Home সিজোফ্রেনিয়া, হিস্টিরিয়া মির্যা কাদিয়ানী কি সিজোফ্রেনিয়া রোগীও ছিল?

মির্যা কাদিয়ানী কি সিজোফ্রেনিয়া রোগীও ছিল?

0

মির্যা কাদিয়ানী কি সিজোফ্রেনিয়া রোগীও ছিল?

ইন্নাল হামদা লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আম্মাবা’দু!

কথিত ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ অর্থাৎ কাদিয়ানী জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী। তার বেশিরভাগ অনুসারী জানেই না যে, মির্যা কাদিয়ানী শুধু হিস্টিরিয়া বা মৃগী রোগেই আক্রান্ত ছিল না, বরং সিজোফ্রেনিয়া রোগ-ও ছিল তার। আর এগুলো তার নিজের স্বীকারোক্তি দ্বারা-ও প্রমাণিত। অথচ তার অনুসারীরা তাকে আল্লাহর পক্ষ হতে হযরত মূসা (আ.) এর ন্যায় একজন ছাহিবুশ শরিয়ত বা শরীয়তবাহক নবী বলেও বিশ্বাস করে থাকে। মির্যা কাদিয়ানীর উর্দূ রচনা পাঁচ খন্ডে প্রকাশিত ‘মালফুযাত‘ এর ৫ম খন্ডের ৪৪৭ নং পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য। তারই অপরাপর আরেকটি রচনা ‘আরবা’ঈন‘ থেকে প্রামাণ্য স্ক্যানকপি এই,

আর তার এই দাবীটি তারই মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগের অর্থাৎ ১৯০৭ সালের দিককার। যদিও তিনি ইতিপূর্বে নিজেকে ইমাম মাহদী, আগত ঈসা (আ:)-এর অবতার তথা রূপক ঈসা (মসীহ); একজন বুরুজি বা জিল্লি নবী ইত্যাদি দাবী করেছিলেন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হল, আল্লাহ যাকে তার বান্দাদের জন্য নবী করে পাঠাবেন তার কি কখনো সিজোফ্রেনিয়া আর হিস্টিরিয়া কিংবা মৃগী ইত্যাদি রোগ-ও থাকতে পারে? তারই রচনা ‘হাকীকাতুল ওহী’ গ্রন্থ থেকে নিচে দেখুন,

বলে রাখতে চাই যে, মির্যা কাদিয়ানীর মিরাক্ব বা مراق রোগকে ইদানীংকাল তার অনুসারীরাও “মালিখোঁলিয়া” বলে স্বীকার করে নিয়েছে। তাহলে এই মালিখোঁলিয়াটা কী? অভিধান কী বলে? উর্দূ টু উর্দূ অভিধান ‘ফিরোজুল লুগাত‘ থেকে নিম্নরূপ,

মির্যা কাদিয়ানীর নবী রাসূল দাবীর প্রমাণ তার বই “মালফুযাত” থেকে নিম্নরূপ :-

  • অনলাইনে জনৈক কাদিয়ানী মতাবলম্বী বিষয়টি অস্বীকার করলে আমি তার জবাব দিই এভাবে, পড়তে ক্লিক করুন।

প্রশ্ন হল, মির্যা কাদিয়ানী (১৮৩৯-১৯০৮) কোথায় নিজের “মিরাক্ব” অর্থাৎ সিজোফ্রেনিয়া রোগ ছিল বলেছেন?

উত্তরে বলব, তিনি তার বহু রচনায় এর স্বীকারোক্তি করে লিখে গেছেন। এই নিন সামান্য কিছু প্রমাণ ডকুমেন্ট সহ।

মির্যা কাদিয়ানীর উল্লিখিত “মালফুযাত (ملفوظات)” বইয়ের অত্র পাতাটির সংশ্লিষ্ট অংশের পুরো অনুবাদ নিচে উল্লেখ করা হল। ফলে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, মির্যা কাদিয়ানী নিজেই স্বীকার করে লিখে গেছেন, তার “মিরাক্ব” (مراق) বা সিজোফ্রেনিয়া (মস্তিষ্ক বিকৃতি) রোগ ছিল। আরও পরিষ্কার হয়ে গেল যে, এটি মির্যার প্রতি অন্য কারো পক্ষ থেকে উদ্ধৃত কোনো কথা নয়।

  • এখানে বিশেষত, সিজোফ্রেনিয়া (অর্থাৎ মানসিক ব্যাধি) রোগ এবং রোগীর আচরণ সম্পর্কে জানতে আন্তর্জাতিক বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া সাইটের লিংক দেয়া হল। ক্লিক করুন।
  • মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর বই থেকে অনুবাদ এই যে, তিনি লিখেছেন:-

“দুটি হলুদ চাদর হতে উদ্দেশ্য : (মির্যা সাহেব) বলেন, লক্ষ্য কর! হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার রোগ সম্পর্কে যে ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন সেটি পূর্ণতায় রূপ নিয়েছে। হযরত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছিলেন, মসীহ (আ:) যখন আকাশ থেকে নাযিল হবেন তখন তিনি দু’টি হলুদ বর্ণের চাদর পরিহিত হবেন। তদ্রূপ আমার-ও দুটি রোগ রয়েছে। একটি উপরাংশে আর অপরটি নিম্নাংশে অর্থাৎ মিরাক্ব (মস্তিষ্ক বিকৃতি) এবং প্রস্রাবের আধিক্য (ডায়াবেটিস)। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধবাদীরা এর অর্থ করে থাকে যে, তিনি (মসীহ) প্রকৃতপক্ষে সন্যাসীদের ন্যায় দুটি হলুদ বর্ণের চাদর পরিহিত অবস্থায় আকাশ থেকে নিচে নেমে আসবেন। কিন্তু এটা ভুল কথা। কেননা নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিরা ‘হলুদ বর্ণের চাদর’-এর তাৎপর্য হিসেবে সর্বদা রোগের কথাই লিখে গেছেন। যে কেউই হলুদ চাদর বা হলুদ বর্ণের কোনো বস্তু দেখবে তা হতে ‘রোগের’ তাৎপর্যই (উদ্দেশ্য) হবে এবং যে কেউই এভাবে দেখে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে যে, এর তাৎপর্য এটাই।” (অনুবাদ শেষ হল)।

  • যারা উর্দু বুঝেন না তাদের জন্য কাদিয়ানীদের প্রকাশিত বাংলা বই থেকে “মিরাক্ব” এর অর্থ নিচে দেখানো হল :-

কেউ হয়ত প্রশ্ন করতে পারেন, মিরাক্ব অর্থ ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’ এর আভিধানিক অর্থ তো পেলাম, কিন্তু এর আরেকটা অর্থ “পাগল” বা ‘এক প্রকারের মালিখোলিয়া রোগ’ এর প্রমাণ কোথায়? উত্তরে বলব, এর প্রমাণ হিসেবে উর্দু টু উর্দূ ফিরোজুল লুগাত দেখুন। ক্লিক করুন।

লিখক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রিন্সিপাল নূরুন্নবী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here