بل) শব্দের পূর্বের বাক্যের কর্ম আর পরের বাক্যের কর্ম একইকালে সংঘটিত হয়নি। (খ) ‘বাল’ (بل) শব্দের পূর্বের বাক্যের কর্ম আর পরের বাক্যের কর্ম একইকালে সংঘটিত হয়েছে।

নোট : জ্বী হ্যাঁ, এটি সর্বজন স্বীকৃত একটি আরবী ব্যাকরণগত নিয়ম যে, ‘বাল’ (بل) শব্দের পূর্বের বাক্যের কর্ম আর পরের বাক্যের কর্ম একইকালে সংঘটিত হয়ে থাকবে। কাজেই এই কথা বিশ্বাসকরা ঠিক হবেনা যে, ঈসা (আ:)-কে হত্যার ষড়যন্ত্র ফিলিস্তিনে (বায়তুল মুকাদ্দাস) হলেও তাঁর রাফা’র (কাদিয়ানীদের মতে আয়াতটির ওই রাফা—র অর্থ ঈসার মৃত্যুর পর তাঁর রূহ উঠিয়ে নেয়া) ঘটনা একইকালে ঘটেনি বরং আরো ৮৭ বছর পর কাশ্মীরের শ্রীনগরে ঘটেছিল। (নাউযুবিল্লাহ)।

আরো পড়ুন : ঈসা (আ:) কি কাশ্মীরে এসেছিলেন?

  • কাদিয়ানীদের কাছ থেকে এই ৫টি প্রশ্নের উত্তর দলিল-প্রমাণ সহ পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here