নিজের বয়স নিয়ে আল্লাহ’র নামে মিথ্যাচার-২

0
নিজের বয়স নিয়ে আল্লাহ’র নামে মিথ্যাচার-২

মির্যা কাদিয়ানীর জঘন্য মিথ্যাচার-২

ছবিতে যে কবরটি দেখছেন এটি মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর। ছবিতে মির্যা কাদিয়ানীর মৃত্যুর সন লিখা আছে কিন্তু জন্ম সন লিখা নেই! কেন জানেন? হয়ত এর পেছনে কাদিয়ানীরা অনেক যুক্তিতর্ক দাঁড় করবে! কিন্তু আসল রহস্যটা উনারা জেনে-বুঝেই এড়িয়ে যান! যা শতাব্দীর নিকৃষ্ট ধোকা আর প্রতারণা বৈ নয়!

মির্যা সাহেবের জন্ম সন উল্লেখ নেই কেন? এর কারণটা একটু পরেই বিশ্লেষণ করছি। তার আগে শুনুন!

মির্যা কাদিয়ানী সাহেব তার রচনায় পরিষ্কার করে লিখে গেছেন যে, আল্লাহতালা মির্যা সাহেবকে ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার বয়স ২ বা ৩ বছর কম বেশি ৮০ বছর করে দেবেন! (রূহানী খাযায়েন ১৭/৪৪)। সে হিসেবে মির্যা সাহেবের বয়স (৮০-৩) ৭৭ অথবা (৮০+৩) ৮৩ বছর হওয়াই জরুরি ছিল। কিন্তু মির্যা সাহেব মৃত্যুবরণ করেন মাত্র ৬৮ বা ৬৯ বছর বয়সে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, মির্যা কাদিয়ানী সাহেবকে সত্যিই যদি আল্লাহতালা ঐরকম কোনো কথা বলে থাকেন তাহলে তো সেটি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হওয়ার ছিল! কিন্তু সেভাবে না হওয়াই এখন আপনি বা আমি কাকে মিথ্যাবাদী বলব?

নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহকে মিথ্যাবাদী বলব? ছুম্মা নাউজুবিল্লাহিমিন যালিক। অবশ্যই না। তাহলে? কথা পরিষ্কার যে, এখানে মিথ্যাবাদী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেই। তারই কথিত ইয়াল্লাশ, কালা আর কালূ নামের শয়তানই তাকে এধরণের মিথ্যা ওহী ইলহাম করে! এর সাথে মহান আল্লাহতালার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।

এখন হয়ত বলবেন যে, তাহলে মির্যা সাহেবের জন্ম সন কত?

এই প্রশ্নের উত্তর আমি আমার কাছ থেকে না দিয়ে খোদ মির্যা কাদিয়ানীর বই থেকেই দিচ্ছি যাতে কেউ কোনো ভাবে সেটিকে ভুল বা মিথ্যা বলে এড়িয়ে যেতে না পারে!

মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী সাহেব নিজের জন্ম সন সম্পর্কে ১৮৩৯ অথবা ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দ লিখে গেছেন। (রূহানী খাযায়েন ১৩/১৭৭)। আর মৃত্যু সন ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ হওয়ার কথা তো সবারই জানা!

তাহলে এবার নিজেরাই অংক কষে দেখুন তো তার মোট বয়স কত হয়েছিল!

মির্যা সাহেবের ভাষ্য অনুসারে তার জন্ম ১৮৩৯ বা ১৮৪০ হলে এবং মৃত্যু সন ১৯০৮ হলে তখন তার মোট বয়স কোনো ভাবেই ৬৮ বা ৬৯ বছরের বেশি নয়। এমতাবস্থায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কথা অনুসারে খোদাতালার ফরমান মুতাবেক ঐ ৮০ বছরের কী হবে?

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটাই হল আসল গোমর আর রহস্য। মূলত এই রহস্য উন্মোচন হওয়ার আশংকায় ও জনমনে প্রশ্ন উত্থাপন হওয়ার ভয়ে এবং মির্যাকে মিথ্যাবাদী হওয়া থেকে রক্ষা করতেই তার ব্রেইন ওয়াশ মির্যায়ী উম্মতেরা কবরের ছবিটিতে মির্যার মৃত্যু সন উল্লেখ করলেও মাগার জন্ম সন উল্লেখ করাকে এড়িয়ে গেছেন!

একজন মানুষ জঘন্য মিথ্যাবাদী আর প্রতারক হতে হলে এর চেয়ে বেশি প্রমাণ আর কী হতে পারে??

জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে! আল্লাহ তুমি এদের অন্তরকে হিদায়াত দাও।

লিখক প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here