তথাকথিত মুসলেহ মওউদ এর মিথ্যা ভবিষ্যৎবাণী
মির্যা কাদিয়ানী সাহেবের পুত্র বশির আহমদ এম.এ এর রচিত “সীরাতে মাহদী” (খন্ড ১ পৃ- ৯৪-৯৫ নতুন এডিশন) থেকে!
ঘটনাটি সংক্ষেপে এইরূও যে, মির্যা গোলাম আহমদ সাহেব ১৮৮৬ সালে (তার দাবীমতে) আল্লাহ’র নির্দেশে কথিত মুসলেহ মওউদ স্বরূপ একটি পুত্র সন্তানের ভবিষ্যৎবাণী দেন। কিন্তু তার কয়েক মাস পর ১৮৮৬ সালের মে মাসে পুত্র সন্তানের পরিবর্তে জন্ম হয় কন্যা সন্তানের। ফলে মির্যা সাহেব বয়ান পালটে ফেলেন এবং পুনরায় ইশতিহার প্রচার করে বলতে থাকেন, খোদার ওহীতে একথা ছিলনা যে প্রত্যাশিত ঐ পুত্র সন্তান এটাই। যাইহোক এর কিছু দিন পর অর্থাৎ ১৮৮৭ সালের আগস্টে তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় বশির আহমদ। মির্যা সাহেব নিজেও বিশ্বাস করলেন যে, এটাই তার সেই কথিত প্রতিশ্রুত পুত্র। কিন্তু আফসোস! এক বছর পর হঠাৎ সেই পুত্রটি মৃত্যুবরণ করেন। এই ছিল মির্যা কাদিয়ানীর কথিত ওহী ইলহাম আর প্রতিশ্রুত পুত্রের চেপে রাখা ইতিহাস। এখন আমার প্রশ্ন হল, মির্যা সাহেবের দাবী তো ছিল যে, “নিশ্চয়ই আল্লাহতালা আমাকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলের উপর ছাড়েন না এবং আমাকে রক্ষা করেন প্রত্যেক ভুলভ্রান্তি থেকে এবং শয়তানি পথ থেকে আমাকে হেফাজত করেন।” (রূহানী খাযায়েন ৮/২৭২)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,
যদি তাই হয় তাহলে তিনি এভাবে নিজের কথিত খোদায়ী ইলহামের সঠিক তাৎপর্য উপলব্ধি করার ক্ষেত্রে কিজন্য চরমভাবে ব্যর্থ হলেন? কেন বছরের পর বছর তাকে কথিত মুসলেহ মওউদ ওয়ালা ইলহামের গ্যাঁড়াকলে বিভ্রান্ত হতে হল?
আহা! এরপরেও যদি কাদিয়ানীদের শুভবুদ্ধির উদয় হয় আর কি!
লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী