Home মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যাচার নিজের বয়স নিয়ে আল্লাহ’র নামে মিথ্যাচার-২

নিজের বয়স নিয়ে আল্লাহ’র নামে মিথ্যাচার-২

0

নিচের ছবিতে উর্দূ হরফে সজ্জিত এই ফলকটি মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর কবরের। সেটিতে মির্যা কাদিয়ানীর মৃত্যুসাল লিখা থাকলেও তার জন্মসাল লিখা নেই! তার রহস্য নিয়ে একটু পরেই লিখব, ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ’র নামে মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যা ইলহামঃ

মির্যা কাদিয়ানী লিখেছেনঃ

خدا نے مجھے وعدہ دیا کہ میں اسی برس یا دو تین برس کم یا زیادہ تیری عمر کروں گا

উচ্চারণ : খোদা নে মুঝে ওয়াদা দিয়া কে, মে আশি বরছ ইয়া দো তিন বরছ কম ইয়া যিয়াদাহ তেরে ওমর করোঁগা।

“খোদা আমার সাথে ওয়াদা করেছেন যে, আমি তোমাকে দুই-তিন বছর কম-বেশি আশি বছর হায়াত দান করব!” (যমীমাহ তোহফায়ে গোলডবিয়াহ, রূহানী খাযায়েন ১৭/৪৪)।

প্রামাণ্য স্ক্যানকপি দ্রষ্টব্য

বলে রাখা জরুরি যে, মির্যা কাদিয়ানীর নিজেস্ব বয়ান অনুযায়ী তার জন্ম হয়েছিল ১৮৩৯ বা ১৮৪০ সালে। (দেখুন, রূহানী খাযায়েন ১৩/১৭৭)।

মির্যা কাদিয়ানীর মিথ্যা ও ভন্ডামীঃ

মির্যা কাদিয়ানীর মৃত্যু দুই-তিন বছর কম বেশি ৮০ বছর বয়সে হয়নি। সুতরাং আল্লাহর নামে সে যে “ওয়াদা” বা প্রতিশ্রুতি এর কথা লিখলো তা ছিল সম্পূর্ণ তার মনগড়া বয়ান এবং আল্লাহর নামে জঘন্য মিথ্যাচার।

  • আল্লাহর নামে কিভাবে মিথ্যাচার? নিচে হিসেবটি দেখুন,

মির্যা কাদিয়ানীর উক্ত বয়ান অনুসারে তার বয়স তিন বছর কমে (৮০-৩) ৭৭ বছর অথবা তিন বছর বেড়ে (৮০+৩) ৮৩ বছর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করেন মাত্র ৬৮ বা ৬৯ বছর বয়সে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, মির্যা কাদিয়ানী সাহেবকে সত্যিই যদি আল্লাহতালা ঐরকম কোনো কথা বলে থাকেন তাহলে তো সেটি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হওয়ার ছিল! কিন্তু সেভাবে না হওয়াই এখন আপনি বা আমি কাকে মিথ্যাবাদী বলব?

নাউযুবিল্লাহ, আল্লাহকে মিথ্যাবাদী বলব? ছুম্মা নাউজুবিল্লাহিমিন যালিক। অবশ্যই না। তাহলে? কথা পরিষ্কার যে, এখানে মিথ্যাবাদী মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী নিজেই। তারই কথিত ইয়াল্লাশ, কালা আর কালূ নামের শয়তানই তাকে এধরণের মিথ্যা ওহী ইলহাম করে! এর সাথে মহান আল্লাহতালার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।

এবার মির্যা কাদিয়ানীর কবরের ফলকটিতে তার জন্মসাল উল্লেখ না করার রহস্যঃ

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! এটাই হল আসল রহস্য। মূলত এই রহস্য উন্মোচন হওয়ার ভয়ে তার ব্রেইন ওয়াশ মুরিদরা কবরের ফলকটিতে তার জন্মসাল উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকেন!

আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা বললে কী হুকুম?

এ পর্যায় তারই রচিত “হাকীকাতুল ওহী” বই থেকে একটা চমৎকার লিখা তুলে ধরব, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার প্রতি মিথ্যা আরোপ করা কত বড় অপরাধ? এমন প্রশ্নের উত্তরে পবিত্র কুরআনের সূরা আল আ’রাফ আয়াত নং ৩৭ উল্লেখ করে মির্যা সাহেব লিখছেন, “অর্থাৎ বড় কাফের দুইটিই আছেপ্রথমটি হইল, যে খোদা সম্পর্কে মিথ্যা বলে এবং দ্বিতীয়টি হইল, যে খোদার কালামকে অস্বীকার করে।” (হাকীকাতুল ওহী পৃষ্ঠা নং ১৩০, বাংলা অনূদিত কপি)। প্রামাণ্য স্ক্যানকপি,

জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে! আল্লাহ তুমি এদের অন্তরকে হিদায়াত দাও।

লিখক প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here