Home মির্যা কাদিয়ানী আনুগত্যরূপে মির্যার নবুওয়ত লাভের দাবী ও চারটি প্রশ্ন

আনুগত্যরূপে মির্যার নবুওয়ত লাভের দাবী ও চারটি প্রশ্ন

0
আনুগত্যরূপে মির্যার নবুওয়ত লাভের দাবী ও চারটি প্রশ্ন

আমি কেন “কাদিয়ানী জামাত” ত্যাগ করলাম?

(লিখাটি একজন সাবেক কাদিয়ানীর (যিনি এক সময় ঢাকা মিরপুর ৬ নং সেক্টরে কাদিয়ানী জামাতের প্রেসিডেন্ট পদাধিকারীও ছিলেন), নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এই নও মুসলিম এ সমস্ত প্রশ্নের কোনো জবাব না পেয়ে পরবর্তিতে কাদিয়ানী ত্যাগ করেন)।

কাদিয়ানিদের একটি পুস্তক ‘এক গলতি কা ইযালা‘। পুস্তকটিতে (বাংলা এডিশন, পৃষ্ঠা ৫, অনুবাদ মৌলভী মোহাম্মদ) মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব লিখেছেন-

“নবুওয়তের সকল পথ রুদ্ধ করা হয়েছে, কিন্তু একটি পথ সীরাতে সিদ্দিকীর (সিদ্দিকীয়তের রাস্তা) খোলা আছে, যাকে ফানাফির রাসূল বলে। সুতরাং এ পথ দিয়ে যে ব্যক্তি খোদার নিকটবর্তী হয়, তাকে প্রতিচ্ছায়ারূপে মুহাম্মদী নবুওতের বসনেই ভূষিত করা হয়”। স্কিনশট দ্রষ্টব্য।

মির্যার উর্দু বইয়ের বাংলা অনূদিত ‘একটি ভুল সংশোধন‘ পৃষ্ঠা ৫
  • এবার নিচের প্রশ্নগুলো খেয়াল করুন-

(১) ‘একটি ভুল সংশোধন’ বইয়ের কথাটি দ্বারা তিনি যেন বুঝাতে চেয়েছেন যে, যখন নবুওয়তের সকল পথ রুদ্ধ তখন কীভাবে বুরূজী নবীও হওয়া যায়? এখন প্রশ্ন হলো তাহলে বর্তমানকালে তার অনুসারীরা কেন সূরা নিসার ৬৯ নম্বর আয়াত উল্লেখ করেন (নবী সিদ্দিক শহীদ সালেহ)? মির্যা সাহেব কি সূরা নিসা’র এই আয়াত তার নবুওয়ত বিষয়ক এ বইটিতে উল্লেখ করেছেন? যদি না করে থাকেন তাহলে কেন এই আয়াত এখন তার অনুসারীরা উল্লেখ করেন? আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সূরা নিসার ৬৯ নম্বর আয়াতের ব্যাখ্যায় কোথাও কি বলে গেছেন আরো হাজার হাজার নবী আসবেন?

(২) দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, হযরত আবু বকর (রাঃ)-কে আমরা জানি তিনি সিদ্দিক ছিলেন। এটা তার টাইটেল। যদি প্রকৃতপক্ষে কেউ ফানাফির রাসূল হয় তাহলে তো তিনিই হওয়ার কথা। যিনি তাঁর জীবনের সব কিছু ত্যাগ করলেন তিনি কি সিদ্দিকীয়তের রাস্তা দিয়ে খোদার নিকটবর্তী হননি? হয়ে থাকলে তিনি নবুওয়তের বসনে ভূষিত হননি কেন?

(৩) মির্যা সাহেব বলেছেন উম্মতে মুহাম্মদীয়া সৌভাগ্যবান হতে পারেন না, যদি নবুওয়ত জারি না থাকে। কারণ মূসা নবীর শরীয়তের অধীনে অনেক নবী এসেছেন তাহলে আমাদের নবীর অধীনে এ নেয়ামত বঞ্চিত থাকবে কেন (সূরা ফাতেহার ইহ্দিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম, সিরাতাল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম -এর ব্যাখ্যায়)? যদি নেয়ামতের শর্ত নিয়ে আসা হয় তাহলে এখন প্রশ্ন হল, নবীজির পর দীর্ঘ আরো ১৪০০ বছর আমাদের অপেক্ষা করতে হলো কেন?

নেয়ামতের হিসাব করলে তো একের পর এক নবী আসা উচিত। আমরা কেন ১৪০০ বছর ধরে এই নেয়ামত থেকে বঞ্চিত থাকলাম?

(৪) মির্যা কাদিয়ানী সাহেব ১৮৭৯ – ‘৮০ সালের দিকে যদি নবী হয়ে থাকেন তাহলে ১৮৮১ – ‘৮২ তে আবার মুজাদ্দিদ হন কীভাবে? যাদের ভেবে দেখার প্রয়োজন তারা ভেবে দেখবেন!

লিখক, এক্স কাদিয়ানী টেক্সাস, ইউ.এস থেকে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here