এক অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব উস্তাদে মুহতারাম মুফতিয়ে আজম আল্লামা আব্দুস সালাম (চাটগামী) হাফিজাহুল্লাহ। তিনি এমন এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যে, নিজের জমি বিক্রি করে দ্বীনি বই ছাপিয়ে প্রিয়জনদের হাদিয়া দেয়ার নজির স্থাপন করেছেন।
দারুলউলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা ছাড়াও তাঁর সংক্ষিপ্ত পরিচয় হল:-
▪️ তিনি বর্তমান বাংলাদেশের মুফতীয়ে আ’জম।
▪️তিনি জগদ্বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইউসুফ বানূরী (রহ.) এবং মুফতী ওয়ালী হাসান টুংকী (রহ.) এর হাতেগড়া শিষ্য।
▪️ ইফতা পড়াকালীন দুই বৎসরে প্রায় ৪০ হাজার পৃষ্ঠারও অধিক মুতালা’আ করেছেন।
▪️ পরবর্তীতে সেখানে দায়িত্ব পালনকালীন ৩০ বছরে তিন লক্ষাধিক ফতোয়া তাঁর স্বাক্ষরেই প্রকাশিত হয়েছে।
▪️তিনি জামিয়া বানূরী টাউন করাচীতে দীর্ঘকাল প্রধান মুফতীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
▪️তিনি সেখানে সহীহ মুসলিম ও সুনানু তিরমিযীর দরস দিতেন।
▪️উর্দূ ভাষায় তাঁর রচিত গবেষণাধর্মী বই এখনো পাকিস্তানে ব্যাপক মূল্যায়ন হয়।
▪️তাঁর রচিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে পাঁচ খন্ডে “জাহিরুল ফাতাওয়া” এক অনবদ্য ফতোয়াগ্রন্থ।
এ ফতোওয়া গ্রন্থ নিয়ে মূল্যবান একটি স্বপ্নের বাশারতও রয়েছে।
▪️তিনি পাকিস্তান থাকাকালীন কোনো ফিকহী সেমিনার তাঁকে ছাড়া যেন কল্পনাই করা যেতনা!
▪️দেশে চলে আসার প্রবল ইচ্ছা সত্ত্বেও তাঁর পদে যোগ্য কাউকে না পাওয়ায় তৎকালীন মুহতামিম মুজাহিদে ইসলাম শহীদ ড. নিজামুদ্দীন শামেযী (রহ.) মঞ্জুর করতে ছিলেননা। পরিশেষে শারীরীক অসুস্থতার দরুন তিনি অব্যহতি দিয়ে দেশে চলে আসলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ তাঁর প্রধান মুফতী পদে অন্য কাউকে নিয়োগ দেননি। (নায়েব) সহকারী দিয়েই কাজ আঞ্জাম দিতে থাকেন। মুফতীয়ে আযম বাংলাদেশ থেকে সময়ে সময়ে গিয়ে তাদরীস ও ফতোওয়ার কাজ আঞ্জাম দিতেন। তারপর শারীরীক দুর্বলতা ও ভিসা জটিলতা শুরু হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বছর যাবত উনার আর যাওয়া হয়নি।
মহান আল্লাহ তা’য়ালা ফিকহের জগতের এই অমূল্য রতনকে পরিপূর্ণ সুস্থতা নসীব করুন এবং হায়াতে তাইয়্যিবাহ্ দান করুন। সাথে সাথে আমাদেরকেও যথাযথ ক্বদর করে তাঁর জীবদ্দশাতেই আরো অধিক পরিমানে ইস্তেফাদার তাওফীক দান করুন। আমিন।
সংগ্রহীত।