Home খাতামুন নাবীঈন কাদিয়ানীদের বইতে রাসূল (সা:) ‘শেষনবী’ হওয়ার ব্যাখ্যা

কাদিয়ানীদের বইতে রাসূল (সা:) ‘শেষনবী’ হওয়ার ব্যাখ্যা

0
কাদিয়ানীদের বইতে রাসূল (সা:) ‘শেষনবী’ হওয়ার ব্যাখ্যা
  • কাদিয়ানীদের বিভিন্ন পত্র-পুস্তকে নবীজীকে ‘শেষনবী‘ মান্য করার দাবীতে নিকৃষ্টতম অপব্যাখ্যার স্বরূপ স্ক্রিনশটসহ দেখানো হল:

কাদিয়ানীদের ধোকা আর প্রতারণা বুঝা বড় কঠিন! তারা ইদানিংকাল জোর গলায় প্রচার করছে যে, তারা মুহাম্মদ (সা:)-কে শেষনবী মানে। অথচ তাদের লিফলেট আর পত্র পুস্তক বলছে তারা মির্যা কাদিয়ানীকেও নবী মানে এমনকি তাকে শেষনবী বলেই বিশ্বাস করে! তারা যে মির্যা কাদিয়ানীকেও “নবী” মানে সেটি তাদের মির্যা কাদিয়ানীরই অসংখ্য বই থেকে চাইলে প্রমাণ করে দেব। অপ্রিয় হলেও সত্য, মির্যা কাদিয়ানী নিজেকে একজন পূর্ণ শরীয়তবাহক নবী ও রাসূল বলেও দাবী করে লিখে গেছেন। আমি নিজ চোখে এসব বহুবার পড়েছি, এখনো ডকুমেন্ট আমার হাতেই রয়েছে। এখানে শুধুমাত্র “এক গলতি কা ইযালা” (মূল লিখক, মির্যা কাদিয়ানী) বইয়ের স্ক্রিনশট দিলাম। দেখে নেবেন।

  • তারপর আসি লিফলেট সম্পর্কে

আমি লাল দাগ টেনে দেখিয়েছি যে, তারা হযরত মুহাম্মদ (সা:)-কে শুধুমাত্র ‘শরীয়তবাহক‘ (শর্তযুক্ত) হিসেবেই শেষনবী মানে কিন্তু শর্তহীনভাবে ও বিনা ব্যতিক্রমে “শেষনবী” মানেনা!

কাদিয়ানীদের একটি লিফলেট

এই লিফলেট তারই সুস্পষ্ট প্রমাণ। তারা এইরূপ শর্তযুক্ত (শরীয়তবাহক) করার মাধ্যমে একদম সূক্ষ্মভাবে যেই মতবাদটি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে সেটি হল, মুহাম্মদ (সা:)-এর পরে নবুওয়ত বন্ধ হয়নি, বরং চালু ছিল। তাই মির্যা কাদিয়ানীও একজন নবী, তবে সে শরীয়তবাহক নবী নন; স্রেফ একজন শরীয়ত বিহীন ও প্রতিবিম্বস্বরূপ নবী! পাঠক! বুঝলেন তো তারা কিভাবে প্যাঁচ লাগিয়ে মির্যার নবুওয়ত দাবীকে হালাল করার চেষ্টা করে!!!

সে যাইহোক, আমার বক্তব্য হল, ওরা যাইচ্ছেতাই বিশ্বাস করুক, তাতে আমার সমস্যা নেই। কিন্তু তারা ইসলাম পরিপন্থী জঘন্য কুফুরী বিশ্বাস পোষণ করা সত্ত্বেও সেটিকে ইসলামী বিশ্বাস বলে কেন চালিয়ে দিতে চাইবে? কিজন্য তাদের এইরূপ কুফুরীকে প্রকৃত ইসলাম বলিয়া সাধারণ মানুষকে সেদিকে ধাবিত করে সুকৌশলে ঈমান হরণ করতে চাইবে? আমি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এইরূপ একটি ধোকা আর প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে রাষ্ট্রের নিকট জোর দাবী জানাব না? বিজ্ঞ পাঠকের সুষ্ঠু বিবেক কী বলে? তাই আমার বন্ধুরা! ওদের ধোকা আর চতুরতা ধরতে না পারলে আপনাকে যে কোনো সময় প্রতারিত হতে হবে, তাতে সন্দেহ নেই! অতএব খুব সাবধান!

যেসব বর্ণনাকে আশ্রয় করে ‘খতমে নবুওয়ত’–কে অস্বীকার করা হয় সেগুলোর জবাব

  • লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক
Previous article সূরা জুম’আ-তে মুহাম্মদ (সা:)-এর পুনঃজন্ম হওয়ার কোনো ইংগিত আছে কি?
Next article মির্যার স্ববিরোধীতা-২
প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটি সম্পূর্ণ দ্বীনি ও অলাভজনক একটি ওয়েবসাইট। প্রতি বছর এটির ডোমেইন ও হোস্টিং ফি হিসেবে আমাকে এর ব্যয় বহন করতে হচ্ছে। যদি উক্ত ব্যয় বহন করতে অপারগ হই তাহলে এই সাইটটি নিশ্চিত বন্ধ হয়ে যাবে। সেহেতু আপনাদের সবার নিকট আবেদন থাকবে যে, আপনারা সাইটটির উক্ত ব্যয় বহনে এতে বিজ্ঞাপন দিতে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবেন এবং নিজেরাও সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন। বিনীত এডমিন! বিকাশ : ০১৬২৯-৯৪১৭৭৩ (পার্সোনাল)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here