মুজাদ্দিদ আলফে সানী (রহ.)-এর নামে মিথ্যাচার করে মির্যা কাদিয়ানী একই বক্তব্যকে দুই জায়গায় দুইরকম উদ্ধৃত করে পাকড়াও হয়েছেন। যেমন,
- মির্যা কাদিয়ানী সাহেব লিখেন, ‘মুজাদ্দিদ আলফে সানী স্বীয় মাকতুবাত এর দ্বিতীয় খণ্ডে পরিষ্কার লিখেছেন, নবী হওয়া ছাড়াও উম্মতের সাধারণ সদস্যরাও আল্লাহতালার সাথে বাক্যালাপের সৌভাগ্য পেতে পারে। আর এমন সৌভাগ্যবানদের মুহাদ্দাস বলা হয়।’ (রূহানী খাযায়েন ১/৬৫২)।
- মির্যা সাহেব তার বইয়ের আরেক জায়গায় লিখেছেন, ‘মুজাদ্দিদ সেরহান্দী নিজ মাকতুবাত এর মধ্যে লিখেছেন, যদিও বা এই উম্মতের কিছু সদস্য আল্লাহর সাথে কথপোকথন ও আল্লাহর সম্বোধনের অধিকারী এবং কেয়ামত পর্যন্ত এই ধারা চলতে থাকবে কিন্তু যাকে খুব বেশি এই বৈশিষ্ট্য এবং গায়েবের সংবাদ দান করা হয় তাকে নবী বলা হয়।’ (রূহানী খাযায়েন ২২/৪০৬)।
কাদিয়ানীরা মির্যাকে রক্ষা করতে এক্ষেত্রেও যে কাসুন্দি নিয়ে হাজির হন, তার সারাংশ মুটামুটি এরকম!
মির্যা সাহেব নাকি মুজাদ্দিদ আলফে সানী (রহ.) এর “মাকতুবাত” কিতাবের হুবহু উক্তিকে উদ্ধৃত করেননি, বরং ভাবার্থ উদ্ধৃত করেছেন। যেজন্য মির্যা সাহেবকে নাকি খেয়ানতকারি বলা যাবেনা। প্রতিউত্তরে আমি বলি, যেখানে মির্যা সাহেবের উদ্ধৃত বক্তব্যের কথাগুলো একদমই সুস্পষ্ট ও উদ্ধৃতিমূলক সেখানে আপনি/আপনারা মির্যা সাহেবের খেয়ানতপূর্ণ চরিত্রের কালিমা মুছতে কিভাবে এবং কোন প্রমাণে বলতে চাচ্ছেন যে, এটি আলফে সানী (রহ.) এর বক্তব্যের ভাবার্থ মাত্র! এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে গিয়ে পাছে নিজের পরকাল নষ্ট করে ফেলছেন কিনা—একটু তো চিন্তা করবেন, তাই নয় কি?
স্ক্রিনশট
জ্ঞানীদের নিশ্চয়ই ভাবিয়ে তুলবে!!
লিখক, প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী
তাং ০৫/০৮/২০২১