ছন্দে ছন্দে মির্যা কাদিয়ানীর চরিত্র
লেখকঃ কবি সবুজ ইসমাইল
জাহান্নামে দগ্ধ হচ্ছে শয়তানের এক ভাই; মৃত্যুকালে আপনা বিষ্ঠা মেখেছিলো যে গায়।
শয়তানিতে সারাটি জীবন করিয়া দিছে পার; খোদা দ্রোহী এই ভণ্ডের জায়গা কোথায় হবে আর?
নারী-লোভী তার বৃদ্ধকালে, এক যুবতীর লাগি; ঘোষণা দিলো, এই মেয়ে যেনো হয় মোর অনুরাগী।
ইহার সাথে শাদী হয়েছে মোর, দূর আকাশের পারে; দাও বিয়ে দাও আমার সাথে সঁপিয়োনা আর কারে!
আমি ব্যতিরেক কেউ হবেনা এই মেয়েটির স্বামী; খোদার ফয়সালা ইহার চেয়ে আর কী আছে দামী?
মেয়েটির বাপে বড় উত্তাপে কহিলো মির্জা শোন; তোরে চিনি আমি, বড্ড পাপী; নিজের পাপটা গুন।
কাল দিবো শাদী, পাত্র দেখিয়াছি, তুই যা পারিস কর; তোর অভিশাপে হবেনা কিছুই, বরং তা সাপে বর।
আমার আল্লাহ আমার সহায়, শয়তানে নাহি ডরি; তুই হেথা আসি যত সর্বনাশী বলি যা জীবন ভরই।
কী চেয়েছিল কী হয়ে গেলো—এই ভাবিয়া সার; কত ছল করি, মেয়েটিরে ধরি, করবো বিয়ে আর!
বিয়েটা হলো অন্যের সাথে, মোর মুখে মেখে কালি; স্বপনে স্বপনে বিভোর ছিলাম, মেলেছিনু কত ডালি!
ধরা খেয়ে বেশ, সব হল শেষ, নতুন ফন্দি আঁটে; যেই করে হোক তাহারে ভোগ করিব এই বাটে।
এইবার আরও জোর উদ্যমে নামিয়া পড়িল বেশ; মেয়েটিরে চাই, চাই পেতে চাই, দেখিয়া লইবো শেষ।
ঢেঁড়া পিটিয়া কহিয়া দিলো, শোনো হে দেশবাসী; এই মেয়েটা বিধবা হবে, বউ হবে তখন আসি।
এই নহে নহে মোর কথা, নহে, এই যে খোদার বাণী; অচিরেই আমি করব শাদী হবে সে মোর রানী।
লোকে বলিলো, আরে বেচারা! আর কত কবে মিছে; জীবনটাই তার কেটে গেল তার মিথ্যা এর পিছে পিছে।
খোদাতালা কি অবিচার করেন, মিথ্যুকদের লাগি; পর ঘরনীরে তাহার নীড়ে আনিয়া দিবে সে ভাগি?
দেখিতে দেখিতে দিব্যি কত বছর যাইতেছে কেটে; মেয়েটি তখনও স্বামী সংসারে বিচরে সুখে-হেটে!
লোকে তখনি বলিতে লাগিলো, ওরে ও মিথ্যাবাদী; ছল করে তুই কত কথা ক’লি, নাহি হলো তবু শাদী।
না মরে গেলো মেয়েটির স্বামী, না ফলে তোর কথা; পাগলের প্রলাপ পাগলে বলে, সর্বত্রই অযথা।
কবিতায় ‘মেয়ে’টির চরিত্র হল, মির্যার স্বপ্নের রানী মুহাম্মদী বেগম